নিউ হরাইজন্স

নিউ হরাইজন্স (ইংরেজি: New Horizons) একটি আন্তঃগ্রহ মহাকাশ প্রোব যা জানুয়ারি ১৯, ২০০৬ সালে নাসার নিউ ফ্রন্টিয়ার্স কর্মসূচির অংশ হিসেবে উৎক্ষেপন করা হয়। এস অ্যালেন স্টার্নের নেতৃত্বে একটি দলের সহোযোগীতায় অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি (এপিএল) এবং সাইথইস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক নির্মিত এই মহাকাশযান প্লুটো, তার চাঁদ এবং কাইপার বেষ্টনী গবেষণার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।[1][2][3][4]

নিউ হরাইজন্স
নিউ হরাইজন্স মহাকাশযান, শিল্পীর চিত্রণ
অভিযানের ধরণপ্লুটো পদক্ষিণ
অপারেটরনাসা
COSPAR ID2006-001A
SATCAT №28928
ওয়েবসাইটpluto.jhuapl.edu
www.nasa.gov
অভিযানের সময়কালপ্রাথমিক মিশন: ৯.৫ বছর
মহাকাশযানের বৈশিষ্ট্য
প্রস্তুতকারকএপিএল · সাইথইস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট
লঞ্চ ভর৪৭৮ কিলোগ্রাম (১,০৫৪ পা)
ক্ষমতা২২৮ ওয়াট
মিশন শুরু
উৎহ্মেপণ তারিখ১৯ জানুয়ারি ২০০৬ (2006-01-19) ১৯:০০ ইউটিসি
(১৩ বছর, ৯ মাস ও ১২ দিন পূর্বে)
উৎহ্মেপণ রকেটঅ্যাটলাস ভি ৫৫১
উৎহ্মেপণ স্থানস্পেস লঞ্চ কমপ্লেক্স ৪১
কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন, ফ্লোরিডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
কন্ট্রাক্টরআন্তর্জাতিক লঞ্চ সার্ভিস
Flyby of চাঁদ
Closest approach২০ জানুয়ারি ২০০৬ (2006-01-20) ০৪:০০ ইউটিসি
(১৩ বছর, ৯ মাস ও ১১ দিন পূর্বে)
Distance১,৮৯,৯১৬ কিমি (১,১৮,০০৮ মা)
Flyby of &10000000000132524000000(132524) APL (incidental)
Closest approach১৩ জুন ২০০৬ (2006-06-13) ০৪:০৫ ইউটিসি
(১৩ বছর, ৪ মাস ও ১৮ দিন পূর্বে)
Distance১,০১,৮৬৭ কিমি (৬৩,২৯৭ মা)
Flyby of বৃহস্পতি (মাধ্যাকর্ষণ সহায়তা)
Closest approach২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ (2007-02-28) ০৫:৪৩:৪০ ইউটিসি
(১২ বছর, ৮ মাস ও ৩ দিন পূর্বে)
Distance২৩,০০,০০০ কিমি (১৪,০০,০০০ মা)
Flyby of প্লুটো
Closest approach১৪ জুলাই ২০১৫ (2015-07-14) ১১:৪৯:৫৭ ইউটিসি
(০৭:৪৯:৫৭ ইডিটি) (unknown has started (পুনঃসতেজ))
Distance১২,৫০০ কিমি (৭,৮০০ মা)

এটি ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপিত। এটি মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের নভোগবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার একটি প্রকল্প। প্রকল্প প্রধান নভোবিজ্ঞানী অ্যালান স্ট্যারন। এটি ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে প্লুটোতে পৌঁছুবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্লুটো যাওয়ার পথে এটি বৃহস্পতিগ্রহের গাঁ ঘেঁষেই মহাকাশ পরিভ্রমণ করছে। প্লুটোর অবস্থান পৃথিবী থেকে অনেক দূরে বলে বৃহস্পতির মহাকর্ষ বল কাজে লাগিয়ে নিউ হরাইজনস্‌ নিজ গতি বৃদ্ধি করেছে। তবে এটি এ যাবৎ প্রেরিত সবচেয়ে বেশী দ্রুত গতি সম্পন্ন মহাকাশযান। বর্তমানে এর গতি ঘণ্টায় ৫০ হাজার মাইল। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য এই মহাকাশযান ৩৪ গিগাবাইট পরিমাণের উপাত্ত সংগ্রহ করে পৃথিবীতে প্রেরণ করবে। পৃথিবী থেকে ৬০০ মিলিয়ন মাইলেরও অধিকতর দূরত্ব থেকে ফটো ও অন্যান্য উপাত্ত পাঠাচ্ছে। এতে অত্যন্ত শক্তিশালী ক্যামরা সংযোগ করা হয়েছে।[5]

লক্ষ্য

নিউ হরাইজন্স মিশনের লক্ষ্য প্লুটো গ্রহ এবং এর উপগ্রহ শ্যারন সম্পর্কিত তথ্যাদি, কাইপার বেষ্টনী এবং সৌরজগতের প্রাথমিক গঠন উন্মোচন করা। মহাকাশযানটি প্লুটো এবং শ্যারনের পৃষ্ঠ, পরিবেশ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করবে। এছাড়া কাইপার বেষ্টনীর অন্যান্য বিষয়ও জানার প্রচেষ্টা চালাবে নিউ হরাইজনস। ১৯৬২ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত নাসা পরিচালিত ম্যারিনার প্রকল্প যা বুধ, শুক্র এবং মঙ্গল গ্রহ গবেষণার জন্য প্রেরিত হয়েছিল, তার থেকে প্রায় ৫,০০০ গুণ বেশি তথ্য নিউ হরাইজন্স সংগ্রহ করতে পারবে।

গ্যালারি

উৎক্ষেপণের চিত্র

অ্যাটলাস ভি ৫৫১ রকেট, নিউ হরাইজন্স উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত, উৎক্ষেপণের পূর্বে এক মাস ধরে প্রক্রিয়া চলছে।
অ্যাটলাস ভি ৫৫১ রকেট, নিউ হরাইজন্স উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত, উৎক্ষেপণের পূর্বে এক মাস ধরে প্রক্রিয়া চলছে। 
View of কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চ কমপ্লেক্স ৪১, অ্যাটলাস ভি প্যাডের উপর নিউ হরাইজন্স বহনকৃত।
View of কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চ কমপ্লেক্স ৪১, অ্যাটলাস ভি প্যাডের উপর নিউ হরাইজন্স বহনকৃত। 
কেপ ক্যানাভেরাল থেকে নিউ হরাইজন্স' উৎক্ষেপণের নাসা টিভি ফুটেজ। (৪:০০) 

জুপিটার ফ্লাইবাইয়ের চিত্র

জুপিটার একটি যৌগিক চিত্র এবং Io, যথাক্রমে ফেব্রুয়ারি ২৭ এবং মার্চ ১, ২০০৭ সালে গৃহীত। জুপিটার অবলোহিতভাবে প্রদর্শিত, যেখানে আসল রঙ প্রদর্শিত হয়েছ।
জুপিটার একটি যৌগিক চিত্র এবং Io, যথাক্রমে ফেব্রুয়ারি ২৭ এবং মার্চ ১, ২০০৭ সালে গৃহীত। জুপিটার অবলোহিতভাবে প্রদর্শিত, যেখানে আসল রঙ প্রদর্শিত হয়েছ। 
জুপিটার রিঙের লরি চিত্র। উপরের চিত্র জুপিটারের অভিগমনের উপর গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে নিচের চিত্র সূর্যের দ্বারা উদ্ভাসিত প্রস্থানের উপর গৃহীত হয়েছে।
জুপিটার রিঙের লরি চিত্র। উপরের চিত্র জুপিটারের অভিগমনের উপর গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে নিচের চিত্র সূর্যের দ্বারা উদ্ভাসিত প্রস্থানের উপর গৃহীত হয়েছে। 
A composite false-color image of Oval BA, otherwise known as the "Little Red Spot", using New Horizons' LORRI and the Hubble Space Telescope's WFPC2.
A composite false-color image of Oval BA, otherwise known as the "Little Red Spot", using New Horizons' LORRI and the Hubble Space Telescope's WFPC2. 
An MVIC image of Jupiter's equatorial atmosphere, showing Buoyancy waves that travel at 100m/s faster than surrounding clouds.
An MVIC image of Jupiter's equatorial atmosphere, showing Buoyancy waves that travel at 100m/s faster than surrounding clouds. 

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "New Horizons to Pluto, Mission Website"। US National Aeronautics and Space Administration (NASA)। ২ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৫
  2. Chang, Kenneth (জুলাই ১৩, ২০১৫)। "A Close-Up for Pluto After Spacecraft's 3-Billion-MileTrip"New York Times। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৩, ২০১৫
  3. Chang, Kenneth (জুলাই ৬, ২০১৫)। "Almost Time for Pluto's Close-Up"New York Times। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৬, ২০১৫
  4. Overbye, Dennis (জুলাই ৬, ২০১৫)। "Reaching Pluto, and the End of an Era of Planetary Exploration"New York Times। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৭, ২০১৫
  5. https://www.nasa.gov/mission_pages/newhorizons/main/index.html

আরও পড়ুন

Guo, Y.; Farquhar, R. W. (২০০৫)। "New Horizons Pluto–Kuiper Belt mission: design and simulation of the Pluto–Charon encounter" (PDF)Acta Astronautica56 (3): 421–429। doi:10.1016/j.actaastro.2004.05.076

বহিঃসংযোগ

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

নাগরিক বিজ্ঞান

প্রেস কভারেজ

অন্যান্য

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.