নবদ্বীপ সাধারণ গ্রন্থাগার
নবদ্বীপ সাধারণ গ্রন্থাগার হল নদিয়া জেলার নবদ্বীপের ঐতিহ্যপূর্ণ প্রাচীন ও সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভুবনচন্দ্র বিদ্যারত্নের সভাপতিত্বে এক সভার মাধ্যমে এই গ্রন্থাগারের শুভ সূচনা হয়।[1]
![]() নবদ্বীপ সাধারণ গ্রন্থাগার | |
দেশ | ভারত |
---|---|
ধরন | সাধারণ গ্রন্থাগার |
ব্যাপ্তি | উন্মুক্ত |
প্রতিষ্ঠিত | ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ |
অবস্থান | ষষ্ঠীতলা, নবদ্বীপ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
ইতিহাস
সংস্কৃতচর্চার যখন ঘোর দুর্দিন তখন নবদ্বীপের অমূল্যসম্পদ, সংস্কৃত পুঁথি বিদেশে চলে যাচ্ছিল ক্রমাগত। পুঁথিপত্রের এই বহির্গমন রোধ করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে নবদ্বীপের পন্ডিতমন্ডলী একটি পুঁথিশালা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তারই ফলশ্রুতিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে ভুবনমোহন বিদ্যারত্নের সভাপতিত্বে পোড়ামাতলায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।[2] সেখানে রায় দ্বারকানাথ ভট্টাচার্য বাহাদুরকে সভাপতি এবং দেবেন্দ্রনাথ বাগচিকে সম্পাদক নির্বাচন করে এক শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়। রাজানুগ্রহ লাভের জন্য ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে গ্রন্থাগারটি নবদ্বীপ সপ্তম এডওয়ার্ড এংলো-সংস্কৃত লাইব্রেরি নামে পরিচিত হয়। ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যোৎসাহী মহারাজ মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর আর্থিক সহযোগিতায় ষষ্ঠীতলায় হরিদাস শিরোমণির টোল বাড়িটি ক্রয় করে গ্রন্থাগারের নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে গ্রন্থাগারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় নবদ্বীপ সাধারণ গ্রন্থাগার।
তথ্যসূত্র
- নবদ্বীপের ইতিবৃত্ত। নবদ্বীপ সাহিত্য সমাজ। পৃষ্ঠা ২৭৫।
- নবদ্বীপের সাহিত্যচর্চার ইতিহাস। পৃষ্ঠা ৩৮।