ধনু (জ্যোতিষশাস্ত্র)

ধনু (ইংরেজিতে: Sagittarius) (), পশ্চিমী রাশিশাস্ত্রের বারোটি রাশির মধ্যে নবম রাশি। ২৩ নভেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে জন্মগ্রহণকারীদের এই রাশির অন্তর্ভুক্ত গণ্য করা হয়। এর প্রতীক হলো 'ধনুর্ধর'। রাশিশাস্ত্রের ভাষায় অবশ্য এর প্রতীক ধনুকবিদ ছাড়াও 'বিজ্ঞ' বা 'উপদেষ্টা'। শাস্ত্রানুযায়ী এই রাশির জাতক/জাতিকারা বৃহস্পতি গ্রহ দ্বারা নিয়ন্ত্রীত হন এবং এই রাশির সংখ্যা হচ্ছে ৩।[2]

ধনু
রাশির প্রতীকধনুকবিদ
সময়কাল (গ্রীষ্মমণ্ডলীয়, পশ্চিমা)টেমপ্লেট:Zodiac date (২০১৯, UTC)
সময়কাল (নাক্ষত্রিক, হিন্দু)[1]টেমপ্লেট:Zodiac date sidereal (২০১৯, UTC)
নক্ষত্রমণ্ডলধনু
রাশির উপাদানআগুন
রাশির বৈশিষ্ট্যপরিবর্তনশীল
নিবাসবৃহস্পতি (দিন), নেপচুন (রাত)
অনিষ্টকরপারদ
উন্নতিদক্ষিণ দিগন্ত
পতনউত্তর দিগন্ত

বৈশিষ্ট্য

রাশিশাস্ত্রের ভাষায় এই রাশির আগ্নেয় বৈশিষ্ট্য হলো: এরা অকপট, আবেদ উদার, অস্থির, কৌতূহলী, প্রকৃতিপ্রেমিক, ধৈর্য্যহীন, ক্রীড়ানুরাগী ও শাসক।[2]

পুরাণ

গ্রিক পুরাণের বিখ্যাত সেন্টর কীরন ছিলেন স্বর্গরাজ্যের সবচেয়ে বড় ধনুর্বিদ। বয়োজ্যেষ্ঠ এই ধনুর্বিদের সমকক্ষ আর কেউ হতে পারেনি শত চেষ্টাসত্ত্বেয়। বড় বড় বীরেরা, একিলিস, হেক্টর, জ্যাসন, হারকিউলিস প্রমুখ ছিলেন তার ছাত্র।[2] একদিন সেন্টরদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় নিজের অজান্তেই তার ছাত্র হারকিউলিস কীরনকে তীরবিদ্ধ করে ফেলেন। হাইড্রার রক্তমাখানো সে বিষাক্ত তীরের বিষক্রিয়ার ব্যথায় কাতর হয়ে একসময় কীরণ জিউসের কাছে ব্যথা নিরাময়ের প্রার্থনা করেন। ফলে জিউস তাকে স্বর্গে উঠিয়ে নেন এবং সসম্মানে নক্ষত্রলোকে স্থাপন করেন। নক্ষত্রলোকে কীরন ধনুরাশির প্রতীক হয়ে ওঠেন। অন্য বর্ণনামতে, বিষের ব্যথায় কাতর তিনি ক্ষত নিরাময়ের কোনো উপায় না জেনে নিজের অমরত্ব প্রমিথিউসকে দান করে ইচ্ছা-মৃত্যু বরণ করেন। আর কীরনের এই মহানুভবতায় প্রীত হয়েই জিউস তাকে নক্ষত্রলোকে স্থাপন করেন।[3]

বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

এই রাশির অন্তর্গত বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

তথ্যসূত্র

  1. assuming an ayanamsa of 23.86° as of 2000 according to N. C. Lahiri. The precise value used may vary, but is mostly set close to 24°.
  2. ধনু ভুক্তি, সাপ্তাহিক ২০০০ (রাশিচক্র ২০০৮); মতিঝিল, ঢাকা থেকে প্রকাশিত। পৃ. ৯৬। পরিদর্শনের তারিখ: জুলাই ৬, ২০১১।
  3. "কীরণ" ভুক্তি: প্রতীচ্য পুরাণ, ফরহাদ খান; প্রতীক, বাংলাবাজার, ঢাকা থেকে প্রকাশিত। পৃ. ৪৬। অক্টোবর ২০০১ পুণর্মুদ্রণ। পরিদর্শনের তারিখ: জুলাই ৬, ২০১১।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.