দ্য ব্যাচেলর অফ আর্টস্
দ্য ব্যাচেলর অফ আর্টস্ (ইংরেজি: The Bachelor of Arts) (১৯৩৭) হল ভারতীয় ঔপন্যাসিক আর. কে. নারায়ণের লেখা একটি উপন্যাস। এটি স্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস্, দ্য ব্যাচেলর অফ আর্টস্ ও দি ইংলিশ টিচার উপন্যাসত্রয়ীর দ্বিতীয় উপন্যাস। এই উপন্যাসের পটভূমি নারায়ণের সাহিত্যকর্মে প্রায়শ উল্লিখিত কাল্পনিক শহর মালগুডি।
![]() | |
লেখক | আর. কে. নারায়ণ |
---|---|
দেশ | ভারত |
ভাষা | ইংরেজি |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশক | নেলসন |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৩৭ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রণ |
আইএসবিএন | 0-09-928224-0 (2000 ed.) |
ওসিএলসি | 6305101 |
ডিউই দশমিক | 823 |
এলসি শ্রেণী | PR9499.3.N3 B3 1980 |
পূর্ববর্তী বই | স্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস্ |
পরবর্তী বই | দি ইংলিশ টিচার |
কাহিনি সারাংশ
এক যুবকের কৈশোর থেকে যৌবনে উত্তরণের সময় যে জটিল মানসিক পরিবর্তন আসে, তা-ই এই উপন্যাসের উপজীব্য। এখানে সেই যুবকের ভগ্নহৃদয়ের বেদনা পরিস্ফুট হয়েছে। উপন্যাসের এই তরুণটির নাম চন্দ্রন। এই যুবকটি প্রাক-স্বাধীনতা যুগের উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধি। প্রথমে ঔপনিবেশিক যুগে এই যুবকের কলেজ জীবন বর্ণিত হয়েছে। স্নাতক পাঠক্রম সমাপ্ত করার পর, সে মালতী নামে একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে। কিন্তু মেয়েটির পরিবার তাকে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ, যুবকের কোষ্ঠীতে তাকে মাঙ্গলিক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। হিন্দু সমাজে একজন মাঙ্গলিক কেবল অপর এক মাঙ্গলিককেই বিয়ে করতে পারে। অন্যথায়, যে মাঙ্গলিক নয়, তার মৃত্যু ঘটে বলেই বিশ্বাস করা হয়। মালতী স্নাতক পাঠক্রম সমাপ্ত করার পর অপর একজনকে বিয়ে করে নেয়।
এই ঘটনায় চন্দ্রন এতটাই ভেঙে পড়ে যে সে মাদ্রাজে চলে যায় এবং পথেঘাটে থাকতে শুরু করে। ক্ষুধার্ত, মোহগ্রস্থ ও নিজের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে সে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করে। উদ্ভ্রান্ত হয়ে সেসন্ন্যাসীর জীবন বেছে নেয়। যাত্রাপথে তার সঙ্গে অনেক লোকের দেখা হয়। কোনো কোনো গ্রামবাসী তাকে সন্ত মনে করতে শুরু করে। আট মাস পর সে উপলব্ধি করে নিজের জীবনে কী বিপর্যয় সে ডেকে এনেছে। তখন তার বাবা-মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। অনুশোচনা ও সেই উপলব্ধির কারণে সে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বাবা-মাকে খুশি করার জন্য সে এক নিউজএজেন্টের চাকরি নেয় ও বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ভাবে, এই কাজ করলে তার বাবা-মা আগের দুঃখ ভুলে যাবেন।
বাড়ি ফিরে আসার পরেও সে মালতীকে ভুলতে পারে না। দীর্ঘকাল মালতীর ছবি ও স্মৃতি তাকে তাড়া করে ফেরে। অনেক দিন পর তার বাবা তার কাছে সুশীলা নামে আরেকটি মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। চন্দ্রন তখনও প্রেম ও বিয়ের বিষয়ে সন্ধিগ্ধ ছিল। প্রথম দিকে সে মেয়েটিকে দেখতে অস্বীকার করে। তারপর সে মেয়েটিকে দেখতে যায়। শেষে সে মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়।