দ্বিতীয় বলকান যুদ্ধ

দ্বিতীয় বলকান যুদ্ধ ১৯১৩ সালের ২৯ জুন থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে বুলগেরিয়া একাকী সার্বিয়া, গ্রিস, মন্টেনিগ্রো, অটোমান সাম্রাজ্য ও রুমানিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পরাজিত হয়। প্রথম বলকান যুদ্ধের পর দখলকৃত ভূমির পরিমাণ নিয়ে অসন্তুষ্ট বুলগেরিয়া ১৯১৩ সালের ২৯ জুন প্রাক্তন মিত্ররাষ্ট্র ও প্রতিবেশী গ্রিস ও সার্বিয়াকে আক্রমণ করে। কিন্তু সার্বীয় ও গ্রিক সেনাবাহিনীদ্বয় বুলগেরীয় আক্রমণ প্রতিহত করে দেয় এবং পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে বুলগেরিয়ার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। বুলগেরিয়ার সঙ্গে আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র রুমানিয়ারও বিরোধ ছিল। ফলে সুযোগ বুঝে রুমানিয়াও বুলগেরিয়া আক্রমণ করে। প্রথম বলকান যুদ্ধে পরাজিত অটোমান সাম্রাজ্য এই পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করে এবং বুলগেরিয়া আক্রমণ করে আগেকার যুদ্ধে হারানো কিছু ভূমি পুনরুদ্ধার করে। রুমানীয় সৈন্যরা বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ার দিকে অগ্রসর হলে বুলগেরিয়া যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায় এবং পরবর্তীতে বুখারেস্ট চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি অনুসারে বুলগেরিয়া প্রথম বলকান যুদ্ধে জয়কৃত অঞ্চলের কিছু অংশ সার্বিয়া, গ্রিস ও রুমানিয়াকে প্রদান করতে বাধ্য হয়। পরে কন্সট্যান্টিনোপল চুক্তিতে স্বাক্ষরের মাধ্যমে বুলগেরিয়া অটোমানদের নিকট এদির্নে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়।

দ্বিতীয় বলকান যুদ্ধ
মূল যুদ্ধ: বলকান যুদ্ধসমূহ

মিত্রপক্ষের প্রধান স্থল অভিযানসমূহের মানচিত্র
তারিখ২৯ জুন – ১০ আগস্ট ১৯১৩
অবস্থানবলকান উপদ্বীপ
ফলাফল

সার্বীয়, গ্রিক, মন্টেনিগ্রীয়, অটোমান এবং রুমানীয় বিজয়

  • বুখারেস্ট চুক্তি
  • কন্সট্যান্টিনোপল চুক্তি
যুধ্যমান পক্ষ
সার্বিয়া
গ্রিস
মন্টেনিগ্রো
অটোমান সাম্রাজ্য
রুমানিয়া
বুলগেরিয়া
সেনাধিপতি
প্রথম পিটার
রাদোমির পুৎনিক
স্তেপা স্তেপানোভিচ
পিটার বোজোভিচ
প্রথম কন্সট্যান্টাইন
ভিক্টর ডুসমানিস
পাভলোস কুন্টোরিওটিস
প্রথম নিকোলাস
দানিলো
জাঙ্কো ভুকোতিচ
পঞ্চম মেহমেদ
এনভের পাশা
আহমেদ ইজ্জেত পাশা
প্রথম ক্যারোল
প্রথম ফার্ডিন্যান্ড
আলেকজান্দ্রু অ্যাভেরেস্কু
প্রথম ফার্ডিন্যান্ড
মিহাইল সাভোভ
ভ্যাসিল কুতিনচেভ
নিকোলা আইভানভ
রাদকো দিমিত্রিয়েভ
স্তিলিয়ান কোভাচেভ
স্তেফান তোশেভ
শক্তি
৩,৪৮,০০০ সৈন্য[1]
১,৪৮,০০০ সৈন্য
১২,৮০২ সৈন্য[1]
২,৫৫,০০০ সৈন্য[2]
৩,৩০,০০০ সৈন্য[1]
সর্বমোট: ১০,৯৩,৮০২ সৈন্য
৫,০০,২২১–৫,৭৬,৮৭৮ সৈন্য
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
৯,০০০ সৈন্য নিহত
৫,০০০ সৈন্য রোগের কারণে মৃত
৩৬,০০০ সৈন্য আহত[3]
৫,৮৫১ সৈন্য নিহত
২৩,৮৪৭ সৈন্য আহত
১৮৮ সৈন্য নিখোঁজ[4]
২৪০ সৈন্য নিহত
৯৬১ সৈন্য আহত[3]
৪,০০০ সৈন্য রোগের কারণে মৃত[5]
৬,০০০ সৈন্য রোগের কারণে মৃত[6]
সর্বমোট:
~৭৬,০০০ সামরিক ক্ষয়ক্ষতি
~৯১,০০০ মোট ক্ষয়ক্ষতি
৭,৫৮৩ সৈন্য নিহত
৯,৬৯৪ সৈন্য নিখোঁজ
৪২,৯১১ সৈন্য আহত
৩,০৪৯ সৈন্য রোগের কারণে মৃত
১৪০টি কামান ধৃত বা ধ্বংসপ্রাপ্ত
সর্বমোট:
৬৫,৯২৭ সৈন্য মৃত বা আহত[7]

পটভূমি

যুদ্ধের প্রস্তুতি

বুলগেরীয় প্রস্তুতি

বিপক্ষীয় শক্তি

যুদ্ধের সূচনা

গ্রিসের বিরুদ্ধে বুলগেরিয়ার আক্রমণ

সার্বীয় রণক্ষেত্র

গ্রিক আক্রমণ

রুমানীয় হস্তক্ষেপ

অটোমান হস্তক্ষেপ

যুদ্ধের অবসান

যুদ্ধবিরতি

বুখারেস্ট চুক্তি

কন্সট্যান্টিনোপল চুক্তি

ফলাফল

খণ্ডযুদ্ধসমূহের তালিকা

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Hall (2000), p. 117.
  2. Edward J. Erickson, Defeat in Detail, The Ottoman Army in the Balkans, 1912–1913, Westport, Praeger, 2003, p. 323.
  3. Hall (2000), p. 135.
  4. Calculation (PDF) (Greek ভাষায়), Hellenic Army General Staff, পৃষ্ঠা 12, সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১০.
  5. Hall (2000), p. 119.
  6. Hall (2000), p. 118.
  7. http://www.bulgarianartillery.it/Bulgarian%20Artillery%201/T_OOB/Troops%20losses_1912-13.htm
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.