দিস বয়'স লাইফ (চলচ্চিত্র)

দিস বয়'স লাইফ ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন লেখক টোবিয়াস উলফের একই নামের স্মৃতিকথা অবলম্বনে নির্মিত মার্কিন চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন মাইকেল কেটন-জোন্স। এতে টোবিয়াস উলফের চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, তার সৎ বাবা ডুইট হানসেন চরিত্রে রবার্ট ডি নিরো, তার মা ক্যারোলিন উলফের চরিত্রে এলেন বারকিন। এছাড়া অন্যান্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জোনা ব্লেচম্যান, ক্রিস কুপার, কার্লা গুগিনো, এলিজা ডুশকু এবং এই ছবিতে অভিষেক হয় অভিনেতা টোবি ম্যাগুইয়ারের[2]

দিস বয়'স লাইফ
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকমাইকেল কেটন-জোন্স
প্রযোজকফিচ ক্যাডি
আর্ট লিনসন
চিত্রনাট্যকাররবার্ট গেচেল
উৎসটোবিয়াস উলফ কর্তৃক 
দিস বয়'স লাইফ
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারকার্টার বারওয়েল
চিত্রগ্রাহকডেভিড ওয়াটকিন
সম্পাদকজিম ক্লার্ক
প্রযোজনা
কোম্পানি
নিকারব্রোকার ফিল্মস
পরিবেশকওয়ার্নার ব্রস. পিকচার্স
মুক্তি
  •  এপ্রিল ১৯৯৩ (1993-04-09)
(সীমিত মুক্তি)
  • ২৩ এপ্রিল ১৯৯৩ (1993-04-23)
দৈর্ঘ্য১১৪ মিনিট
দেশযুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
আয়$৪,১০৪,৯৬২[1]

কাহিনী সংক্ষেপ

ক্যারোলিন উলফ তার ছেলে টোবিয়াস উলফকে নিয়ে এক জায়গায় স্থায়ী হতে চায়। সে সিয়াটলে আসে এবং সেখানে ডুইট হানসেনের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। তারা বিয়ে করে কিন্তু ডুইটের ভালো-মানুষী মুখোশ উন্মোচন হয় যখন সে ঠের পায় টোবিকে ভালো করার নামে ডুইট তাকে মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন করে।

বিয়ের কিছুদিন পর ক্যারোলিন আরও বুঝতে পারে যে ডুইট তার আশেপাশের সবাইকে তার অধীনস্ত মনে করে। কিন্ত তা বুঝা সত্ত্বেও সে তার ছেলের মঙ্গলের জন্য নিজেকে সান্ত্বনা দেয়। ইতিমধ্যে টোবির এক সহপাঠী কদাকার ও সমকামী আর্থার গেইলের সাথে বন্ধুত্ব হয়। টোবি নিয়মিত তার বাবার নির্যাতনের শিকার হতে থাকে এবং কংক্রিট শহর ছেড়ে তার বড় ভাই গ্রেগরির সাথে গিয়ে থাকার ইচ্ছাপোষণ করে। তাই সে ইস্ট কোস্ট প্রিপ-স্কুল বৃত্তির জন্য আবেদন করে। কিন্তু তার পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ায় সে ভুল রিপোর্ট দাখিল করে। একাজে তাকে সাহায্য করে তার বন্ধু গেইল। টোবি তাকেও কংক্রিট শহর ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় কিন্তু গেইল কংক্রিট শহরে থাকবে বলে জানায়। বেশ কয়েকবার আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর অবশেষে টোবি পেনসিলভেনিয়ার হিল স্কুলের পূর্ণ বৃত্তি পায়।

শেষ দিকে টোবিকে মারার ক্যারোলিন ডুইটকে বাঁধা দেয় এবং মা-ছেলে দুজনে কংক্রিট শহর ছেড়ে চলে যায়। প্রকৃত ডুইট ১৯৯২ সালে মারা যান। ক্যারোলিন আবার বিয়ে করেন এবং ফ্লোরিডায় বসবাস শুরু করেন। গেইলও শেষ পর্যন্ত কংক্রিট শহর ছেড়ে যায় এবং ইতালিতে একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। ডুইটের ছেলেমেয়েরা সবাই বিয়ে করে সিয়াটলে বাস করে।

অভিনয়শিল্পী

  • রবার্ট ডি নিরো - ডুইট হানসেন
  • এলেন বারকিন - ক্যারোলিন উলফ হানসেন
  • লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও - টোবিয়াস "টোবি" উলফ
  • জোনা ব্লেচম্যান - আর্থার গেইল
  • এলিজা ডুশকু - পার্ল হানসেন
  • ক্রিস কুপার - রয়
  • কার্লা গুগিনো - নর্মা হানসেন
  • জ্যাক আন্সলে - স্কিপার হানসেন
  • ট্রেসি এলিস - ক্যাথি
  • ক্যাথি কিনে - ম্যারিয়ান
  • টোবি ম্যাগুইয়ার - চাক বোলজার
  • শন মারি - জিমি ভোরেস
  • লি উইলকফ - প্রিন্সিপাল স্কিপি
  • বিল ড - ভাইস প্রিন্সিপাল
  • ডিয়ানা মিলিগান ও মরগান ব্রাইটন - সিলভার বোনদ্বয়

নির্মাণ

চলচ্চিত্রটির একটা বড় অংশ ওয়াশিংটন ডিসির কংক্রিট শহরে ধারণ করা হয়, যেখানে টোবিয়াস উলফ তার মা ও সৎ বাবার সাথে শৈশব ও কৈশোর কাটায়। পাশাপাশি এতে ১৯৫০-এর দশকের বাস্তবতা দেখানো হয়। শহরের অনেক লোকজনকে অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং বাইরের দৃশ্যগুলো শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং প্রাক্তন এলিমেন্টারি স্কুলে ও বর্তমান কংক্রিট হাই স্কুলে ধারণ করা হয়।

মুক্তি

বক্স অফিস

চলচ্চিত্রটি সীমিত পরিসরে ১৯৯৩ সালের ৯ এপ্রিল মুক্তি দেওয়া হয় এবং প্রথম সপ্তাহে $৭৪,৪২৫ আয় করে;[3] পরবর্তীতে সারাদেশে ২৩ এপ্রিল মুক্তি পায় এবং $১,৫১৯,৬৭৮ আয় করে বক্স অফিসে দশম স্থান লাভ করে।[4] চলচ্চিত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে মোট $৪,১০৪,৯৬২ আয় করে।[1]

হোম মিডিয়া

দিস বয়'স লাইফ ২০০৩ সালের ১৩ মে ডিভিডিতে প্রকাশিত হয়।

মূল্যায়ন

সমালোচক প্রতিক্রিয়া

দিস বয়'স লাইফ মূলত ইতিবাচক সমালোচনা লাভ করেছে। চলচ্চিত্র সমালোচনা ও রেটিং ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোস-এ চলচ্চিত্রটি 'ফ্রেশ' খ্যাতি পেয়েছে এবং ৭৫% রেটিং স্কোর পেয়েছে।[5] মেটাক্রিটিক-এও চলচ্চিত্রটি 'নরমালাইজড স্কোর' পেয়েছে, এই ওয়েবসাইটে চলচ্চিত্রটির স্কোর ১০০-এ ৬০।[6] সমালোচক রজার ইবার্ট চলচ্চিত্রটিকে ৪-এ ৩.৫ দিয়েছেন এবং বলেন এটি দর্শক ধরে রাখতে পেরেছে, দর্শক টোবিকে চিনেছে, তার মা ক্যারোলিনের অক্ষমতাকে বুঝেছে এবং তার সৎ বাবা ডুইটকে করুণ কিন্তু মনে রাখার মত একটি খল চরিত্রে উপস্থাপন করেছে।[7]

পুরস্কার

সঙ্গীত

দিস বয়'স লাইফ ছবির সঙ্গীতে ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকের অনেক গান ব্যবহার করা হয়েছে। টাইটেল গানটি ফ্রাঙ্ক সিনাট্রার ১৯৫৮ সালের কাম ফ্লাই উইথ মি অ্যালবাম থেকে এবং টোবি ও তার মায়ের গাওয়া "অ্যা'ম গনা ওয়াশ দ্যট ম্যান রাইট আউটা মাই হেয়ার" গানটি সাউথ প্যাসিফিক থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রায় সব গানে টোবির রক অ্যান্ড রোলডো ইউপ গানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে, যার মধ্যে ছিল এডি কোচরান, ফ্রাঙ্কি লিমন অ্যান্ড দ্য টিনেজারস, ও লিংক রের গান। কার্টার বারওয়েল এই ছবির জন্য লিখিত গানের সুর করেছেন এবং সেগুলো গেয়েছেন নিউ ইয়র্কের গিটারিস্ট ফ্রেডরিক হ্যান্ড[9]

তথ্যসূত্র

  1. "This Boy's Life (1993)"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  2. "This Boy's Life"ব্রিটিশ বোর্ড অফ ফিল্ম ক্ল্যাসিফিকেশন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  3. "This Boy's Life"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  4. "This Boy's Life"বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  5. রটেন টম্যাটোসে This Boy's Life (ইংরেজি)
  6. মেটাক্রিটিকে This Boy's Life (ইংরেজি)
  7. "This Boy's Life"রজারইবার্ট.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  8. "This Boy's Life (1993) - Awards"ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
  9. "This Boy's Life (1993) - Soundtracks"ইন্টারনেট মুভি ডাটাবেজ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.