দিগম্বর বিশ্বাস

দিগম্বর বিশ্বাস বাংলার নীল বিদ্রোহের (১৮৫৯ - ৬০) অন্যতম প্রধান নেতা। সম্পর্কে তিনি বিপ্লবী শহীদ বসন্ত বিশ্বাসের খুল্ল পিতামহ[1]

দিগম্বর বিশ্বাস
জন্ম?
মৃত্যু১৮৬০
আন্দোলননীল বিদ্রোহ

প্রারম্ভিক জীবন

দিগম্বর বিশ্বাস ও অপর নেতা বিষ্ণুচরন বিশ্বাস দুজনেই চৌগাছার বাসিন্দা ছিলেন। তারা প্রথম জীবনে নীলকুঠির দেওয়ানের কাজ করতেন[2]। কোথাও কোথাও উল্লেখ আছে তারা পরস্পরের সহোদর ছিলেন যদিও তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।

নীল বিদ্রোহ

কৃষকদের ওপর নীলকরদের অবর্ণনীয় অত্যাচার ও শোষন প্রত্যক্ষ করে দিগম্বর বিশ্বাস কুঠির দেওয়ানি পদে ইস্তফা দেন এবং বিদ্রোহী কৃষকদের সংগঠিত কর‍তে থাকেন নীলকরদের বিরুদ্ধে। বিদ্রোহীরা অস্ত্র চালনা জানতোনা, তিনি তার অর্থ ব্যয় করে বরিশাল থেকে লাঠিয়াল আনিয়ে নীলচাষীদের বল্লম ও লাঠিখেলা শেখান এবং প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। নদিয়াযশোর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তার নেতৃত্বে নীল বিদ্রোহ সংঘঠিত হয়। কৃষকদের সাহায্যার্থে দিগম্বর ও বিষ্ণুচরণ দুজনে তৎকালীন আমলে ১৭ হাজার টাকা ব্যয় করে সর্বস্বান্ত হয়ে যান। তারা গরীব কৃষকের স্বার্থকেই নিজেদের স্বার্থ বলে ভেবেছিলেন তা প্রমাণিত। ঐতিহাসিক সতীশ মিত্রের ভাষায় "বিশ্বাসদের কিছু সংগতি ছিল, যাহা ছিল সবই এই আন্দোলনে ব্যয় করিলেন। প্রজার জোট ভাঙ্গিবার জন্যে নীলকরেরা ক্ষেপিয়া গেল। বিশ্বাসেরা বরিশাল হইতে লাঠিয়াল আনিলেন, দেশের লোককে লাঠি ধরাইলেন..."[3] ভারতের কৃষক বিদ্রোহের ইতিহাসে কৃষকবীর, জনদরদী ও নীল বিদ্রোহের প্রধান নেতা দিগম্বর বিশ্বাস এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক[1][4]

তথ্যসূত্র

  1. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ২০৩। আইএসবিএন 81-85626-65-0।
  2. সাজেদ রহমান (১৮.০৪.২০১৫)। "কৃষক বিদ্রোহের নীরব সাক্ষী"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৩.০১.২০১৭ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. সতীশ মিত্র। যশোর খুলনার ইতিহাস (দ্বিতীয় খন্ড)। কলকাতা: দেজ পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৭৮১।
  4. "চৌগাছা উপজেলা পরিচিতি"। Global Bangla Times। সংগ্রহের তারিখ 15.01.2017 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.