দার্শনিকের পাথর

দার্শনিকের পাথর বা পরশ পাথর (ইংরেজি: stone of the philosophers (লাতিন: lapis philosophorum) একটি কল্পিত রাসায়নিক (আলকেমিক্যাল) বস্তু। বলা হয়ে থাকে এটার স্পর্শে সীসা ইত্যাদি ধাতু সোনা অথবা রূপায় পরিণত হয়। এজন্য বাংলায় একে পরশ পাথরও বলা হয়। এটাকে অনেক সময় সঞ্জীবণী সুধা বলা হয়ে থাকে। এটার পূণঃর্জীবন বা অমরত্ত্ব প্রদানের ক্ষমতা আছে। কয়েক শতাব্দী ধরে আলকেমির লক্ষ্য ছিলো এই পরশ পাথর খুঁজে বের করা। এই দার্শনিকের পাথর আবিষ্কারের প্রচেষ্টাকে বলা হতো ম্যাগনাম ওপাস (মহান কর্ম)।[1]

দার্শনিকের পাথরের সন্ধানরত আলকেমিস্ট, জোসেফ রাইট অফ ডার্বি, ১৭৭১

ইতিহাস

দার্শনিকের পাথরের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় যীশু খ্রিস্টের জন্মের ৩০০ বছর আগে পেনোপোলিসের যোশিওমোসের লেখা “চেইরোকমেতা”য়।[2] আলকেমির লেখকেরা অবশ্য আরো প্রাচীন ইতিহাসের দাবী করেছেন। ১৬২০ সালে ইলিয়াম আশমোল এবং একজন অনামা লেখকের লেখা গ্লোরিয়া মুনদিতে দাবী করা হয়েছে যে আদম সরাসরি সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে এই পাথর সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছিলেন।

মধ্যযুগ

অষ্টম শতাব্দীতে আলকেমিস্ট জাবির ইবনে হাইয়ান বিশ্লেষণ করেন যে প্রতিটি বস্তুর চারটি গুণ আছে। আগুন গরম এবং শুকনো, মাটি শীতল এবং শুকনো, পানি শীতল এবং আর্দ্র, বাতাস গরম এবং আর্দ্র। তিনি তত্ত্ব প্রকাশ করেন যে প্রত্যেক ধাতু এই নীতির সংমিশ্রণ, দুটি ভেতরে এবং দুটি বাইরে। এই অনুমান থেকে বলা হতো এক ধাতু থেকে অন্য ধাতুতে রূপান্তরকালে এর মৌলিক গুণের পরিবর্তন সাধিত হয়।

তথ্যসূত্র

  1. ম্যাক্স হেইনডেল, Freemasonry and Catholicism, আইএসবিএন ০-৯১১২৭৪-০৪-৯
  2. Andrew Ede, Lesley B. Cormack. A History of Science in Society: from philosophy to utility. University of Toronto Press. p .66

আরো পড়ুন

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.