দলমাবাচ প্রাসাদ
দলমাবা’চ প্রাসাদ (ইংরেজি: Dolmabahçe Palace; তুর্কী: Dolmabahçe Sarayı, আইপিএ: [doɫmabahˈtʃe saɾaˈjɯ])তুরস্কের ইস্তাম্বুল জেলার বে’সিকতা’স –এ অবস্থিত। যা বোসফোরাস স্ট্রেইটের ইউরোপিয়ান তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত। ধারনা করা হয় এই প্রাসাদ ১৮৫৩ সালে নির্মাণ করা হয়। এই প্রাসাদ ১৮৫৬-১৯২২ সাল পর্যন্ত অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়
দলমাবা’চ প্রাসাদ | |
---|---|
বসফোরাস থেকে দলমাবা’চ প্রাসাদ | |
![]() ![]() | |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | প্রাসাদ (১৪৫৩–১৮৫৩) |
স্থাপত্য রীতি | বারকিউ |
অবস্থান | ইস্তানবুল, তুরস্ক |
নির্মাণ শুরু হয়েছে | ১৮৪৩ |
সম্পূর্ণ | ১৮৫৬ |
গ্রাহক | অটোম্যান সুলতান |
স্বত্বাধিকারী | তুর্কি রাজ্য |
নকশা এবং নির্মান | |
স্থপতি | গ্যারাবেট বাল্যান |
ইতিহাস


দলমাবা’চ প্রাসাদ তৎকালীন সাম্রাজ্যের ৩১তম সম্রাট সুলতান আব্দুলমেচিদ I আদেশে স্থাপন করা হয়। যা ১৮৪৩-১৮৫৬ এর মধ্যে স্থাপিত হয়। Hacı Said Ağa এই প্রাসাদ নির্মাণের প্রধান দায়িত্ব পালন করেন। যদিও এর স্থপতি থাকেন গ্যারাবেট বাল্যান, তার পুত্র Nigoğayos Balyan এবং Evanis Kalfa এই প্রাসাদ তৈরীতে ব্যয় হয় তৎকালীন পাচ মিলিয়ন অটোম্যান মেসিডিই স্বর্ণমুদ্রা যা বর্তমানে ৩৫ টন স্বর্নের সমান।
গঠনশৈলী
এই প্রাসাদ মোট ১,১০,০০০ বর্গমিঃ এলাকা জুড়ে অবস্থিত।[1][2]
প্রাসাদটি তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত।
- Mabeyn-i Hümâyûn ( এই অংশ পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত )
- Muayede Salonu ( কমার্সিয়াল হল )
- Harem-i Hümâyûn ( দ্য হারেম, সুলতানের পরিবারবর্গের বাসস্থান )
মূল প্রাসাদটির আয়তন ৪৫,০০০ বর্গমিঃ (১১.২ একর)। এই প্রাসাদে মোট ২৮৫ টি কক্ষ, ৪৬ টি হলরুম, ৬ টি রাজকীয় স্নানাগার (হামাম) এবং ৪৮ টি টয়লেট।
প্রাসাদের বিভিন্ন অংশ
মেধল হল (প্রধান প্রবেশ)
এই প্রাসাদ দেখতে গেলে প্রথমেই মেধল হল পড়ে। এই হলরুম সমুদ্র ও তীরের সম্মুখভাগে অবস্থিত। এই রুমটি অটোম্যান সাম্রাজ্যের সভাকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হত।
রাজ্যের সচিবদের কক্ষ
মেধল হলের পরেই ডানদকে তৎকালীন রাজ্যের হিসাবরক্ষকদের হল অবস্থিত। এই রুমটি “"Tiled Room” হিসেবে পরিচিত। এই হলে প্রাসাদের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মূল্যবান পেইন্টিংস এই হলে রয়েছে, যা হলে হলের দেয়ালে শোভা বৃদ্ধি করেছে।
মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক –এর কক্ষ
মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাধীন তুরস্কের স্থপতি ও প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি এই প্রাসাদে তার জীবনের শেষ সময়গুলো কাটান চিকিৎসার জন্য। তিনি ১০ নভেম্বর, ১৯৩৮ সালে সকাল ৯.০৫ এ মৃত্যুবরন করেন। এবং তিনি যেই ঘরে থাকতেন, সেই ঘরেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যা বর্তমানে যাদুঘরের একটি অংশ হিসেবে সংরক্ষিত। সে সময় পুরো প্রাসাদের সকল ঘড়ি ৯.০৫ এ বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা আর চালু করা হয় নি। কিন্তু পরবর্তীতে নতুন ঘড়ি লাগানো হয়, পুরাতন ঘড়িগুলোর পাশাপাশি। তবে পুরাতন ঘড়িগুলো এখনো ৯.০৫ এ বন্ধ আছে।
ভিজিট আওয়ার
দলমাবা’চ প্রাসাদ যাদুঘরটি সরকারী ছুটির দিন (সোমবার ও বৃহস্পতি বার ব্যতিত) সকাল ৯.০০ থেকে বিকাল ৪.০০ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
গ্যালারি
- প্রাসাদের পরিকল্পনা
- অর্শ্বখুরাকৃতির ক্রিস্টাল সিড়িঘর
- বোসফোরাস যাওয়ার তোরণ
- প্রাসাদের হারেম অংশে আতার্তুক-এর মৃত্যু শয্যা
- ক্লক টাউয়ার
- ট্রেজারী গেট
- প্রধান ফটক
- অ্যাম্বাসেডর হল (Süfera Salonu)
- বাগানের ভেতরের ফোয়ারা
- বসফোরাস থেকে দলমাবা’চ প্রাসাদ
- বসফোরাস থেকে দলমাবা’চ প্রাসাদ
তথ্যসূত্র
- "Dolmabahçe Palace Museum"। ১৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৩।
- "Turkish Ministry of Tourism site about Dolmabahçe Palace"। ১০ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৩।
বহিঃসংযোগ
- Dolmabahce Palace history, photos, opening hours and opinions
- Dolmabahçe Palace official site
- National Palaces in Turkey official site