ত্লাবং ঝর্ণা

ত্লাবং ঝর্ণা বা দ্বৈত ঝর্ণা বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অবস্থিত জলপ্রপাত। যা জোড়া বা ক্লিবুং খাম নামেও পরিচিত।[1] পাথুরে খাল রেমাক্রির উৎপত্তি এই ঝরনা থেকেই। ত্লাবং একটি বম শব্দ। এর অর্থ “পানি ধরে রাখার বেসিন বা গর্ত”।

ত্লাবং ঝর্ণা বা জলপ্রপাত
অবস্থানবান্দরবন জেলা

বর্ণনা

দুটি পানির প্রবাহ প্রানশা বা প্রাংশা (বামে) ও পাঙ্খিয়াং বা পাংখিয়াং (ডানে) ঝিরি মিলে দুটি জলপ্রপাত তৈরী হয়েছে। দুটি ঝর্ণা একসাথে থাকার কারণের একে দ্বৈত ঝর্ণা বলা হয়। বম গ্রাম হতে ২.৫ কিমি দক্ষিণ-পূর্ব এবং কেওক্রাডং থেকে ১-২ ঘণ্টা দূরত্বে ত্লাবং ঝর্ণা অবস্থিত। সুংসাং পাড়া আর থাইক্ষাং পাড়ার মাঝের জঙ্গলের অত্যন্ত গভীরে অবস্থিত এই ঝর্নাটি।[2]

সুংসাং পাড়া থেকে লাল মাটির একটি গমনপথ এগিয়েছে থাইক্যাং পাড়ার দিকে। সেই পথ ধরে হাঁটলে দেখা মিলে তলাবংয়ের। পথের ডানপাশে কপিতাল পাহাড় অবস্থিত।

গমনপথ

রুমা – বগাহ্রদ – কেওক্রাডং – পাসিং পাড়া – সুংসাং পাড়া – ত্লাবং ঝর্ণা

যাতায়াত

বান্দরবান থেকে বাস করে রুমা সদর উপজেলা যাওয়া যায়। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর একটি করে বাস বান্দরবান থেকে রুমা বাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সেখান থেকে পরবর্তী গন্তব্য বগা হ্রদ। বগা হ্রদে দুইভাবে পৌঁছানো যায়। ঝিরিপথে হেঁটে বা চান্দের গাড়িযোগে।

বগা হ্রদ থেকে বাকীপথ ট্রেক করে এগিয়ে যেয়ে, দার্জিলিংপাড়া হয়ে বাংলাদেশের পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ কেওক্রাডংয়ে যাওয়া যায়। এরপর সেখান থেকে হেঁটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গ্রাম পাসিংপাড়ায় যেতে হয়। এরপর যেতে হয় সুংসাংপাড়া। প্রায় এক হাজার ফুট নিচে সুংসাংপাড়া অবস্থিত। সেখান থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা হাঁটার পর জোড়া ঝরণায় পৌঁছানো যায়।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "জোড়া ঝর্ণা - সমকাল"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৭
  2. "মেঘের দেশে পাহাড়ি ঝরনা"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.