যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, ঢাকা
ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস হচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন দূতাবাসটিতে ৪০০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন যারা বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কর্তৃক পরিচালিত হন।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, ঢাকা
![]() ![]() | |
---|---|
অবস্থান | গুলশান, ঢাকা |
ঠিকানা | ১২ মাদানী এভিনিউ |
রাষ্ট্রদূত | মার্সিয়া বার্নিকেট |
ইতিহাস
১৯৪৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঢাকায় তাদের কনস্যুলেট-জেনারেল প্রতিষ্ঠা করে, যখন এটি পাকিস্তান অধিরাজ্যে পূর্ব বাংলার রাজধানী ছিল।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে, এই স্থানটি তৎকালীন কনসাল-জেনারেল আর্চার ব্লাড কর্তৃক প্রেরিত ব্লাড টেলিগ্রামের জন্য বিখ্যাত যা অপারেশন সার্চলাইটের সময় সংঘটিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা ফুটিয়ে তোলে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সালে ৪টা এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়।[1] হারবার্ট ডি. স্পিভাক ঐসময়ে ঢাকায় নিযুক্ত প্রধান মার্কিন কূটনৈতিক অফিসার ছিলেন।[2] চার দিন পর, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সমঝোতা করে।[3] ১৮ মে, ১৯৭২-এ কনস্যুলেট-জেনারেল থেকে সরকারিভাবে দূতাবাসে উন্নীত করা হয়।[4]
বর্তমান দূতাবাস ভবনটি ১৯৮৯-তে চালু করা হয়।
স্থাপত্য
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ভবনটি মুঘল বাঙ্গালী স্থাপত্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি। এর বহিঃস্থ দেয়ালটি টেরাকোটার ইটের টাইল্সের সংমিশ্রণে তৈরি।
শাখা
- আর্চার কে ব্লাড আমেরিকান লাইব্রেরী, ঢাকা
- এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস এন্ড আর্টস, ঢাকা
- আমেরিকান কর্নার, চট্টগ্রাম
- আমেরিকান কর্নার, যশোর
- আমেরিকান কর্নার, রাজশাহী
- আমেরিকান কর্নার, সিলেট
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- "U. S. recognizes Bangladesh"। United Press International। Chicago Daily Defender। ৫ এপ্রিল ১৯৭২। পৃষ্ঠা 14।
- Welles, Benjamin (৫ এপ্রিল ১৯৭২)। "Bangladesh Gets U.S. Recognition, Promise of Help"। The New York Times। পৃষ্ঠা 1।
- Sabharwal, Pran (৯ এপ্রিল ১৯৭২)। "Mujib agrees to embassy ties with U.S."। The Baltimore Sun। পৃষ্ঠা A8।
- Trumbull, Robert (১৯ মে ১৯৭২)। "A Toast Drunk in Tea, and Dacca Has a U.S. Embassy"। The New York Times। পৃষ্ঠা 4।