টুরিঙেন

টুরিঙেন[টীকা 1] (জার্মান: Thüringen) জার্মানির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত একটি রাজ্য। এর আয়তন ১৬,১৭১ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২.২৯ মিলিয়ন। আয়তনের দিক থেকে এটি ষষ্ঠ ক্ষুদ্র এবং জনসংখ্যার দিক থেকে পঞ্চম ক্ষুদ্র। এর রাজধানী এরফুর্ট। এই রাজ্যের পাশ দিয়ে এলবা নদী বয়ে গেছে। টুরিঙেন জার্মানির সবুজ হৃদয় বা গ্রিন হার্ট অফ জার্মানি নামে সুপরিচিত।[2] কারণে এখানে ঘন বনাঞ্চল রয়েছে।

টুরিঙেন
Freistaat Thüringen
জার্মানির রাজ্য

পতাকা

প্রতীক
স্থানাঙ্ক: ৫০°৫১′৪০″ উত্তর ১১°৩′৭″ পূর্ব
দেশ জার্মানি
রাজধানীErfurt
সরকার
  Minister-Presidentক্রিসটিন লিবারনেখট্‌ (CDU)
  শাসক দলসমূহCDU / SPD
  বুনডেসরাটে ভোট4 (of 69)
আয়তন
  মোট১৬১৭১ কিমি (৬২৪৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (2013-12-31)[1]
  মোট২১,৬০,৮৪০
  জনঘনত্ব১৩০/কিমি (৩৫০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলসিইটি (ইউটিসি+১)
  গ্রীষ্মকালীন (দিসস)সিইডিটি (ইউটিসি+২)
আইএসও ৩১৬৬ কোডDE-TH
জিডিপি/নামমাত্র€ 49.87 বিলিয়ন (2010)
বাদাম অঞ্চলDEG
ওয়েবসাইটthueringen.de

এই রাজ্যটিতে প্রাকৃতিক শোভার জন্য পর্যটকরা ঘুরতে আসে। এবং শীতকালীন খেলাধূলার জন্যেও টুরিঙেন বিখ্যাত। জার্মানির সবচেয়ে বিখ্যাত হাইকিং ট্রেইল রান্সটাইগ এখানে অবস্থিত। শীতকালীন অবকাশকেন্দ্র ওবারহোফ এখানে রয়েছে। গত বিশ বছরে শীতকালীন অলিম্পিকে অন্য যেকোন দেশের চেয়ে বেশি স্বর্ণপদক অর্জন করেছে এবং এসব পদকের অর্ধেকই টুরিঙেনর অ্যাথলেটরা জিতেছে।

বিখ্যাত জার্মান সুরকার ও সঙ্গীতজ্ঞ ইয়োহান জেবাস্টিয়ান বাখ তাঁর জীবনের প্রথম অংশ এবং পরবর্তি জীবনের অনেক সময়ই টুরিঙেনতে অতিবাহিত করেন। বিখ্যাত জার্মান কবি ও দার্শনিক ইয়োহান ভোলফগাং ফন গোটে এবং ফ্রিডরিখ শিলার টুরিঙেনর শহর ভাইমারে বসবাস করতেন।

অর্থনীতি

টুরিঙেনতে জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের পরে অধিকাংশ ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যায় এবং ২০০৫ সালে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ হয়। পরবর্তিতে অর্থনৈতিক অবস্থায় গতির সঞ্চার হয় এবং ক্রমশ উন্নতি লাভ করে।

টীকা

  1. এই জার্মান ব্যক্তি বা স্থাননামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় জার্মান শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ শীর্ষক রচনাশৈলী নিদের্শিকাতে ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. "Bevölkerung der Gemeinden, erfüllenden Gemeinden und Verwaltungsgemeinschaften nach Geschlecht in Thüringen"Thüringer Landesamt für Statistik (German ভাষায়)। আগস্ট ২০১৪।
  2. "A. Trinius (1898)"। Books.google.com। ২০০৯-০৭-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০২-২১

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.