ঝরাপালক
ঝরাপালক বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান বাঙ্গালী কবি জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে (১৯২৭ খ্রিঃ) এটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। কবি তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ধূসর পাণ্ডুলিপি প্রকাশ করেন বহু পরে, ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে।
লেখক | জীবনানন্দ দাশ |
---|---|
মূল শিরোনাম | ঝরা পালক |
দেশ | ব্রিটিশ ভারত |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | কবিতা |
ধরন | আধুনিক বাংলা কবিতা |
প্রকাশক | শ্রীসুধীরচন্দ্র সরকার |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯২৭ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রিত গ্রন্থ |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১০৩ (প্রথম প্রকাশ) |
পরবর্তী বই | ধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩৬) |
প্রকাশনা তথ্যাদি
১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ) কলকাতার সিটি কলেজে টিউটরের চাকুরী করার সময় জীবনানন্দ দাশ তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশ করেন। প্রকাশক হিসেবে লেখা ছিল: শ্রীসুধীরচন্দ্র সরকার, ৯০/২/এ হ্যারিসন রোড, কলিকাতা। গ্রন্থটি ছেপেছিলেন এ. চৌধুরী ফিনিক্স প্রিন্টিং ওয়ার্কস, ২৩ নং কালিদাস সিংহ লেন, কলিকাতা। প্রচ্ছদে পাখির আটিটি পালকের ছবি দেয়া ছিল। ক্রাউন সাইজে পাতার সংখ্যা ছিল ৮ + ৯৩। মূল্য রাখা হয়েছিল এক টাকা। উৎসর্গ পত্রে লেখা ছিল: “উৎসর্গ- কল্যাণীয়াসু”; কারো নাম লেখা ছিল না। তবে পরবর্তীকালে জানা যায় যে জীবনানন্দ দাশ স্বীয় কাকা শ্রীঅতুলানন্দের কন্যা শোভনাকে এই কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন; জীবনানন্দ’র দিনপঞ্জীতে Y অক্ষর দিয়ে শোভনাকেই বোঝানো হয়েছে; শোভনার ঘরোয়া নাম ছিল বেবী (Baby)। অন্যান্য ঘটনাবলী থেকে অনুমান করা হয়েছে যে এই শোভনাই ‘বনলতা সেন’ কবিতার বনলতা সেন। সমসাময়িক কালে কবিতা প্রকাশের ক্ষেত্রে কবি ‘দাশগুপ্ত’ পদবী ব্যবহার করলেও এ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশকালে পদবী হিসেবে গুপ্তবর্জিত কেবল ‘দাশ’ ব্যবহার করেছিলেন। ১৯৭৩-এ বেঙ্গলি পাবলিশার্স থেকে ‘ঝরাপালক’-এর ২য় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। কবির ভাতুষ্পুত্র শ্রীঅমিতানন্দ দাশ ২০০৫-এ কাব্যগ্রন্থটির একটি সস্করণ করেন যা ’নিউস্ক্রিপ্ট সংস্করণ’ নামে পরিচিত।
ভূমিকা
কবিতা পরিচয়
প্রথম কাব্যগ্রন্থে জীবনানন্দ দাশ পঁয়ত্রিশটি কবিতা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কবিতাগুলো হলো: ‘আমি কবি সেই কবি, ‘নিলীমা, নব নবীনের লাগি, কিশোরের প্রতি, মরীচিকার পিছে, জীবন-মরণ মুয়ারে আমার, বেদিয়া, নাবিক, বনের চাতক মনের চাতক, সাগর-বলাকা, চলছি উধাও, একদিন খুঁজেছিনু যারে, আলেয়া, অস্তচাঁদে, ছায়া-প্রিয়া, ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলাল, কবি, সিন্ধু, দেশবন্ধু, বিবেকানন্দ, হিন্দু-মুসলমান, নিখিল আমার ভাই, পতিতা, ডাহুকী, শ্মশান, মিশর, পিরামিড, মরুবালু, চাঁদিনীতে, দক্ষিণা, যে কামনা নিয়ে, স্মৃতি, সেদিন এ ধরণীর, ওগো দরদিয়া, সারাটি রাাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়। এ কবিতাগুলোর বেশ কিছু গ্রন্থর্ভূত হওয়ার আগে প্রবাসী, কল্লোল, কালি-কলম বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রকাশের সময় কবি বিরাম মুখোপাধ্যায় ‘ঝরাপালক’ থেকে ‘নীলিমা’, ‘পিরামিড’, ‘সেদিন এ-ধরণীর’ মোট এ তিনটি কবিতা গ্রহণ করেছিলেন। এই কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত পঁয়ত্রিশটি কবিতার শিরোনাম হলোঃ[1]
- আমি কবি—সেই কবি
- নীলিমা
- নব-নবীনের লাগি
- কিশোরের প্রতি
- মরীচিকার পিছে
- জীবন-মরণ দুয়ারে আমার
- বেদিয়া
- নাবিক
- বনের চাতক—মনের চাতক
- সাগর-বলাকা
- চলছি উধাও
- কদিন খুঁজেছিনু যারে
- আলেয়া
- অস্তচাঁদে
- ছায়া-প্রিয়া
- ডাকিয়া কহিল মোরে রাজার দুলাল
- কবি
- সিন্ধু
- দেশবন্ধু
- বিবেকানন্দ
- হিন্দু-মুসলমান
- নিখিল আমার ভাই
- পতিতা
- ডাহুকী
- শ্মশান
- মিশর
- পিরামিড
- মরুবালু
- চাঁদিনীতে
- দক্ষিণা
- সে কামনা নিয়ে
- স্মৃতি
- সেদিন এ-ধরণীর
- ওগো দরদিয়া
- সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়