জেমস কুক
ক্যাপটেন জেমস কুক (অক্টোবর ২৭, ১৭২৮ - ফেব্রুয়ারি ১৪, ১৭৭৯) ছিলেন একজন ইংরেজ নাবিক। ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের মধ্যে তিনি প্রথম অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের পূর্ব উপকূলে পদার্পণ করেন। এছাড়া তিনি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও পদার্পণ করেন।
(ক্যাপ্টেন) জেমস কুক | |
---|---|
![]() জেমস কুক, নাথানিয়েল ডান্স-হোল্যান্ডের আঁকা, ১৭৭৫, ন্যাশনাল ম্যারিটাইম মিউজিয়াম[, গ্রিনউইচ। | |
জন্ম | মারটন, ইংল্যান্ড | ২৭ অক্টোবর ১৭২৮
মৃত্যু | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৭৭৯ ৫০) | (বয়স
পেশা | Explorer, নাবিক, cartographer |
উপাধি | ক্যাম্পটেন |
দাম্পত্য সঙ্গী | এলিজাবেথ বাটস |
জীবনী
ক্যাপ্টেন জেমস কুক
ক্যাপ্টেন জেমস কুক অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রধান ইংরেজ অভিযাত্রী, নাবিক ও মানচিত্রবিদ। প্রশান্ত মহাসাগর, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ করে তিনি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানচিত্র তৈরি করেন, যা পশ্চিমাঞ্চলের ভৌগোলিক রহস্য উন্মোচন করে। জেমস কুকের জন্ম ১৭২৮ সালের ৭ নভেম্বর ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের মিডলস ব্রোর কাছাকাছি এক ছোট গ্রামে। তার বাবা ছিলেন খামারকর্মী। কয়লা বহনকারী একটি জাহাজে কুক জাহাজ চালানো শেখেন। ১৭৫৫ সালে জেমস কুক ব্রিটিশ রয়েল নেভিতে যোগ দেন। ১৭৬৮ সালে তিনি প্রশান্ত মহাসাগরে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাকাজের কমান্ডার নিযুক্ত হন। ১৭৬৮ থেকে ১৭৭১ সালে তিনি জাহাজে করে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন এবং নিউজিল্যান্ড ও পূর্ব অস্ট্রেলীয় উপকূল অঞ্চল আবিষ্কার করেন। কুক তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার অস্ট্রেলীয় উপকূল জরিপ করে অস্ট্রেলিয়া ও নিউগিনির মধ্যবর্তী জলপথের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হন। তিনিই প্রথম নিউজিল্যান্ড উপকূলের ম্যাপ তৈরি করেন। ১৭৭২ থেকে ১৭৭৫ সালে তিনি ‘রিজলিউশন’ ও ‘অ্যাডভেঞ্চার’ নামের দুটি জাহাজ নিয়ে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ও নিউ হেব্রাইডিস ভ্রমণ করে নিউ ক্যালেডোনিয়া ও নরফোক আবিষ্কার করেন। সেই অভিযানে তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অবস্থান সম্পর্কেও ধারণা লাভ করেন। ১৭৭৮ সালে ক্রিসমাস ও হাওয়াই দ্বীপ আবিষ্কার করেন তিনি। কুকই সমুদ্রযাত্রায় প্রথম বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি প্রয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। জাহাজে যাত্রীদের স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে তিনি কার্যকর স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৭৭৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাওয়াই দ্বীপে তার মৃত্যু হয়।
