জয়নাল আবেদীন
জয়নাল আবেদীন (১৯৩৭-২০১৭) একজন ভাষাসৈনিক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন উর্দুভাষী বাংলাদেশি।
জয়নাল আবেদীন | |
---|---|
জন্ম | ১৫ জানুয়ারি ১৯৩৭[1][2] এলাহাবাদ, যুক্তপ্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ৯ মার্চ ২০১৭[1] |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
অন্যান্য নাম | বিহারী ঝনু, মাস্টার অব ওয়াল রাইটার[2][3] |
পেশা | সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব |
জীবনী
জয়নাল আবেদীন ১৯৩৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের যুক্তপ্রদেশের এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে তার পরিবার বিহার থেকে পূর্ববঙ্গের সৈয়দপুরে চলে আসে।[1][2][4] সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও স্নাতক পাশ করেন।
ভাষা আন্দোলন শুরু হলে তিনি উর্দুভাষী হওয়া সত্ত্বেও ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন।[3][5] তিনি ভাষা আন্দোলনের সময় দেয়াল লিখনের জন্য 'মাস্টার অব ওয়াল রাইটার' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়াও, তিনি 'বিহারি ঝনু' নামে পরিচিত ছিলেন।
১৯৫৭ সালে জং পত্রিকায় কাজ করার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবনের সূত্রপাত ঘটে।[4][5] এরপর তিনি কাজ করেন মর্নিং নিউজ, বাংলাদেশ টাইমস, চিত্রালী, ওয়াতন, এনায়।
জয়নাল আবেদীন ঢাকায় নির্মিত অনেক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন। এসব চলচ্চিত্রের মাঝে উল্লেখযোগ্য চকোরী, জনতা এক্সপ্রেস, আনাড়ি, পায়েল, ছোট সাহেব, রাজু, দংশন, ও সংগ্রাম।[3] তিনি বাংলাদেশের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র সঙ্গম এর সংলাপ ও সঙ্গীত রচয়িতা।[1] তিনি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত চিলেকোঠার সেপাই উর্দুতে অনুবাদ করেছেন।[1][2]
জয়নাল আবেদীন ২০১৭ সালের ৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর রিপোর্টার্স ইউনিটি তাদের বার্ষিক সাংস্কৃতিক পুরস্কার জয়নাল সাংস্কৃতিক পুরস্কার হিসেবে নামকরণ করে।[1]
তথ্যসূত্র
- "একজন জয়নাল আবেদীন"। যুগান্তর। ৭ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯।
- "বাংলাদেশে বিহারি ডায়াসপোরা সাহিত্য"। বিডিনিউজ২৪.কম। ১৪ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৯।
- "মৃত্যু পথযাত্রী মাস্টার অব ওয়াল রাইটার ভাষা সৈনিক সাংবাদিক ঝনু"। ইনকিলাব। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৯।
- "বাংলা অন্তঃপ্রাণ উর্দুভাষী সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন শয্যাশায়ী"। ইত্তেফাক। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৯।
- বাংলা অন্তঃপ্রাণ উর্দুভাষী জয়নাল আবেদীন শয্যাশায়ী