ছাত্রাবাস

শিক্ষার কোন সীমাবদ্ধ জায়গা নেই। শিক্ষার জন্য নানা জন নানা জায়গায় যান। সাধারণত শিক্ষার্থীরা শিক্ষার উদ্দেশ্যে যখন কোন জায়গায় যায় এবং তারা নির্দিষ্ট কতগুলো শর্তের মাধ্যমে নিজেরা বা অন্যের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত সময় পর্যন্ত নির্দিষ্ট স্থানে একত্রে অবস্থান করে তাকে ছাত্রাবাস বলে। [1] ছাত্রাবাস এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Hall,hall,hostel ।[2] শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীকই মূলত ছাত্রাবাস গড়ে উঠে। কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেরাই তাদের ছাত্রদের অবস্থানের সুবিধার্থে কিছু জায়গা বরাদ্ধ করে সাময়িক সময়ের জন্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কতৃপক্ষও বাণিজ্যিকভাবে ছাত্রাবাস তৈরি করেন যেখানে ছাত্ররা থাকতে পারে। সরকারি ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে ছাত্রাবাস পরিচালিত হয়।

ছাত্রাবাস

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছাত্রাবাস

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ডঅস্ট্রেলিয়াসহ কয়েক দেশে দীর্ঘমেয়াদী বাসস্থান প্রদানের প্রতিষ্ঠান বোঝায়। ভারত, পাকিস্তানদক্ষিণ আফ্রিকায় ছাত্রাবাস বলতে বোর্ডিং স্কুল বা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের আবাসস্থলকে বোঝায়। বিশ্বের অন্যান্য অংশে ভ্রমণকারীদের বাসস্থান বৈশিষ্ট্য বোঝায়।

বাংলাদেশে ছাত্রাবাসের ধরণ

বাংলাদেশে ছাত্রাবাস সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।

  1. প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত
  2. ব্যক্তি মালিকানাধীণ পরিচালিত

প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত

প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত ছাত্রাবাস সরাসরি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এখানে ছাত্রের পরিবর্তনে কর্তৃপক্ষের কোন পরিবর্তন হয় না। প্রতিষ্ঠান পরিচালিত ছাত্রাবাসে তুলনামূলক সুবিধা বেশি পাওয়া যায়।

ব্যক্তি মালিকানাধীণ পরিচালিত

এ ক্ষেত্রে ছাত্র নিজে এর পরিচালক হতে পারে অথবা অন্য কোন ব্যক্তি পরিচালক হতে পার। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন হয় সচরাচর। ব্যক্তি মালিকানাধীণ ছাত্রাবাসে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত ছাত্রাবাস অপেক্ষা তুলনামূলক সুযোগ সুবিধা কম।

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.