চান্দেল জেলা
চান্দেল জেলা (Pron:/ˌtʃænˈdɛl/) উত্তর-পূর্ব ভারত-এর মণিপুর রাজ্যের একটি অন্যতম জেলা৷ ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে তামেংলং জেলা-এর পরেই চান্দেল মণিপুরের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ জেলা৷[1]
চান্দেল জেলা | |
---|---|
মণিপুরের জেলা | |
![]() মণিপুরে চান্দেলের অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মণিপুর |
প্রতিষ্ঠিত | ১৩ মে ১৯৭৪ |
সদরদপ্তর | চান্দেল |
তহশিল | চান্দেল, চোকপিকারং, খেঞ্জয় |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | আউটার মণিপুর |
আয়তন | |
• মোট | ৫২১ কিমি২ (২০১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (2011) | |
• মোট | ১,৬৮,২১৭ |
• জনঘনত্ব | ৩২০/কিমি২ (৮৪০/বর্গমাইল) |
স্থানাঙ্ক | ২৪°১৯′ উত্তর ৯৩°৫৯′ পূর্ব |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ইতিহাস
১৯৭৪ সালের ১৩ মে’ তারিখে তেংন’পল (Tengnoupal) নামে এই জেলার সৃষ্টি করা হয়৷ ১৯৮৩ সালে জেলাটির সদর শহর চান্দেলে আনা হয় ও পরবর্তীকালে জেলাটিকে চান্দেল নামেই অভিহিত করা হয়৷ চান্দেল নামটি আসলে Chamdil শব্দ থেকে এসেছে। আনাল ভাষায় (Anāl (Pakan) language) এই নামের অর্থ: cham = 'simple', ও dil = 'trousers'৷
ভৌগোলিক অবস্থান
এই জেলার প্রশাসনিক মূল কেন্দ্র চান্দেল শহর৷ মণিপুর ও মায়ানমারের মাঝের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ম’রে শহর (Moreh town) জেলাটির দক্ষিণ দিকে অবস্থিত৷ জেলাটির বাণিজ্যর অন্য এক উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রস্থল হল চোকপিকারং শহর (Chakpikarong town)৷ এই শহরের মধ্য দিয়ে চোকপি নদী (Chakpi) বয়ে গেছে৷
অর্থনীতি
২০০৬ সালে পঞ্চায়তী রাজ মন্ত্রালয় ভারতের অন্যতম অনগ্রসর ২৫০ টি জেলার মধ্যে চান্দেল জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে৷[2] ভারতের Backward Regions Grant Fund Programme (BRGF)-এর থেকে পুঁজি লাভ করা মণিপুরের তিনটি জেলার মধ্যে চান্দেল জেলা অন্যতম৷[2]
মহকুমা
চান্দেল জেলাটিকে তিনটি মহকুমায় বিভক্ত করা হয়েছে:
- চান্দেল (Chandel)
- চোকপিকারং (Chakpikarong)
- খেঞ্জয় (Khengjoy)
জনসংখ্যা
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে চান্দেল জেলার জনসংখ্যা ১৪৪,০২৮ জন৷[1] ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে এই জেলার স্থান ৬০২৷[1] এই জেলার জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৩ জন৷[1] ২০০১-২০১১ দশকে জেলাটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২১.৭২%৷ [1] চান্দেলের প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে মহিলার সংখ্যা ৯৩২ জন৷ জেলাটির সাক্ষরতার হার ৭০.৮৫%।[1]
ভাষাসমূহ
চান্দেল জেলার সদর শহর চান্দেলের মূল ব্যবহৃত ভাষা Anāl (Pakan), Lamkang ও মেইতেই ভাষা৷ এই শহরের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক Anāl, Lamkang, Moyon ও Monsang উপজাতির৷[3] [4] [4]
জেলাটিতে ব্যবহৃত অন্যান্য ভাষাসমূহ হ’ল:
- উত্তর-পশ্চিম কুকী-চীন (Kuki-Chin) ভাষাসমূহ
- আইমোল ভাষা
- আনাল ভাষা
- জৌ ভাষা
- থাদৌ ভাষা
- লামকাং ভাষা
- চোথে ভাষা
- পুরুম ভাষা
- মোওন ভাষা
- নামফাউ ভাষা
- মোনসাং ভাষা
- তারাও ভাষা
- জিম ভাষা
- মারিং ভাষা
- বড়ো ভাষা
জৈববৈচিত্র্য
১৯৮৯ সালে এই জেলার ১৮৫ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে একটি অঞ্চল Yangoupokpi-Lokchao বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যর অন্তর্ভুক্ত করে সংরক্ষণর ব্যবস্থা করা হয়৷[5]
তথ্যসূত্র
- "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- Ministry of Panchayati Raj (সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (PDF)। National Institute of Rural Development। এপ্রিল ৫, ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১১।
- M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Aimol: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮।
- M. Paul Lewis, সম্পাদক (২০০৯)। "Anal: A language of India"। Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ)। Dallas, Texas: SIL International। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৮।
- Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Manipur"। অক্টোবর ৯, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১।