গ্রামীণফোন
গ্রামীণফোন বাংলাদেশের জিএসএম ভিত্তিক একটি মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী কোম্পানি। এটি ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু করে। নরওয়েজিয়ান কোম্পানি টেলিনর গ্রামীণফোনের ৫৫.৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক। বর্তমানে ৬ কোটি ৯২ লক্ষ গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন সেবাদাতা কোম্পানি।[3] গ্রামীণফোন বাংলাদেশের মোবাইল ফোন বাজারের ৫০ শতাংশেরও বেশি অংশ দখল করে আছে। ২০১৭ সালে গ্রামীণফোনের মোট আয় ১২৮৪৩ কোটি টাকা। নেট আয় ২৭৪২৩ কোটি টাকা। অন্যায্য ও অনির্দেশিত চার্জ কর্তনের জন্য নানা সময় প্রবল সমালোচনার মুখে সম্মুখীন হয়েছে গ্রামীণফোন।[4][5][6][7] অপারেটর পরিবর্তন সেবা চালুর পর সবচেয়ে বেশি গ্রামীণফোনের গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তন করেছেন।[8]
![]() | |
লিমিটেড | |
শিল্প | টেলিযোগাযোগ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৯৭ |
প্রতিষ্ঠাতা | মুহাম্মদ ইউনূস , ইকবাল কাদির |
সদরদপ্তর | ![]() |
পণ্যসমূহ | টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট |
আয় | ![]() |
বিক্রয় আয় | ![]() |
নীট আয় | ![]() |
মালিকসমূহ | ![]() ![]() পাবলিক ১০% |
কর্মীসংখ্যা | ৪,২৬০[2] |
স্লোগান | চলো বহুদূর |
ওয়েবসাইট | www.grameenphone.com |
প্রদেয় সেবাসমূহ

সংযোগের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন দুই ধরনের মোবাইল সেবা দিয়ে থাকেঃ পোস্ট-পেইড সংযোগ এবং প্রি-পেইড সংযোগ।
প্রি-পেইড সংযোগের মধ্যে রয়েছেঃ-
- বন্ধু
- ডিজ্যুস
- বিজনেস সল্যুশন (প্রিপেইড প্যাক ১-৫)
গ্রামীণফোন দুইটি নাম্বারে সেবা প্রদান করে থাকে +৮৮০ ১৭ XXXXXXXX এবং +৮৮০ ১৩ XXXXXXXX যেখানে +৮৮০ হলো ইন্টারন্যাশনাল কলিং কোড আর ১৭ এবং ১৩ হলো সরকার বরাদ্দকৃত কোম্পানি কোড এবং শেষ ৮ টি ডিজিট মোবাইল নাম্বার XXXXXXXX এছাড়াও বর্তমানে চালু হয়েছে আরো কয়টি প্যাকেজ ৷ যেমনঃ বন্ধু, নিশ্চিন্ত এবং ডিজুস ।
পোস্ট-পেইড সংযোগের মধ্যে রয়েছেঃ-
- মাই প্লান
- এক্সপ্লোর লিজেন্ড
- বিজনেস সল্যুশন (পোস্ট পেইড)
এছাড়াও গ্রামীণফোন এসএমএস, ভয়েস এসএমএস, এসএমএস পুশ-পুল সার্ভিস, ভিএমএস, এবং ডাটা সার্ভিস, ওয়েলকাম টিউন, রিংব্যাক টোন, মিসড কল এলার্ট, কল ব্লক প্রভৃতি সেবা প্রদান করে থাকে।
সম্প্রতি এটি তার গ্রাহকদের জন্য ৪জি বা চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট (তার বিহীন ব্রডব্যান্ড) সেবা চালু করেছে।
গ্রামীনফোন বন্ধু প্যাকেজে একসময় ফ্রি মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ চালানোর সুবিধা ছিল। ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে গ্রামীনফোন ফ্রি টুইটার ব্রাউজিংয়ের সুবিধা প্রদান করে। এছাড়াও ২০১৫ এর মার্চে বাংলা উইকিপিডিয়ার দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছিল অপারেটরটি।
ইতিহাস
গ্রামীণফোন ১৯৯৬ সালের ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পায়। লাইসেন্স পাওয়ার পর গ্রামীণফোন ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে তার কার্যক্রম শুরু করে। উল্লেখ্য যে এ অপারেটরটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়। এবং দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলেও উন্নত মানের সেবা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে গ্রামীন ফোনের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। গতবছরেও ৩জি সেবা থাকলেও ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করা হয় ৪জি সেবা। বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ৪জি নেটওয়ার্কের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
বায়স্কোপ
![]() | |
ব্যবসার প্রকার | প্রকাশ্য |
---|---|
সাইটের প্রকার | ভিডিও স্ট্রিমিং, ইন্টারনেট টিভি |
উপলব্ধ | বাংলা, ইংরেজি |
সদরদপ্তর | বসুন্ধরা, বারিধারা, ঢাকা |
পরিবেষ্টিত এলাকা | বাংলাদেশ |
মালিক | গ্রামীণফোন লিমিটেড |
শিল্প | স্ট্রীমিং |
স্লোগান | টিভি এখন পকেটে |
ওয়েবসাইট | bioscopelive.com |
অ্যালেক্সা অবস্থান | ![]() ![]() |
নিবন্ধন | ঐচ্ছিক, প্রিমিয়াম |
চালুর তারিখ | সেপ্টেম্বর ২০১৬ |
বর্তমান অবস্থা | সক্রিয় |
বায়োস্কোপ, বাংলাদেশী ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যা দর্শকদের কাছে লাইভ টিভি সামগ্রী এবং এক্সক্লুসিভ ভিডিও প্রদান করে। এটি দেশের প্রথম লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপ বা ওয়েবসাইট। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিটা ওয়েব সাইট হিসেবে বায়োসকোপ চালু হয়েছিল, এবং তারপর ২০১৭ সালের আগস্টে বিটা অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে এটি কায্যক্রম চালু করে। বায়োসকোপ যৌথভাবে বাংলাদেশের বোয়িংবড (স্টেলার ডিজিটাল লিমিটেড), বাংলাদেশের প্রধান ডিজিটাল বিনোদন পরিসেবা প্রদানকারী এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের মালিকানাধীন।
এই পরিসেবাটি দর্শকদের বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন, ৪০টির বেশি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেল, চলচ্চিত্র, ভিডিও, লাইভ ক্রিকেট মিল এবং অন্যান্য ভিডিও সামগ্রী প্রদান করে।
ওয়েবসাইট ছাড়াও, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ডিভাইসে অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে বায়োসকোপ পাওয়া যায়। এর ওয়েবসাইট-ও উপলব্ধ এবং মানুষ কম্পিউটার এবং iOS ডিভাইসগুলি দেখতে পারেন।[10]
বঙ্গো (স্টেলার ডিজিটাল লিমিটেড) সম্প্রতি জাতীয় আইসিটি পুরস্কার, বেসিস কর্তৃক আয়োজিত, তাদের সার্ভিস 'বায়স্কোপ' জন্য ২০১৭ সালে সেরা ডিজিটাল বিনোদন পণ্যের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
আগস্ট ২০১৭ এর দ্বিতীয় বিটা লঞ্চের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে গুগলের প্লে স্টোরের এটি ৩ মিলিয়নেরও বেশি ডাউনলোড এবং বাংলাদেশে ১ নম্বর এ্যাপস হয়েছে।[11]
তথ্যসূত্র
- Kalerkhontho সংগ্রহের-তারিখ=29 June 2019 শিরোনাম=Annual Report ২০১৮ https://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2019/01/29/731270 শিরোনাম=Annual Report ২০১৮
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)।|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - "Telenor Group - Grameenphone, Bangladesh"। Telenor Group।
- "Reference"। ২০০৭-০১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-০৪।
- "সুবিধা শুধু ফোন কোম্পানিগুলোর"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২১।
- "মিনিটপ্রতি কলচার্জ ১০ পয়সা করার দাবি"। প্রিয়.কম। ২০১৯-০১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-৩০।
- "প্রতি জিবিতে ৩০০ গুণ মুনাফা করছে মোবাইল কোম্পানিগুলো"। Ekushey TV। ২০১৯-০১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-৩০।
- "কলড্রপ ও ডাটা ব্যবহারে অসন্তোষ বাড়ছে গ্রাহকদের"। Ekushey TV। ২০১৯-০১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-৩০।
- "মোবাইল অপারেটর কেন পরিবর্তন করছে গ্রাহকরা"। বিবিসি। ২০১৮-১০-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-৩০।
- "bioscopelive.com Site Info"। Alexa Internet। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭।
- "GP Quietly Launched Video Streaming Service Bioscope"। futurestartup.com। Ibrahim Mahbub। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬।
- Enamul Haque Chowdhury। "Bongo wins National ICT Award for Bioscope Project"। daily-sun.com।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে গ্রামীণফোন সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |