গুয়াদালিমার

গুয়াদালিমার নদী (স্পেনীয় - Río Guadalimar) হল দক্ষিণ স্পেনের আলবাথেতে প্রদেশ ও খায়েন প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী।

গুয়াদালিমার
গুয়াদালিমার নদী
দেশস্পেন
অঞ্চলআন্দালুসিয়া
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য
মূল উৎসপিকো দে লা সালগা
সিয়েরা দে আলকারাথ, আলবেথেতে
মোহনাগুয়াদালকিবির নদী
খাবালকিন্তো, খায়েন
৩৭°৫৯′ উত্তর ৩°৪৪′ পশ্চিম
অববাহিকার আকার৫,৩২৭ কিমি (২,০৫৭ মা)
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
দৈর্ঘ্য১৬৭ কিমি (১০৪ মা)
নিষ্কাশন
  • অবস্থান:
    খায়েন প্রদেশ


প্রবাহপথ

গুয়াদালকিবির নদীর এই উপনদীটির জন্ম আলবাথেতে প্রদেশের সিয়েরা দে আলকারাথ পর্বতমালার অন্তর্ভুক্ত লা সালগা শৃঙ্গে (১৭৭০ মিটার)। শুরুতে এই নদীর উৎস ঝর্ণাটি আরোইয়ো দে তেখো (Arroyo de Tejo) নামেই সমধিক পরিচিত। উৎসস্থল ভিয়াভের্দে দে গুয়াদালিমারের কাছাকাছিই আরও বেশ কয়েকটি ঝর্ণার জল একত্রিত হয়ে গুয়াদালিমার নদীটি পুষ্ট হয়ে ওঠে। এরপর আলবাথেতে প্রদেশের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চল থেকে মূলত পশ্চিমমুখে ও কিছুটা দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে খায়েন প্রদেশে প্রবেশ করে। এই যাত্রাপথে তাকে সিয়েরা দে সেগুরা পার্বত্যভূমিও অতিক্রম করে যেতে হয়। উৎসমুখ থেকে ১৬৭ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে খায়েন প্রদেশে খাবালকিন্তো পৌর অঞ্চলের ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মেনখিবার গ্রামের কিছুটা পূর্বে নদীটি গুয়াদালকিবির নদীতে গিয়ে পড়ে।[1][2]

উপনদীসমুহ

গুয়াদালিমার নদীর উপর নির্মিত প্রাচীন রোমান সেতু পুয়েন্তে মোচো

অনেকগুলি ছোট ছোট নদী ও ঝর্ণা এই নদীতে দুইদিক থেকে এসে পড়েছে। ডানদিক থেকে এসে পড়া উল্লেখযোগ্য উপনদীগুলি হল -

  • ওনসারেস
  • গুয়াদালমেনা
  • গুয়াদালেন

অপরদিকে বামদিক থেকে এসে পড়া বিভিন্ন নদী ও ঝর্ণাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলি হল -

  • কোতিয়াস
  • ফ্রিও ঝর্ণা
  • কারিথাস
  • মোরলেস
  • ত্রুখালা
  • আরোইয়ো দে পেনিয়োলিতে

প্রবাহ, বহমানতা ও জলাধারসমূহ

আগে গুয়াদালিমার নদীর মধ্য ও নিম্নগতিতে দুইপারের বিভিন্ন অংশ আংশিকভাবে পাথরে বাঁধানো ছিল এবং নদীর জল সেচের কাজে ব্যবহৃত হত। এখনও নদীটির জল ঐ অঞ্চলে অলিভ চাষে সেচের কাজে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে এই নদীর গতিপথে বেশ কয়েকটি রিজার্ভার নির্মিত হয়েছে। এরমধ্যে সিলেস জলাধারটির জলধারণ ক্ষমতা ৩০৫ লক্ষ কিউবিক মিটার এবং গিরিবাইলে জলাধারের ৪৭৫০ লক্ষ কিউবিক মিটার। এই দ্বিতীয় জলাধারটির নীচে ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি আরিথা সেতুটি অবস্থিত। এছাড়া এর উপনদী গুয়াদালমেনা ও গুয়াদালেন'এও বাঁধ দিয়ে যে জলাধারগুলি নির্মিত হয়েছে, তাদেরও ধারণ ক্ষমতা যথাক্রমে ৩৪৬০ লক্ষ কিউবিক মিটার ও ১৬৩০ লক্ষ কিউবিক মিটার।[3]

ইতিহাস

কাস্তিও দে গিরিবাইলে দুর্গের ধ্বংসাবশেষ

রোমান যুগে এই নদীর নাম ছিল তাগো, তাগুস বা তুখিও নদী। তার উৎসস্থলের পর্বতের নামও ছিল সিয়েরা দে তুখিয়া। আরবরা এই নদীর নাম দেয় ওয়াদ আল-ইমার (الوادي الاحمر), অর্থাৎ লাল জলের নদী (রিও কলোরাদো)। গুয়াদিলমার নদীর জলের অদ্ভুত লালচে রঙই এই নামকরণের কারণ। নদীর বর্তমান নাম এই আরবি নামেরই স্পেনীয় অপভ্রংশ।

আরবিরা এই নদীর উপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে দ্বাদশ শতাব্দীতে নদীর তীরে কাস্তিও দে গিরিবাইলে বলে একটি দুর্গ গড়ে তোলে। ১২২৬/২৭ খ্রিস্টাব্দে এই নদী ও সংলগ্ন এলাকা পুনরায় খ্রিস্টীয়দের দখলে আসে।[4]

তথ্যসূত্র

  1. «Cuenca: Guadalquivir». Embalses.net. সংগৃহীত ১৫ অক্টোবর, ২০১৯।
  2. Embalse: GIRIBAILE (Tiempo Real). Embalses.net. সংগৃহীত ১৫ অক্টোবর, ২০১৯।
  3. Agua embalsada en España. Embalses.net
  4. Valdecantos Dema, Rodrigo. CASTILLOS DE JAÉN: Descubre el pasado de una tierra fronteriza. আইএসবিএন ৯৭৮৮৪৯৫২৪৪০০০.
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.