গুয়াতেমালার রাজনীতি

গুয়াতেমালার সরকারব্যবস্থায় ঐতিহাসিকভাবে নির্বাহী শাখার কর্মকর্তারা আধিপত্য বিস্তার করেছেন। অনেক সময় সেনাবাহিনী বড় ভূমিকা রেখেছে। দেশটি ২২টি ডিপার্টমেন্টে বিভক্ত। ডিপার্টমেন্টের প্রধানেরা রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত হন এবং একসময় বেশ ক্ষমতাশালী ছিলেন। ১৯৪৫ সালে বিপ্লবোত্তর কালে প্রণীত সংবিধানে স্থানীয় সরকারগুলিকে ক্ষমতা দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৫৪ সাল থেকে সিআইএ পরিচালিত প্রাসাদ বিপ্লবের পর সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। তার পর গণতন্ত্রের ক্ষতি হয়।

বর্তমান সংবিধানটি ১৯৮৫ সালের ৩১শে মে প্রণীত হয় এবং ১৯৮৬ সালের ১৪ই জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়। এটিতে গুয়াতেমালায় একটি প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং তিনটি শাখায় ভাগ করা হয়েছে – নির্বাহী, আইন প্রণয়নকারী এবং বিচার। এছাড়াও একটি স্বায়ত্বশাসিত সুপ্রিম নির্বাচনী ট্রাইবুনাল আছে। ১৮ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের সব নাগরিক ভোট দিতে পারেন। ১৯৯৩ সালের মে মাসে রাষ্ট্রপতি হোর্হে সেররানো এলিয়াস একনায়ক হিসেবে ক্ষমতা দখলের ব্যর্থ চেষ্টা চালান। এরপর ১৯৯৪ সালে সংবিধানে অনেকগুলি সংশোধনী যোগ করা হয়।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.