খৎনা-বিতর্ক
পুরুষ খৎনা বা ত্বকচ্ছেদ প্রায়ই কতিপয় পটভূমির কারণে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে রয়েছে- পটভূমিগুলোর মধ্যে রয়েছে ধর্মীয়, নৈতিক, যৌনতা এবং স্বাস্থ্যগত।
সেই প্রাচীন গ্রীক ও রোমীয় সভ্যতার জনগণ লিঙ্গত্বককে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করত এবং খৎনা বা লিঙ্গত্বকচ্ছেদনের বিরোধিতা করত- এরা ছিল পশ্চিমা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বিরোধী, যারা কিনা খৎনার পক্ষে ছিল। ঐতিহাসিক হজেস-এর মতে, মধ্যযুগ পর্যন্ত খ্রিষ্টানরা ইউরোপে খৎনা করত[1] প্রথাগত ইহুদীধর্ম এবং ইসলামধর্ম পুরুষ-সুন্নতকে একটি ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা হিসেবে সমর্থন ও পালন করে থাকে।
খৎনার নৈতিকতা অনেক বিতর্কিত একটি বিষয়। ১৯ শতকের শেষে ও ২০ শতকের শুরুতে, খৎনাকে সমর্থন করা হত এই কারণে যে এটি হস্তমৈথুন প্রতিরোধ করে। হস্তমৈথুনকে সেই সময়ে একটি পাপ হিসেবে মনে করা হত এবং নানা রকম অসুখ-বিসুখের কারণ হিসেবে ধরা হত। কিন্তু এই ধারণা বর্তমান সময়ে পুরোপুরি হাস্যকর কারণ হস্তমৈথুন কোন রোগের কারণ তো নয়ই বরং হস্তমৈথুনকে বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অভ্যাস বলে প্রমাণ করেছেন। খৎনা করার ফলে হস্তমৈথুনের প্রবণতা বিন্দুমাত্র কমে যায় না।[2][3] আধুনিক খৎনা-প্রবক্তারা দাবি করে থাকেন যে, খৎনা নানা ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং যৌন সুবিধা প্রদান করে থাকে।[4] অপরদিকে, খৎনা-বিরোধীরা সাবি করে থাকেন যে, রোগ হওয়ার আগেই খৎনা করার যৌক্তিকতা নেই এবং বিশেষ করে নবজাতকের খৎনা করার কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি বা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা নেই। তারা এও দাবি করেছেন যে, শিশুদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ কেটে ফেলে দেয়া কেবল ঝুঁকিপূর্ণই নয়, খৎনা করার কারণে পরবর্তীতে প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যৌন সুখ অনেক কমে যায়।[5]
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব
প্রাচীন বিশ্ব

আদিপুস্তক (বাইবেল)-এ খৎনাকে ঈশ্বরের সাথে আব্রাহাম একটি চুক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কিন্তু, অধিকাংশ পণ্ডিতই এই ঐতিহাসিক মতবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, কারণ বিজ্ঞান অনুযায়ী সৃষ্টিতত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং ইতিহাসবিদরাও আব্রাহামের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাননি। আব্রাহাম কেবলই বাইবেলীয় একটি রূপকথার চরিত্র ছাড়া আর কিছু নন।[6] পৃথিবীর প্রথম ইতিহাসবিদ হেরোডেটাস এর ইতিহাস অনুযায়ী, খৎনা প্রথা প্রথম চালু হয় মিশরীয়দের মধ্যে, তাদের দাস প্রথা চালুর সময়ে। ১৯ শতকের একটি নৃতত্ত্ব ও ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া যায় যে, খৎনা ছিল অনেক সেমিটিক গোত্র সহ ইহুদি, আরব এবং ফিনিশীয় জাতির মধ্যে একটি সাধারণ উপজাতীয় প্রথা।
ইহুদী ও ইসলামী ঐতিহ্য উভয়ই খৎনাকে অন্য গোষ্ঠী থেকে নিজেদের আলাদা করে চেনার উপায় হিসেবে দেখত।[7] বাইবেলে খৎনা না করাকে বিরোধী পক্ষের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। এবং ইহুদিরা যেসব যুদ্ধে বিজয়ী হত, যুদ্ধ শেষে তারা শত্রুদের মৃতদেহের খৎনা করত যাতে করে কি পরিমাণ শত্রু পক্ষের সৈন্য নিহত হয়েছে তার হিসেব রাখা যায়।. ইহুদীরা পরিবারের সকলের খৎনা করত, এমনকি দাসদেরও খৎনা করত। – এই অনুশীলন পরবর্তীতে রোমান ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আইনের সাথে বিরোধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। (নীচে দেখুন)।
হেলেনীয় সভ্যতার মানুষেরা খৎনা-কে বীভৎস আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে দেখত।[8]
রোমান সাম্রাজ্য-এ, সুন্নত বা খৎনাকে একটি বর্বর ও ঘৃণ্য প্রথা হিসেবে গণ্য করা হত। রোমান বাণিজ্যদূত টিটাস ফ্লাভিউস ক্লিমেন্স-কে নিজের খৎনা করে ইহুদী ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার অপরাধে রোমান সিনেট মৃত্যুদণ্ড দেয়।
পল খৎনা সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন যে, এই খৎনা কারও ওপর চাপিয়ে দেয়া উচিত নয়। গবেষকরা বলেন যে, ২য় শতকের মাঝামঝি ইহুদীরা এমন এক খৎনা পদ্ধতি আবিষ্কার করে( পদ্ধতিটির নাম পেরিয়াহ) যে শিশ্নমুণ্ডের বাম পাশের চামড়া সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয় যাতে করে পরবর্তীতে আর লিঙ্গত্বক পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পারে।[9]
প্রথম দিকের খ্রিস্টান ধর্মে সুন্নত বিতর্ক
প্রায় ৫০ ইসি সালে প্রথম খ্রিস্টান চার্চ কাউন্সিল ইন জেরুজালেম এক সভায় ডিক্রি জারী করে যে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য খৎনার কোন প্রয়োজন নেই। এর ফলে রাব্বানিক ইহুদি ধর্ম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মের লোকদের আলাদা করা সহজ হয়ে যায়।
কলাম্বিয়া এনসাইক্লোপিডিয়া অনুযায়ী,[10] "খ্রিষ্টানদের খৎনা পালনের কোন দরকার নেই এই আইনটি ধারা-১৫ তে লিপিবদ্ধ করা হয়;[11] এরপর থেকে কপটিক খ্রিস্টানরাই কেবল খৎনা করত।"
ইসলাম
সপ্তম শতকের শুরুর দিকে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বহু সেমেটিক জাতিগোষ্ঠীকে একত্রিত করেন। একটি বিষয়ে ইতিহাসবিদরা সুনিশ্চিত প্রমাণ পেয়েছেন যে, মহানবীর জন্মের বহু পূর্বেই নারী ও পুরুষদের খৎনা প্রথা এই সেমেটিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চালু ছিল। কিছু গল্প চালু আছে যে, নবী মুহাম্মদ নারী খৎনাকেও অনুমোদন দিয়েছিলেন, কিন্তু পণ্ডিতদের মতে, এর বর্ননাসূত্র দুর্বল এবং ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।
খৎনার চর্চাকে অনেকসময় হাদিসের উদ্ধৃতি অনুসারে ফিতরাত বা সহজাত স্বভাবের অংশ হিসেবে বর্ননা করা হয়।[12][13]
মধ্যযুগ থেকে ১৯ শতক
টমাস আকুইনাস তার সুম্মা থিওলজিকা গ্রন্থে প্রশ্ন উত্থাপন করেন যে, "যদি ইহুদী মতবাদে খৎনা মানুষের আদি পাপ দূর করে, যীশুর তো কোন আদি পাপ ছিল না, তবে যীশু কেন খৎনা করলেন?"
আধুনিক বিতর্ক

নৈতিকতা
খৎনার নৈতিকতা বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন। আমেরিকায় খৎনার হার অনেক বেশি, এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এর বিরোধিতা করেছেন।
যেসব দেশে খৎনার হার কম যেমন ডেনমার্ক এবং সুইডেন, পুরুষ এবং নারী খৎনাকে তুলনা করেছেন এবং দুই খৎনার মধ্যেই অনেক বেশি সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন। তারা নারী ও পুরুষ উভয়ের খৎনা করার ক্ষতিকারক দিক উল্লেখ করেছেন। খৎনা শারীরিক অখণ্ডতা ক্ষুণ্ণ করে বলে এসব দেশ মনে করেন।[14] ডেনমার্ক ও সুইডেন ২০১৪ ও ২০১৬ সালে মেডিক্যাল কারণ ব্যতীত খৎনা করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।[15][16]
ইতিহাস
খৎনা ১৯ শতকেই খৎনার দ্রুত বিস্তার ঘটে। ডাক্তার স্যার জোনাথন Hutchinson ইংল্যান্ড নিবন্ধ লিখেছিলেন খৎনা পদ্ধতির পক্ষে। পিটার চার্লস Remondino, সান দিয়েগোর একজন চিকিৎসক খৎনাকে উন্নীত করার জন্য একটি বই লিখেছেন, বইটির নাম- খৎনার ইতিহাস নিকটতম বার থেকে বর্তমান: নৈতিক এবং শারীরিক কারণে তার কর্ম সঞ্চালনের জন্য (১৮৯১), লুইস Sayre, একটি বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন সময়ে ছিল অন্য দিকে আমেরিকান উকিল. যাইহোক, তত্ত্ব, যা অনেক তাড়াতাড়ি দাবি করা হয়, যেমন প্রতিবিম্ব তত্ত্ব, রোগ, এবং কথিত ক্ষতিকর প্রভাব, মেয়েদের হস্তমৈথুন, আছে দীর্ঘ থেকে পরিত্যক্ত হয়েছে দ্বারা চিকিৎসা পেশা।
চিকিৎসা বিতর্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আমেরিকান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্স (এএপি), আমেরিকান একাডেমি অফ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানস (এএএফপি), এবং আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্টস (এসিওজি), যা ২০১২ সালে এএপি-র জারি করা বিবৃতি তৈরি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছিল , ২০১২ সালে তাদের পজিশন পেপারে যৌথভাবে মন্তব্য করে "" নবজাতকের খৎনা করার ন্যায় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে (যেখানে চিকিৎসা সুবিধা এবং ক্ষতির মধ্যে ভারসাম্য সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত মতপার্থক্য রয়েছে, যেখানে প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করতে হবে কিনা তার সিদ্ধান্তের ফলে ননমেডিক্যাল সুবিধা ও অসুবিধা হতে পারে এবং যেখানে সন্তানের তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য-উপকারিতার জন্য প্রক্রিয়াটি অত্যাবশ্যক নয়) পিতামাতার উচিত সন্তানের সর্বোত্তম উপকার কিসে হবে তা নির্ধারণ করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহুত্ববাদী সমাজে যেখানে উপযুক্ত বাচ্চা লালন-পালন ও শিশুর কল্যাণ কোনটি তা নির্ধারণের জন্য পিতামাতার বিস্তৃত কর্তৃত্ব রয়েছে, সেখানে এ বিষয়ে পিতামাতার পক্ষে চিকিৎসাগত বিষয়ের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং জাতিগত ঐতিহ্যকে বিবেচনায় রাখা বৈধ। "[17][18]
দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকায় এইচআইভি
২০০৮ সালে শুরু হওয়া এবং ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি কাঠামো অনুযায়ী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউএনএইডস পূর্ব এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এইচআইভি সংক্রমণের হার হ্রাস করার উপায় হিসেবে স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল পুরুষ খতনা (ভিএমএমসি) এর সুপারিশ করে এবং ২০০৮ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এ অঞ্চলের ১.১ কোটি কিশোর বালক ও পুরুষের খৎনা করা হয়, এবং ২০১৬ সালে লক্ষ্য নির্ধারিত হয় যে, ২০২১ সালের মধ্যে ১০-২২ বছর বয়সী ৯০% পুরুষের খৎনা করা হবে।[19][20]
২০১৬ সালে প্রকাশিত পর্যালোচনায় উক্ত পরীক্ষাগুলোর ফলাফল সঠিক বলে প্রমাণিত হয় এবং প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী অতিরিক্ত উচ্চমানের ক্লিনিকাল পরীক্ষাগুলিতে দেখা গেছে যে, ভিএমএমসি সেই অঞ্চলে এইচপিভি সংক্রমণ হ্রাস করতে সক্ষম।[21][22]
আফ্রিকায় যৌনবাহিত রোগ
২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত ২০০৯-এর একটি গবেষণাপত্রে যাতে আফ্রিকান পুরুষ এবং ছেলেদের মধ্যে যৌনবাহিত টাইপ ২ হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস সম্পর্কিত সম্পর্কে এবং মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) এর উপর ভিএমসিসির ক্লিনিকাল পরীক্ষার ফলাফল সম্পরকিত একটি বিবরণী প্রকাশ করে।[23][24] এনএইচএস উল্লেখ করেছে যে এই গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের নয়, আফ্রিকানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে মন্তব্যকারীরা যুক্তরাজ্যের লোকেদের তুলনায় বেশি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন এবং যুক্তরাজ্যের মন্তব্যকারীরারা বিশ্লেষণের কিছুটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।[23] এনএইচএস আরও উল্লেখ করেছে যে যৌন সংক্রমণজনিত রোগ প্রতিরোধের জন্য কনডম ব্যবহার হল সেরা উপায়।[23]
যৌনাঙ্গের অখণ্ডতা
যৌনাঙ্গের অখণ্ডতা হচ্ছে সম্পূর্ণ ও অপরিবর্তনীয় যৌনাঙ্গ থাকা। ইউরোপীয় চিকিৎসকরা বলেন যে, খৎনা করার ফলে যৌনাঙ্গের সবচাইতে সংবেদনশীল অংশ কেটে ফেলে দেয়া হয়, যা মানুষকে যৌন-জীবনে পঙ্গু করে ফেলে। পরিপূর্ণ যৌন-জীবনের জন্য খৎনা বর্জন করে যৌনাঙ্গের অখণ্ডতা বজায় রাখা উচিত। যৌনাঙ্গের অখণ্ডতা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

অন্যান্য সমসাময়িক বিতর্ক
ভারত ও পাকিস্তানে বিতর্ক
অখণ্ড ভারতবর্ষে ইসলাম প্রবর্তনের আগে কোন অঞ্চলের মানুষ খৎনা পালন করত না। পাকিস্তানীরা ইসলাম প্রবর্তনের পর থেকেই খৎনা প্রথা পালন করে আসছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল পাকিস্তানের পশ্চিম অঞ্চলের উপজাতীয়রা খৎনা প্রথা পালন করা না।
ইস্রাইলে বিতর্ক
খৎনা-বিরোধী পক্ষ[25] ইসরাইল-এর ইহুদিদের মধ্যেও বিদ্যমান। শিশু-অধিকার সংরক্ষনের জন্য অনেক খৎনা বিরোধী প্রতিবাদ এখানে হয়ে থাকে। যদিও পরিবার থেকে খৎনা করার জন্য অনেক চাপ প্রয়োগ করা হয়, তারপর অনেক পরিবারই শিশুদের খৎনা করানো থেকে ইদানীং বিরত থাকছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিতর্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার জসা প্রদেশে খৎনা করানোর সময় প্রচুর পরিমাণ শিশু মৃত্যু হয়ে থাকে। ২০০৯ সালে পূর্ব কেপ প্রদেশ , ৮০ জন ছেলে শিশু মারা গেছে এবং শত শত শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই বিতর্ক আবার দেখা দেয় জুলু প্রদেশেও, যেখানে ১৯ শতকে রাজা শাকা খৎনা নিষিদ্ধ করার পর আবার রাজা গুডউইল জএলথিনি খৎনা প্রথা প্রবর্তন করার উদ্যোগ নেন। অনুরূপ সমস্যা, অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী অঞ্চলগুলির মধ্যেও হয়ে থাকে।
জার্মানিতে বিতর্ক
জুন ২৬, ২০১২ তারিখে, জার্মানির একটি আদালত রায় দেয় যে, খৎনা কম বয়সী বালকদের জন্য পীড়াদায়ক ও তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আদালত আরও বলে যে, খৎনা-প্রথা শিশুদের পরবর্তীতে তাদের ব্যক্তিজীবনে সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে। এই সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে নিবন্ধ আদালত খৎনা-কে কোন মেডিক্যাল কারণ ব্যতীত করার ব্যাপারে বিধি-নিষেধ আরোপ করেন।
আরও দেখুন
- সুন্নত
- খৎনার নৈতিকতা
- খৎনার ইতিহাস
- মানুষের যৌনাঙ্গের অঙ্গহানি
- মানবাধিকার
- অক্ষত আমেরিকা
- প্রজনন অধিকার
- শৈলশিরাময় ত্বক
- পুরুষদের সহিংসতার বিরুদ্ধে
উইকিমিডিয়া কমন্সে খৎনা-বিতর্ক সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন
তথ্যসূত্র
- Hodges, F.M. (Fall ২০০১)। "The ideal prepuce in ancient Greece and Rome: male genital aesthetics and their relation to lipodermos, circumcision, foreskin restoration, and the kynodesme"। The Bulletin of the History of Medicine। 75 (3): 375–405। doi:10.1353/bhm.2001.0119। PMID 11568485।
- Remondino, P.C (১৮৯১)। History Of Circumcision। পৃষ্ঠা 65–69।
- Darby, Robert (Spring ২০০৩)। "The Masturbation Taboo and the Rise of Routine Male Circumcision: A Review of the Historiography"। Journal of Social History। 36 (3): 737–757। doi:10.1353/jsh.2003.0047।
- Brian Morris। "Circumcision: An Evidence-Based Appraisal"।
- Wallerstein, Edward (ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫)। "Circumcision: The Uniquely American Medical Enigma"। Urologic Clinics of north America। 12 (1): 123–132। PMID 3883617।
- Thompson, Thomas (২০০২)। The Historicity of the Patriarchal Narratives: The Quest for the Historical Abraham। Valley Forge, Pa: Trinity Press International। আইএসবিএন 1-56338-389-6।
It must be concluded that any such historicity ... about the patriarchs of Genesis is hardly possible and totally improbable. (p. 328)
- See the story of Dina & Shechem in Genesis. Also the mass circumcision during the exodus from Egypt.
- Jewish Encyclopedia: Circumcision: In Apocryphal and Rabbinical Literature: "Contact with Grecian life, especially at the games of the arena [which involved nudity], made this distinction obnoxious to the Hellenists, or antinationalists; and the consequence was their attempt to appear like the Greeks by epispasm ("making themselves foreskins"; I Macc. i. 15; Josephus, "Ant." xii. 5, § 1; Assumptio Mosis, viii.; I Cor. vii. 18; Tosef., Shab. xv. 9; Yeb. 72a, b; Yer. Peah i. 16b; Yeb. viii. 9a). All the more did the law-observing Jews defy the edict of Antiochus Epiphanes prohibiting circumcision (I Macc. i. 48, 60; ii. 46); and the Jewish women showed their loyalty to the Law, even at the risk of their lives, by themselves circumcising their sons."; Hodges, Frederick, M. (২০০১)। "The Ideal Prepuce in Ancient Greece and Rome: Male Genital Aesthetics and Their Relation to Lipodermos, Circumcision, Foreskin Restoration, and the Kynodesme" (PDF)। The Bulletin of the History of Medicine। 75 (Fall 2001): 375–405। doi:10.1353/bhm.2001.0119। PMID 11568485। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৭-২৪।
- Schultheiss D, Truss MC, Stief CG, Jonas U. Uncircumcision: A Historical Review of Preputial Restoration. Plast Reconstr Surg. 1998;101(7):1990–8. doi:10.1097/00006534-199806000-00037. PMID 9623850.
- Entry on "circumcision", The Columbia Encyclopedia, Sixth Edition, 2001-05.
- Acts 15
- Cohen, Jonathan (জুন ২০১১)। "Male circumcision in the United States: The History, an analysis of the discourse, and a philosophical interpretation"। College of Liberal Arts & Social Sciences Theses and Dissertations: 29। CiteSeerX 10.1.1.854.2776
।Unlike the Bible, there is not a lot of mention of circumcision in the Qur'an, but male circumcision is also deeply rooted in the Muslim tradition. Gollaher explains how “Muhammad is reported to have prescribed cutting the foreskin as a fitrah, a measure of personal cleanliness” (Gollaher, p. 45). Also, just as within the Jewish tradition, modern Muslims see this religious practice as not only morally but medically beneficial. A conference of Islamic scholars in 1987 stated that current pro-circumcision medical studies “[reflect] the wisdom of the Islamic statements” (Gollaher, p. 47).
- সহীহ বুখারী, ৭:৭২:৭৭৭ (ইংরেজি)
- https://www.theguardian.com/law/2011/jun/14/circumcision-ban-row-san-francisco
- http://www.ibtimes.com.au/denmark-sweden-ban-non-medical-circumcision-boys-1330592
- https://www.independent.co.uk/news/world/europe/denmark-considering-banning-circumcision-for-children-under-18s-a7459291.html
- American Academy of Pediatrics Task Force on Circumcision. Circumcision policy statement. Pediatrics. 2012;130:585–586. doi:10.1542/peds.2012-1989. PMID 22926180.
- American Academy of Pediatrics. Male circumcision. Pediatrics. 2012;130(3):e756. doi:10.1542/peds.2012-1990. PMID 22926175.
- "Voluntary medical male circumcision: a core campaign to reach the Fast-Track Targets"। UNAIDS। ১৭ অক্টোবর ২০১৬।
- A framework for voluntary medical male circumcision: effective HIV prevention and a gateway to improved adolescent boys' & men's health in Eastern and Southern Africa by 2021 (PDF)। World Health Organization। ২০১৬।
- Friedman, B; Khoury, J; Petersiel, N; Yahalomi, T; Paul, M; Neuberger, A (সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "Pros and cons of circumcision: an evidence-based overview."। Clinical Microbiology and Infection। 22 (9): 768–774। doi:10.1016/j.cmi.2016.07.030। PMID 27497811।
- Kaufman, MR; Smelyanskaya, M; Van Lith, LM; Mallalieu, EC; Waxman, A; Hatzhold, K; Marcell, AV; Kasedde, S; Lija, G; Hasen, N; Ncube, G; Samuelson, JL; Bonnecwe, C; Seifert-Ahanda, K; Njeuhmeli, E; Tobian, AA (২০১৬)। "Adolescent Sexual and Reproductive Health Services and Implications for the Provision of Voluntary Medical Male Circumcision: Results of a Systematic Literature Review."। PLOS ONE। 11 (3): e0149892। doi:10.1371/journal.pone.0149892। PMID 26938639। পিএমসি 4777442
। বিবকোড:2016PLoSO..1149892K। - "Circumcision and STIs"। NHS। ২৬ মার্চ ২০০৯।
- Tobian, AA; Serwadda, D; Quinn, TC; Kigozi, G; Gravitt, PE; Laeyendecker, O; Charvat, B; Ssempijja, V; Riedesel, M; Oliver, AE; Nowak, RG; Moulton, LH; Chen, MZ; Reynolds, SJ; Wawer, MJ; Gray, RH (২৬ মার্চ ২০০৯)। "Male circumcision for the prevention of HSV-2 and HPV infections and syphilis."। The New England Journal of Medicine। 360 (13): 1298–309। doi:10.1056/NEJMoa0802556। PMID 19321868। পিএমসি 2676895
। - "Explanation of opposing circumcision in Israel"।