খোবার
খোবার সৌদি আরবের পূর্ব প্রদেশ, ফারসি উপসাগর উপকূলে অবস্থিত একটি শহর। এটি উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের বৃহত্তম জনসংখ্যা বহুল শহরগুলির মধ্যে একটি, ২০১২ সালে এর জনসংখ্যা ছিল ৯,৪১,৩৫৮।
খোবার الخُبر | |
---|---|
শহর | |
![]() | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°১৫′ উত্তর ৫০°১০′ পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৩৫ |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | খোবার পৌরসভা |
• মেয়র | সুলাইমান আলথানায়ন |
• প্রাদেশিক গভর্নর | সৌদ বিন নাঈফ |
আয়তন | |
• শহর | ৫৭১ কিমি২ (২২০ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬ মিটার (২০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১২) | |
• শহর | ৯,৪১,৩১৮ |
• পৌর এলাকা | ৪১,৪০,০০০ |
সময় অঞ্চল | AST (ইউটিসি+৩) |
পোস্টাল কোড | ৩১৯৫২ |
এলাকা কোড | ০১৩ |
ওয়েবসাইট | kh-mun.gov.sa |
খোবার, দাম্মাম এবং দাহরান দাম্মাম মহানগর এলাকার অংশ, দাম্মাম সৌদি আরবের তৃতীয় বৃহত্তম মহানগর এলাকা ২০১২ সালে আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ৪,১০০,০০০।
তিনটি শহর কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর[1] এবং কিং আব্দুল আজিজ নৌবন্দর দ্বারা পরিবেষ্টিত। তিনটি শহর একসঙ্গে হওয়ার কারণে এটি স্থানীয়দের কাছে "ট্রিপলেট শহর" হিসাবে পরিচিত।
দাম্মাম, দাহরান ও খোবার শহর তিনটি একে অপরের থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত, যা একটি মহানগর এলাকা গঠন করে, এটি সৌদি আরবের পঞ্চম বৃহত্তম এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের ষষ্ঠ বৃহত্তম শহর।
খোবার শহরের অধিবাসীরা অনেকেই সৌদি অ্যারামকো, বিশ্বের বৃহত্তম তেল কোম্পানীর কর্মী এছাড়াও অনেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কোম্পানির কর্মী হিসেবেও কাজ করে। ঐতিহ্যগতভাবে, খোবার দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের শহর। বর্তমানে শহরে আন্তর্জাতিক রেস্টুরেন্টগুলি ফ্রাঞ্চাইজিস দ্বারা পরিচালিত। পূর্বের দোকানগুলোর অনেকগুলো এখন আধুনিক মল হিসেবে পরিচিত (যেমন দাহরান মল) এবং বুলেভার্ড। এছাড়াও নির্মাণাধীন রয়েছে অনেক দোকান ও আধুনিক মল।
ইতিহাস
পূর্ববর্তী দিনগুলোতে, খোবার ফার্সি উপসাগরীয় উপকূলের একটি ছোট বন্দর ছিল, যা মাছ ধরার জন্য পরিচিত ছিল। খোবার গ্রামটিতে আল দোসারী উপজাতিরা বাস করত।
১৯৩০-এর দশকে তেল আবিষ্কারের মাধ্যমে এটি বাণিজ্যিক এবং শিল্প বন্দরে পরিণত হয়। বর্তমানে এটি দাম্মাম এর বৃহৎ বন্দর। এ বন্দরের মাধ্যমে সৌদি আরব পূর্ব প্রদেশের জন্য বেশিরভাগ বাণিজ্যিক আমদানি হয়। রাস তানুরা এবং সৌদি অ্যারামকো এ বন্দরের মাধ্যমে তেল রপ্তানি করে। ফলস্বরূপ, খোবার পার্সিয়ান উপসাগর উপকূল বরাবর একটি কর্ণচিহ্ন পার্ক, রেস্টুরেন্ট এবং সৈকতগুলো বিচরণের জন্য তার জলসীমাকে রূপান্তরিত ও বর্ধিত করেছে।
১৯৯৬ সালে খোবার টাওয়ারএ একটি মার্কিন এয়ার ফোর্স হাউজিং কমপ্লেক্স ছিল। ইরান সরকারের মদদে জঙ্গিদের বোমা হামলায় টাওয়ারে কর্মরত ১৯ মার্কিন নাগরিক এবং একজন সৌদি নাগরিক বোমা হামলায় নিহত হন।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
বিমানবন্দর
দাম্মামের উত্তরপশ্চিমে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খোবার শহরের কাছে অবস্থিত; টার্মিনাল থেকে খোবার শহর পর্যন্ত ড্রাইভিং দূরত্ব ৫০ কিমি (৩১ মা).
সড়ক পথ
খোবার অঞ্চলের প্রধান মহাসড়কগুলো ধাহারান-জুবাইল মহাসড়ক, দাহরান-দাম্মাম মহাসড়ক এবং খোবার-দাম্মাম মহাসড়কের সাথে যুক্ত, যা খোবারকে সরাসরি দম্মামের সাথে যুক্ত করে এবং উভয়কে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাথে যুক্ত করে। খোবার থেকে কিং ফাহদ কোজওয়ে দ্বারা সৌদি আরবকে বাহরাইনে সংযুক্ত করে।
শিক্ষা
খোবারের প্রথম স্কুল ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে, খোবারে ১০০টিরও বেশি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান স্কুল, দাম্মাম (সিবিএসই) ১৭,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম স্কুলগুলির মধ্যে একটি।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তাদের নিজস্ব স্কুল এবং পাঠ্যক্রম পরিচালনা করে।
খোবারে বিভিন্ন পশ্চিমা-ভিত্তিক স্কুলও রয়েছেন যেমন ইন্টারন্যাশনাল ফিলিপাইন স্কুল, ব্রিটিশ ও আমেরিকান স্কুল, যা বিভিন্ন বহিরাগত সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করে আসছে। উদাহরণস্বরূপ দাহরান আহলিয়া স্কুল, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আলফাইসালিয়াহ ইসলামী স্কুল, আল-হুসান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল খোবার (আহিসক), সাদ ন্যাশনাল স্কুল, জুবাইল অ্যাকাডেমী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, কেএফপিএমএম স্কুল, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, আল-খোবার, গালফ ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ স্কুল, খোবার ফ্রেঞ্চ স্কুল,[2] ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম স্কুল, ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আল-খোবার ( বিআইএসএক), ইন্টারন্যাশনাল স্কুল গ্রুপ (যাদের দেশ জুড়ে একাধিক স্কুল রয়েছে), আল-আন্দালাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং আল খোবার আন্তর্জাতিক ফিলিপাইন স্কুল।