খাজা হাবিবুল্লাহ
নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ বাহাদুর (২৬ এপ্রিল, ১৮৯৫–২১ নভেম্বর, ১৯৫৮)ঢাকার পঞ্চম এবং শেষ নবাব। তার পিতা ছিলেন নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর। তার শাসনামলেই ঢাকার নবাব পরিবারের সম্পদ ও জৌলুশ কমতে থাকে এবং ১৯৫২ সালে ইস্ট পাকিস্তান এস্টেট অ্যাকিউজিশন অ্যাক্ট দ্বারা যা চূড়ান্তভাবে বর্জন করতে হয়।
নবাব খাজা হাবিবুল্লাহ | |
---|---|
![]() | |
রাজত্বকাল | ১৯১৫–১৯৫২ |
সমাধিস্থল | বেগমবাজার, ঢাকা |
পূর্বসূরি | নবাব খাজা সলিমুল্লাহ |
উত্তরসূরি | খাজা হাসান আসকারি |
রাজবংশ | ঢাকার নবাব পরিবার |
পিতা | নবাব খাজা সলিমুল্লাহ |
নবাব হাবিবুল্লাহ বার বার চেষ্টা করেন তার পিতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্য খাজা খায়রুদ্দিন এবং স্যার খাজা নাজিমুদ্দিনের শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি ভিত্তির কারণে তিনি ব্যর্থ হন। নবাব হাবিবুল্লাহ এসেম্বলি নির্বাচনে বাংলা থেকে স্বতন্ত্রপার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু তিনি তারই আত্মীয় এবং মুসলিম লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত খাজা খায়রুদ্দিনের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
শেষের দিকে অসুস্থতার কারণে তিনি রাজনীতি থেকে দূরে সরে আসেন। তিনি আহসান মঞ্জিলের প্রাসাদ ছেড়ে দেন এবং ঢাকার পরিবাগে অবস্থিত গ্রীন হাউস নামে নবাবদের আরেক বাসস্থানে বাস করা শুরু করেন। ২১শে নভেম্বর ১৯৫৮ তারিখে নবাব হাবিবুল্লাহ মৃত্যুবরণ করলে, ঢাকার বেগমবাজারে নবাবদের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে তার পিতার পাশে সমাহিত করা হয়।
তথ্যসূত্র
খাজা হাবিবুল্লাহ ঢাকার নবাব পরিবার | ||
পূর্বসূরী নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর |
ঢাকার নবাব ১৯১৫–১৯৫২ |
নেই |