খন্দকার আব্দুল মালিক
খন্দকার আব্দুল মালিক ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ। মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ (২২৯নং) আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সংসদ সদস্য ছিলেন।[1][2][3][4][5][6]
মাননীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আব্দুল মালিক | |
---|---|
![]() | |
সংসদ সদস্য | |
বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭৯, ১৯৯১ ও ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৯ – ১৯৮১ | |
সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ | |
সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ – জুন ১৯৯৬ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯২০ সিলেট, ব্রিটিশ ভারত, (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২০০৪ সিলেট |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত(১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান(১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
সন্তান | খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির |
পেশা | রাজনীতি |
জীবিকা | ব্যবসা |
জন্ম ও প্রথমিক জীবন
১৯২০ সালে ব্রিটিশ ভারতের আসামের সিলেট জেলার সদর উপজেলার তেতলী ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[4]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম মরহুম খন্দকার আব্দুল মালিক। তার হাত ধরেই সিলেট বিএনপির বীজ বপন হয়। সিলেট-১ আসনে ১৯৭৯, ১৯৯১ ও ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।[1][2][3]
১৯৯১ সালে সিলেটের ১৯টি আসনের মধ্যে কেবল এই আসনেই বিএনপির প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রার্থী হয়ে সিলেটের রাজনীতি দখলে নেন হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান। ২০০৮ পর্যন্ত তারই আধিপত্য ছিল সিলেটে। [5]
খন্দকার আব্দুল মালিক সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি'র প্রতিষ্ঠা কালিন ১৯৬৬ সালে থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত টানা ১২ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ সাল থেকে ৩০ মার্চ ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পূণর্বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।[7]
পারিবারিক জীবন
তার একমাত্র ছেলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হয়ে ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন। এবং তিনি ১ জন কন্যা সন্তানের জনক। তার ভাই খন্দকার আব্দুল জলিল পুর্ব পাকিস্তানের এমপিএ (সংসদ সদস্য) ছিলেন।
মৃত্যু
২০০৪ সালে মারা যান।[4]
তথ্যসূত্র
- "২য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- "৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- "প্রখ্যাত ব্যাক্তিত্ব- তেতলী ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৩ জুন ২০১৯। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৯।
- "সিলেট-১ আসনে চমক দেখাতে পারেন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৮।
- "খন্দকার আবদুল মালিক"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৮।
- দেবব্রত রায় দিপন (১৯ মে ২০১৯)। "খন্দকার থেকে খন্দকার, সিলেট চেম্বার এবার কার?"। সিলনিউজবিডি পোর্টাল। ১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৯।