খড়দহ

খড়দহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা।

খড়দহ
শহর
খড়দহ রেলওয়ে স্টেশন
খড়দহ
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২.৭২° উত্তর ৮৮.৩৮° পূর্ব / 22.72; 88.38
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাউত্তর ২৪ পরগণা
জনসংখ্যা (2001)
  মোট১,১৬,২৫২
ভাষা
  অফিসিয়ালবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)

নামকরণ

কথিত আছে, নিত্যানন্দ মহাপ্রভু নৌকাযোগে গঙ্গা নদীতে যাওয়ার সময় স্থানীয় ভূস্বামীর কাছে সামান্য ব্রহ্মত্তোর ভূখন্ড প্রার্থনা করেন। ভূস্বামী তাকে আপন ক্ষমতাবলে গঙ্গাবক্ষে ভদ্রাসন বানিয়ে নিতে বলেন ব্যাঙ্গচ্ছলে। ভূস্বামীর নিক্ষিপ্ত জলন্ত খড়ের আঁটি গঙ্গায় যেখানে গিয়ে পড়ে, প্রভু নিত্যানন্দের অলৌকিক ক্ষমতায় সেখানেই জেগে উঠল চর। এই থেকেই নাম হয় 'খড়দহ'[1]

সাংস্কৃতিক ইতিহাস

এখানে নিত্যানন্দের আগমনের সময় (১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ) খড়দহ বাঘ-সাপ অধ্যুষিত ছিল।

চৈতন্যভাগবতে উল্লেখ আছে,

তবে আইলেন প্রভু খড়দহ গ্রামে।
পুরন্দর পণ্ডিতের দেবালয় স্থানে।।
খড়দহ গ্রামে প্রভু নিত্যানন্দ রায়।
যত নৃত্য করিলেন – কথন না যায়।।

[2]

খড়দহের বিখ্যাত তান্ত্রিক সাধক প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস তার পিতার প্রতিষ্ঠিত ১২টি মন্দিরের সঙ্গে নিজে এখানে আরও ১৪টি মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন। তিনি আশি হাজার শালগ্রাম শিলা ও কুড়ি হাজার বাণলিঙ্গ শিবের একটি 'রত্নবেদী' প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তার অকাল প্রয়াণের পর থেকে এখনো জরাজীর্ণ অট্টালিকার অন্ধকার কক্ষে এই হাজার-হাজার শিলামূর্তি ছোট জৈন মূর্তির সাথে পূজিত হয়। তিনি জীবদ্দশায় প্রাণতোষিণীতন্ত্র, বৈষ্ণবামৃত, বিষ্ণুকৌমুদী, শব্দকৌমুদী, ক্রিয়াম্বুধি প্রভৃতি গ্রন্থ সংকলন করে বিনামূল্যে জনসাধারণের কাছে বিতরণ করেছিলেন।[2]

জনসংখ্যার উপাত্ত

ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে খড়দহ শহরের জনসংখ্যা হল ১১৬,২৫২ জন;[3] এর মধ্যে পুরুষ ৫৩% এবং নারী ৪৭%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৮১%; পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৩% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৯%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%; তার চাইতে খড়দহ এর সাক্ষরতার হার বেশি।

এই শহরের জনসংখ্যার ৮% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

তথ্যসূত্র

  1. প্রথম খন্ড, নারায়ন সান্যাল (২৯৯০)। রূপমঞ্জরি। কলকাতা: দেজ পাবলিশিং। পৃষ্ঠা ৩৪৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন।
  3. "ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি"। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৭, ২০০৬
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.