ক্রোয়েশিয়া-সৌদি আরব সম্পর্ক

ক্রোয়েশিয়া-সৌদি আরব সম্পর্ক (আরবি: العلاقات السعودية الكرواتية, ক্রোয়েশীয়: Hrvatsko-saudijski odnosi), ক্রোয়েশিয়া এবং সৌদি আরব এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৯৫ সালের ১৮ জুন এই দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। [1]

ক্রোয়েশিয়া-সৌদি আরব সম্পর্ক

ক্রোয়েশিয়া

সৌদি আরব

ক্রোয়েশিয়া তে সৌদি আরবের কোন দূতাবাস নেই। অপরদিকে সৌদি আরবেও ক্রোয়েশিয়ার কোন দূতাবাস নেই। মিশর এর রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসের নিকট, সৌদি আরব সম্পর্কিত সকল কূটনৈতিক এবং অন্যান্য কার্যক্রমের দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে এবং সৌদি আরবের কোন নাগরিকের প্রয়োজনে সেই দূতাবাসে যোগাযোগ করার নির্দেশনা রয়েছে। আবার বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাজধানী সারায়েভোতে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কিত সকল কূটনৈতিক এবং অন্যান্য কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করা হয় এবং কোন ক্রোয়াট কোন নাগরিকের প্রয়োজনে সেই দূতাবাসে যোগাযোগ করার নির্দেশনা রয়েছে।

২০১৪ সালের আগস্ট মাসে, সৌদি যুবরাজ রাষ্ট্রীয় সফরে ক্রোয়েশিয়ায় যান এবং সেখানে ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি, ইভো জোসিপোভিচ এবং দেশটির অর্থ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে, যুবরাজ, ক্রোয়েশিয়ার পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ক্রোয়েশিয়া এর পূর্বের ৬ বছর ধরে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল এবং সে জন্য তিনি বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে ক্রোয়েশিয়ার পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী হয়েছেন। তিনি ক্রোয়েশিয়ার এই দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি নেতিবাচক দিক বিবেচনা করেন না, বরং তিনি ইতিবাচকভাবে চিন্তা করেন। তিনি বলেন, ক্রোয়েশিয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ক্রোয়েশিয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই তিনি ক্রোয়েশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে তিনি ক্রোয়েশিয়ার সংকট উত্তরণের জন্য দেশটিকে কিছু পরামর্শ দেন। তিনি ক্রোয়েশিয়া সরকারকে কর ব্যবস্থার সংস্কার করার পরামর্শ দেন। এর পাশাপাশি তিনি আমলাতন্ত্র কমিয়ে বিনিয়োগবান্ধব কর ব্যবস্থা এবং অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার পিছনে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিভিন্ন খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে, ক্রোয়েশিয়ায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেন।

ক্রোয়েশিয়ার পর্যটন খাতকে তিনি সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করে বলেন, ২০০৯ সালে, ক্রোয়েশিয়ায় ১০ লক্ষ পর্যটক ভ্রমণে এসেছিলেন এবং এ থেকে ক্রোয়েশিয়ার আয় ছিল প্রায় ৬ বিলিয়ন (৬০০ কোটি) ইউরো। তাই তিনি এই খাতের বিকাশে অবদান রাখতে আগ্রহী ছিলেন এবং এ ব্যাপারে ক্রোয়েশীয় সরকারকে আরও জোরদার পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।[2][3][4]

সৌদি আরবে, ক্রোয়েশিয়ার মূল রপ্তানি পণ্য হল, সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। ২০১৩ সালে ক্রোয়েশিয়া ১৫ মিলিয়ন (১.৫ কোটি) ইউরোর অস্ত্র সৌদি আরবে রপ্তানি করে।[2]

তথ্যসূত্র

  1. "MVEP • Datumi priznanja"mvep.hr (ক্রোয়েশীয় ভাষায়)।
  2. "Saudijski princ otkrio što ga je najviše zainteresiralo u Hrvatskoj!"Večernji.hr (ক্রোয়েশীয় ভাষায়)।
  3. "Saudijski princ Alwaleed bin Talal bin Abdulaziz al-Saud bogat 20 milijardi dolara želio bi ulagati u Hrvatsku - Jutarnji.hr"jutarnji.hr (ক্রোয়েশীয় ভাষায়)।
  4. "Saudijski princ, jedan od najbogatijih ljudi na svijetu, stigao u Zagreb"Večernji.hr (ক্রোয়েশীয় ভাষায়)।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.