ক্রিস্টোফার লী

স্যার ক্রিষ্টোফার ফ্রান্ক ক্যারানদিনি লী (২৭ মে ১৯৯২ - ৭ জুন ২০১৫) ছিলেন যথাক্রমে একজন ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, লেখক এবং দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী।

স্যার

ক্রিষ্টোফার লী
বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফ্যাষ্টিবল ২০১৩- এ ক্রিষ্টোফার লী
জন্ম
ক্রিষ্টোফার ফ্রান্ক ক্যারানদিনি লী

(১৯২২-০৫-২৭)২৭ মে ১৯২২
বেলগ্রেভিয়া, ওয়েষ্টমিনিষ্টার, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যু৭ জুন ২০১৫(2015-06-07) (বয়স ৯৩)
চ্যালসিয়া, ওয়েষ্টমিনিষ্টার, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যুর কারণহৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে
জাতীয়তাইংরেজ
পেশাঅভিনেতা, গায়ক, লেখক
কার্যকাল১৯৪৬–২০১৫
দাম্পত্য সঙ্গীর্বাজেট ক্রন্ক (বি. ১৯৬১; তার মৃত্যু ২০১৫)
সন্তান
সামরিক কর্মজীবন
আনুগত্যব্রিটিশ যুক্ত রাজ্য
ফিনল্যান্ড (১৯৩৯)
সার্ভিস/শাখাফিনিশ আর্মি (১৯৩৯)
ব্রিটিশ হোম গার্ড (১৯৪০)
রয়েল এয়ার ফোর্স (১৯৪১–৪৬)
কার্যকাল১৯৩৯–১৯৪৬
পদমর্যাদাফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট
যুদ্ধ/সংগ্রাম
  • উইন্টার ওয়ার
  • দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ
  • নর্থ আফ্রিকান ক্যাম্পেইন
  • এ্যালাইড ইনভেশন অব ইটালি
  • ব্যাটেল অব মন্টে ক্যাসিনো

পেশা

প্রায় ৭০ বছরের জীবদ্দশায়, লী মূলত চিত্রায়িত করেছেন খলনায়ক চরিত্র এবং মারাত্মক ভয়ংকর ছবিতে কাউন্ট ড্রাকুলা নামক চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।

শ্রেষ্ট চরিত্র

তার অন্যান্য অভিনয় চরিত্রের মধ্যে জ্যাম্স বন্ড ফিল্মের দ্যা ম্যান উইথ দ্যা গোল্ডেন গান-এ ফ্রান্সিসকো স্ক্রাম্যাঙ্গা (১৯৭৪), দ্যা লর্ড অব দ্যা কিংস ফিল্ম সিরিজের সারুম্যান (২০০১-২০০৩) এবং দ্যা হবিট ফিল্ম সিরিজ (২০১২ ও ২০১৪) এবং ষ্টার ওয়ার্সের প্রাচীন সিরিজ (২০০২ ও ২০০৫) এ অভিনীত কাউন্ট ডুকু।

অভিনয়ে স্বীকৃতি

লী তার অভিনয় জগতে পেশাদারীত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ ২০০৯ সালে নাইট উপাধি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ২০১১ সালে বিএফটিএ (BAFTA) ফ্যালোশিপ[1] ও ২০১৩ সালে বিএফআই (BFI) ফ্যালোশিপ অর্জন করেন।

শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম

বলা হয়ে থাকে লী তার শ্রেষ্ঠ অভিনয় কৃতিত্ব দেখিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর জীবন ভিত্তিক চলচিত্র বায়োপিক জিন্নাহতে (১৯৯৮) এবং ব্রিটিশ ভয়ংকর (হরর) ফিল্ম দ্যা উইকার ম্যান (১৯৭৩)[2] তার অভিনীত শ্রেষ্ঠ চলচিত্র।

সঙ্গীতে অবদান

যদিও ভরাট গলায় গুরুগম্ভীর কন্ঠস্বরের জন্য তাকে সবসময় একজন অভিনেতা হিসাবেই চিহ্নিত করা হয় তথাপি লীর ছিল গানগাওয়ার দক্ষতাও। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮ এর মধ্যবর্তী কালে তার অনেকগুলি অপেরা বা যাত্রাপালা ও গারে রেকর্ড প্রকাশ পায়। ২০০৫ সাল হতে বহু মেটাল ব্যান্ড দলের সঙ্গে কাজ করার পর ২০১০ সালে দ্যা সোর্ড এন্ড দ্যা ক্রসের দ্বারা প্রকাশ পায় তার সিম্ফোনিক ম্যাটাল এ্যালবাম র্কালিম্যাগনী। তার হ্যাভি ম্যাটাল এ্যালবাম দ্যা ওম্যান্স অব ড্যাথ[3][4] প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালের ২৭ মে।

সঙ্গীতে স্বীকৃতি

২০১২ সালে ম্যাটাল হ্যামার গোল্ডেন গড সিরোমনিতে তিনি দ্যা স্প্রীট অব মেটাল এ্যাওয়ার্ডে ভূসিত হন।

মৃত্যু

রেসপারেটরী সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে লী ৭ জুন ২০১৫ তারিখ সকাল বেলা চ্যালসা হসপিটালে ৯৩ বছর বয়সে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।

তথ্যসূত্র

  1. "The Total Film Interview – Christopher Lee"Total Film। ১ মে ২০০৫। ২০০৭-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩
  2. "Sir Christopher Lee releases second heavy metal album"BBC News
  3. Farrell, John (২৮ মে ২০১২)। "Christopher Lee Celebrates 90th Birthday By Recording Heavy Metal"Forbes। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.