কেটো কচ্ছপ
কেটো কচ্ছপ, কাইট্টা কচ্ছপ বা বোদো কাছিম (বৈজ্ঞানিক নাম:Batagur baska) একপ্রজাতির নদীমাতৃক কচ্ছপ। এটি মিঠা ও নোনা দুই ধরনের পানিতেই বাস করতে পারে। এই ক্ষমতা অন্য কোনো কচ্ছপের নেই। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ে কাজ করা সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) মহাবিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে কাইট্টা কাছিমের নাম।[3]
কেটো কচ্ছপ | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Reptilia |
বর্গ: | Testudines |
উপবর্গ: | Cryptodira |
পরিবার: | Geoemydidae |
গণ: | Batagur |
প্রজাতি: | B. baska |
দ্বিপদী নাম | |
Batagur baska (Gray, 1830)[1] | |
প্রতিশব্দ[2] | |
|
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[4]
বর্ণনা
কেটো কচ্ছপের দেহ অপেক্ষাকৃত বড়। দৈর্ঘ্যে এরা প্রায় ৬০ সেমি ও ওজনে ১৮ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। পুরুষ কচ্ছপের খোলস বা কৃত্তিকাবর্ম বাদামি থেকে সবুজ। স্ত্রী কাছিমের ক্ষেত্রে জলপাই ধূসর রঙের। মাথা ছোট, তুণ্ড উপরের দিকে বাঁকানো, সূঁচালো এবং বেশ প্রসারিত। কৃত্তিকাবর্ম নিচু, সম্মুখভাগ প্রায় শঙ্কু আকৃতির।
প্রাপ্তিস্তান

একসময় সুন্দরবন থেকে শুরু করে মিয়ানমার-থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া উপকূল পর্যন্ত এই কচ্ছপের বসতি ছিল। জেলেসহ স্থানীয় অনেকের খাদ্যতালিকায় থাকায় এরা চিরতরে হারিয়ে যেতে বসেছে। সুন্দরবনের ভারতীয় অংশ, মিয়ানমারের আরাকান উপকূল, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় এই প্রজাতির কচ্ছপকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না; বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় কালেভদ্রে দেখা মেলে।[3]
আয়ু
গড় আয়ু ৪০ বছর।[3]
তথ্যসূত্র
- টেমপ্লেট:Harnvb
- Fritz Uwe (২০০৭)। "Checklist of Chelonians of the World"। Vertebrate Zoology। 57 (2): 212 – 213। ২০১০-১২-১৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১২। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - জন্ম নিল বিরল কাছিমের বাচ্চা, ইফতেখার মাহমুদ, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ:১১-০৬-২০১২খ্রিস্টাব্দ।
- বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০ ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা- ১১৮৪৪১