কুরচি ফুল
কুরচি (বৈজ্ঞানিক নাম: Wrightia antidysenterica) কে অনেকে গিরিমল্লিকাও বলে থাকে। এছাড়া কুটজ, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ নামেও পরিচিত। এদের পরিবারের নাম Apocynaceae[1]।
কুরচি Wrightia antidysenterica | |
---|---|
![]() | |
Flower | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
(শ্রেণীবিহীন): | Angiosperms |
(শ্রেণীবিহীন): | Eudicots |
(শ্রেণীবিহীন): | Asterids |
বর্গ: | Gentianales |
পরিবার: | Apocynaceae |
গণ: | Wrightia |
প্রজাতি: | W. antidysenterica |
দ্বিপদী নাম | |
Wrightia antidysenterica (L.) R.Br. | |
আকার
বাংলাদেশ ও ভারতের প্রজাতি ৬-৭ মিটার উচু, পত্রমোচী গাছ। এর কাণ্ড সরল, বাকল অমসৃণ ও হালকা ও ধূসর রঙের হয়ে থাকে। পাতা বেশ বড় ১২-২০ সেমি লম্বা। ভল্লাকার বা লম্ব-ডিম্বাকার।
ফুল
বসন্তের শেষে সমস্ত গাছে ছোট ছোট থোকার সাদা ফুলে ভরে ওঠে এবং শরৎ পর্যন্ত কিছু গাছে ফুল দেখা যায়। ২-৪ সেমি চওড়া ফুলের ২-৩ সেমি লম্বা নলের আগায় ৫ পাপড়ি, সুগন্ধি। ফল সজোড়, সরু, ২০-৩৫ সেমি ৫-৬ মিমি।[1]
বীজ
বীজ ১-১.৩ সেমি লম্বা, বাদামি রোমে জড়ানো। বীজ ও শিকড় থেকে গজান চারার মাধ্যমে চাষ।
গুনাগুণ
- কুরচির ছালে রয়েছে হোলাডিনেমাইন, কুরচাসিন, কোনিমাইন, হোলডিসিন আর সিটেস্টেরল নামক অ্যালকালয়েড।
- কুরচির ছাল রক্ত আমাশয় ও রক্তপিত্তের ঔষধ। এছাড়া পাতা, শিকড় ও বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।[2]
- সর্পদংশন এবং বিছার কামড়ে এ গাছের বাকল ব্যবহার করা হয়।
তথ্যসূত্র
- দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে ১৯৮৮; পৃষ্ঠা- ১৯, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭
- আঃ খালেক মোল্লা সম্পাদিত;লোকমান হেকিমের কবিরাজী চিকিৎসা; আক্টোবর ২০০৯; পৃষ্ঠা- ১১১-১১২
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.