কুম্ভরার
কুম্ভরার হল প্রাচীন মহানগরী পাটলীপুত্রের ধ্বংসাবশেষ। এটি ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা শহরের রেল স্টেশনের ৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।[1]
কুম্ভরার कुम्हरार | |
---|---|
অঞ্চল | |
কুম্ভরারে প্রাচীন পাটলীপুত্র মহানগরীর ধ্বংসাবশেষ | |
![]() ![]() কুম্ভরার | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৫′৫৬″ উত্তর ৮৫°১১′৫″ পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | বিহার |
শহর | পাটনা |
ভাষা | |
• কথ্য | হিন্দি, মাগধী |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন কোড | ৮০০০২৬ |
পরিকল্পনা সংস্থা | পাটনা আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদ |
পৌর-প্রশাসন | পাটনা পৌরসংস্থা |
ওয়েবসাইট | patna.nic.in |
কুম্ভরারে যে মৌর্যযুগীয় (খ্রিস্টপূর্ব ৩২২-১৮৫ অব্দ) প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে একটি হাইপোস্টাইল ৮০টি স্তম্ভযুক্ত সভাকক্ষ।[2][3] প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দের প্রত্নসামগ্রীও এখান থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।[4] অজাতশত্রু, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও মহামতি অশোকের রাজধানী এখানেই ছিল বলে জানা গিয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দ থেকে ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের প্রত্নসামগ্রী এখান থেকে পাওয়া গিয়েছে।[4]

মৌর্য সভাকক্ষের স্তম্ভ
খননকার্য
- ৮০টি স্তম্ভযুক্ত সভাকক্ষ: ১৯১২-১৯১৫ সালে ডি বি স্পুনার কর্তৃক খননকার্যের ফলে চকচকে পাথরের একটি স্তম্ভ এবং বেশ কয়েক টুকরো প্রত্নসামগ্রী পাওয়া যায়। খননকারীরা ছাই ও ধ্বংসাবশেষের ৭২টি ‘পিট’-এর সন্ধান পেতে সক্ষম হন। এগুলি থেকে জানা যায়, অন্য স্তম্ভগুলি কোথায় ছিল। ১৯৫১-১৯৫৫ সালে পরবর্তী খননকার্য চালান কে পি জয়সওয়াল। এই সময় আরও আটটি পিট আবিষ্কৃত হয়। এই সময়ই হলটি ‘৮০টি স্তম্ভযুক্ত সভাগৃহ’ নাম পায়। প্রত্যেকটি ধ্বংসাবশেষই মৌর্যযুগের। এই সভাকক্ষটি কী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছিল, তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে, এখানেই তৃতীয় বৌদ্ধ সঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[3] উল্লেখ্য, খ্রিস্টপূর্ব ২৫০ অব্দে আয়োজিত এই বৌদ্ধ সঙ্গীতির স্থান ছিল পাটলিপুত্ত (পাটলীপুত্র) শহরের ‘অশোকারাম’। এই সঙ্গীতিটি মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩-২৩২ অব্দ) আয়োজিত হয়েছিল।
- আনন্দবিহার: একটি ইষ্টকনির্মিত বৌদ্ধ মঠের ভিত্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। এখানে পাওয়া কাঠের পাটাতন ও মাটির মূর্তিগুলি পার্শ্ববর্তী উদ্যানগুলির প্রদর্শনীতে রাখা আছে।[4]
- আরোগ্যবিহার: খননকার্যের ফলে একটি আরোগ্যবিহারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখানে প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসক ধন্বন্তরী আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করতেন।[3]
- দারুখি দেবী মন্দির – ১৮৯০-এর দশকে ওয়াডেলের খননকার্যের ফলে একটি খোদাইকরা পাথরের বেড়া পাওয়া যায়। এটি ছিল একটি স্তুপের বেড়া। এই বেড়ার দুই দিকে নারীমূর্তি খোদিত ছিল। এই নারীমূর্তিগুলির নাম ছিল ‘দারুখি’ বা ‘দুরুখিয়া’ (দুই-মুখ বিশিষ্ট) দেবী। মূর্তিটি খ্রিস্টপূর্ব ২য়-১ম শতাব্দীর শুঙ্গ শিল্পকলার নিদর্শন। মূর্তিটিতে নারীমূর্তিগুলি গাছে ডাল ভাঙছে। এটি ‘শালভঞ্জিকা’ (বৃক্ষশাখা-ধ্বংসকারিণী) মূর্তি। দৃশ্যটি একটি প্রজনন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী তরুণীদের। পরবর্তীকালে মূর্তিগুলি নয়াটোলায় (কঙ্করবাগ) এগুলির নিয়ে আসা হয়। সেখানেই একটি মন্দির-আকৃতির ছাউনিতে এগুলিকে এখন পূজা করা হয়। এগুলির প্রতিমূর্তি পাটনা জাদুঘরে রক্ষিত আছে।
পরিবহণ
কুম্ভহারে বর্তমানে পাটনা মেট্রোর একটি স্টেশন তৈরি হচ্ছে। [5][6][7]
আরও দেখুন
আরও পড়ুন
- Altekar, A. S. Coins in Kumrahar and Bulandibag (Pataliputra) Excavations in 1912-13. (1951)
তথ্যসূত্র
- "Destinations :: Patna"।
- Devise plan to save Kumhrar site:HC The Times of India, February 1, 2002.
- Experts' meet to preserve Kumhrar The Times of India, December 26, 2006
- Ancient city of Pataliputra ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে Patna Official website.
- "Metro Route"। ৫ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
- Patna Metro
- An overview of archaeological importance of Bihar Directorate of Archaeology, Govt. of Bihar.
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.