কুতুবুদ্দিন আইবেক
কুতুবউদ্দিন আইবেক (ফার্সি / উর্দু: 'قطب الدین ایبک') মধ্যযুগীয় ভারতের একজন তুর্কী শাসক ছিলেন, যিনি দিল্লির প্রথম সুলতান এবং দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সুলতান হিসেবে ১২০৬ থেকে ১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মাত্র চার বছর শাসন করেন। দানশীলতার জন্য তাকে ‘লাখবখশ’ বলা হতো। ‘আইবেক’ শব্দের অর্থ চন্দ্রদেবতা। ১২১০ সালে পোলো খেলার সময় ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কুতুবউদ্দীন আইবেক | |
---|---|
সুলতান | |
![]() | |
রাজত্বকাল | 25 June 1206 – 1210 |
জন্মস্থান | তুর্কিস্তান |
মৃত্যু | ১২১০ |
মৃত্যুস্থান | দিল্লি সালতানাত |
সমাধিস্থল | আনারকলি বাজার, লাহোর |
পূর্বসূরি | সুলতান মুইজউদ্দীন |
উত্তরসূরি | আরআম শাহ |
ধর্মবিশ্বাস | ইসলাম |
প্রাথমিক জীবন

কুতুবুদ্দিন মধ্য এশিয়ার কোনো এক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন; তার পূর্ব পুরুষেরা ছিলেন তুর্কি[1][2] শিশুকালেই তাকে দাস (গোলাম) হিসেবে বিক্রি করা হয়। তাকে ইরানের খোরাসান অঞ্চলের নিসাপুরের প্রধান কাজী সাহেব কিনে নেন। কাজী তাকে তার নিজের সন্তানের মত ভালবাসতেন এবং আইবেককে তিনি ভাল শিক্ষা দিয়েছিলেন, তিনি আইবেককে ফার্সি এবং আরবি ভাষায় দক্ষ করে তোলেন।[3] তিনি আইবেককে তীর এবং অশ্বচালনায়ও প্রশিক্ষণ দেন। আইবেকের প্রভুর মৃত্যুর পরে প্রভুর ছেলে আইবেককে আবারও এক দাস বণিকের কাছে বিক্রি করে দেন। কুতুবুদ্দিনকে এবার কিনে নেন গজনির গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ ঘুরি। তিনি মুহাম্মদ ঘুরির কাছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রিয় পাত্র হয়ে উঠে এবং মুহাম্মদ ঘুরি তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দেন। এবং মুহাম্মদ ঘুরির সহচর হিসেবে নিযুক্ত হন.. ....
তার হাতের একটি আঙ্গুল কাটা ছিল ভাগ্যদোষে তিনি দাসে পরিণত হন । কুতুবউদ্দিন আইবেক মোহাম্মদ ঘুড়ির প্রধান সেনাপতি তাজ উদ্দিন ইলদুচে কন্যাকে বিবাহ করেন। কুতুবুদ্দিনের ভগিনীকে নাসিরুদ্দিন কো বাঁচার সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হয়। আইবেকের কন্যা এর সঙ্গে তুর্কি দাস সেনাপতি ইলতুৎমিশের বিবাহ হয়।