কাজী আনোয়ারা মনসুর
ড. কাজী আনোয়ারা মনসুর হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী। নারী শিক্ষায় অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে তাকে “বেগম রোকেয়া পদক” প্রদান করা হয়।[1]
ড. কাজী আনোয়ারা মনসুর | |
---|---|
জন্ম | ১৯১৮ |
নাগরিকত্ব | ![]() |
যেখানের শিক্ষার্থী | লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ |
প্রতিষ্ঠান | অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা |
পরিচিতির কারণ | শিক্ষাবিদ |
দাম্পত্য সঙ্গী | ডা. কাজী আবুল মনসুর |
সন্তান | নাজমা করিম (কন্যা) শহিদুল আলম (পুত্র) |
পুরস্কার | বেগম রোকেয়া পদক (১৯৯৯) |
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
“মনসুর মিডিয়া” উদ্ভাবক অধ্যাপক ডাঃ কাজী আবুল মনসুর তার স্বামী এবং ফটো সাংবাদিক ড. শহিদুল আলম তার পুত্র।[1]
শিক্ষাজীবন
তিনি কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে শিক্ষা লাভের পর ১৯৮০ সালে ঢাকা হতে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন।[2]
কর্মজীবন
১৯৫৭ সালের ২১ জানুয়ারি মাত্র ১৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে তিনি “আজিমপুর কিন্ডার গার্টেন স্কুল” প্রতিষ্ঠা করেন,[3] যা পরবর্তীতে “অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা” নামে পরিচিতি লাভ করে এবং তিনি এখানে একাধারে ৩০ বছর যুক্ত থেকে এদেশে নারী শিক্ষার প্রসারে অনন্য অবদান রাখেন।[4] ১৯৬৯ সালে কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে প্রগতিশীল নারী সংগঠন গড়ে তোলার সময় তিনিও অংশগ্রহণ করেন।[2] তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[5]
পুরস্কার ও সম্মাননা
১৯৯৯ সালে সমাজ ও নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত “বেগম রোকেয়া পদক” প্রদান করা হয় তাকে।[1]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "কারাগারে ড. শহিদুল : প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার আবেদন"। দৈনিক কালের কন্ঠ - অনলাইন। ২৮ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "ব্যক্তিত্ব : মায়ের চোখে শহিদুল আলম"। দৈনিক প্রথম আলো - অনলাইন। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস"। অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস (জানুয়ারি ২০০৩)। "অগ্রণী স্কুল ও কলেজ"। সিরাজুল ইসলাম। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "শহিদুল আলমকে নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে"। পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ - অনলাইন। ৯ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।