করুণাকণা গুপ্ত
করুণাকণা গুপ্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা শিক্ষিকা।[1] তিনি ১৯৩৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে সহকারী লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। তিনি স্বতন্ত্র "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ইউনিয়ন" গঠনের উদ্যোগ গঠন করেন। ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামেও তার ভূমিকা ছিল।
করুণাকণা গুপ্তা | |
---|---|
মৃত্যু | |
যেখানের শিক্ষার্থী | ইডেন স্কুল ও কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অধ্যাপক |
পরিচিতির কারণ | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা শিক্ষক |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
করুণাকণা ইডেন স্কুল ও কলেজ থেকে যথাক্রমে ১৯২৭ ও ১৯২৯ সালে ম্যাট্রিক ও আই.এ. পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯২৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। এই বিভাগ থেকে ১৯৩২ সালে স্নাতক এবং ১৯৩৩ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি লাভ করেছিলেন। শতকরা ৭০ ভাগের বেশি নাম্বার পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় তাকে স্বর্ণপদক প্রদান করে।[2] ১৯৩৩ সালে রমেশচন্দ্র মজুমদারের অধীনে ইতিহাস বিভাগের গবেষক হিসেবে যোগ দেন। এসময় ১৯৩৪ সালের ২৪ মে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়।
কর্মজীবন
তিনি কামরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। তারপর করুণাকণা ১৯৩৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে সহকারী লেকচারার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৩৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বঙ্গীয় শিক্ষা সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি পরে কলকাতা বেথুন কলেজে অধ্যাপক, লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষ এবং অবসরগ্রহণের আগে পশ্চিমবঙ্গের ডিডিপিআই হয়েছিলেন।
জীবনাবসান
১৯৭৯ সালের ১৩ নভেম্বর কলকাতায় তার জীবনাবসান ঘটে।
পুরস্কার ও সম্মাননা
তথ্যসূত্র
- "নারীর ক্ষমতায়নে উচ্চশিক্ষা"। দৈনিক প্রথম আলো। জুলাই ১৩, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৭।
- "ঢাকা : স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী"। কালি ও কলম। অক্টোবর ১২, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৭।