কনকচূড়া
কনকচূড়া (বৈজ্ঞানিক নাম: peltophorum pterocarpum) লেগুমিনোসি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত উদ্ভিদ। এটি চারপাশে শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে দিয়ে বেড়ে ওঠে। পাতা যৌগিক। গাছ ও পাতার আকৃতি কৃষ্ণচূড়াগাছের মতোই। কনকচূড়ার শীতের শেষভাগে পাতা ঝরে যায়। গ্রীষ্মে নতুন কচি পাতা আর ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। ফুলে পাপড়ির সংখ্যা পাঁচটি ও পাপড়িগুলো কুঞ্চিত। ফুল ফোটে শাখার ডগার লম্বা মঞ্জরিতে।[1][2]
কনকচূড়া | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
(শ্রেণীবিহীন): | Angiosperms |
(শ্রেণীবিহীন): | Eudicots |
(শ্রেণীবিহীন): | Rosids |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
গণ: | Peltophorum |
প্রজাতি: | P. pterocarpum |
দ্বিপদী নাম | |
Peltophorum pterocarpum (DC.) K. Heyne | |
আকার
কনকচূড়ার আকৃতি বিরাট। প্রায় ২০ মিটার উঁচু। এরা শাখায়িত পত্রমোচি, বড় গাছ। পাতা কালচে সবুজ ও রুক্ষ। প্রধান কাণ্ড খাড়া, ধূসর বর্ণ ও মসৃণ। পাতা দ্বিপক্ষল, যৌগিক। শাখার আগায় দীর্ঘমঞ্জরিতে হলুদ ফুল হয়। গ্রীষ্মের শুরুর ফুল খুবই সুন্দর। এদের ফল তামাটে। Peltophorum অর্থ ঢালবাহী; ঢালের মতো ফলের আকৃতির জন্য এই নামকরণ। ফুলের পর গুচ্ছ গুচ্ছ ফলে গাছ ভরে উঠে। বীজ ১-৩টি। বীজে চাষ করা যায়।[3] বসন্তে মুকুলিত হওয়ার আগেই এদের কচি পাতার সবুজে গাছ সম্পূর্ণ ভরে যায়। পত্রাক্ষ রোমশ এবং পত্রিকার ফুল গাঢ় হলুদ, মৃদু সুগন্ধি এবং শাখায়িত মঞ্জরি ঊর্ধ্বমুখী। গ্রীষ্মের শুরু প্রস্ফুটনের কাল। বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মে। ছায়াতরু হিসাবেও কনকচূড়া সমাদরযোগ্য। সারা বর্ষাকালে কয়েক বার বিক্ষিপ্তভাবে ফুল ফোটে।[1][2]
ফুল
ফুল উজ্জ্বল কমলা রঙের ও সুরভিময়, দূর থেকে হলুদ দেখায়। বিরাট দ্বিপক্ষল পাতা, শাখায়িত দীর্ঘ হলুদ পুষ্পমঞ্জরি এবং চ্যাপ্টা তামাটে ফলের প্রাচুর্যতা দিয়ে কনকচূড়া চিনা যায়।[1][2]
ফল

কনকচূড়ার ফল শিমের মতো, কৃষ্ণচূড়ার ফলের মতো বিশালাকৃতির নয়। দুই থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা হয় ও রং তামাটে। ফুলের মতো ফলও প্রচুর হয়।[1]
কাঠ
কাঠ তেমন দামী নয়, সারাংশ আসবাবপত্রে ব্যবহৃত হয়।[2]
গ্যালারি
- Follaje y flores
- Árboles
- Feuilles et fleurs
- Feuilles
- Planche botanique
- Peltophorum pterocarpum (habit and city bus in background). Location: Oahu, Ala Moana Beach Park
- Flower, buds, leaves, fruit and squirrel in Kolkata, India where it is known by the name Radhachura in contrast with the reddish Krishnachura or Delonix Regia
তথ্যসূত্র
- রোদ ঝলমলে দিনে কনকচূড়া,আশীষ-উর-রহমান , দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৭-০৫-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
- মনোমুগ্ধকর কনকচূড়া, শেখর রায়, দৈনিক ডেসটিনি। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৭ মে ২০১০ খ্রিস্টাব্দ।
- দ্বিজেন শর্মা, ফুলগুলি যেন কথা, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ডিসেম্বর ২০০৩, পৃষ্ঠা-১৬।