ওয়েংচেন গোংঝু
ওয়েংচেন গোংঝু (চীনা: 文成公主, পিনয়িন: Wénchéng Gōngzhǔ) (জন্ম ? - মৃত্যু ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দ) [1] চীনের ট্যাং সম্রাট ট্যাং তাইজংয়ের ভ্রাতুষ্পুত্রী ও তিব্বত সম্রাট স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর পত্নী ছিলেন।

স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পোর সাথে বিবাহ
৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো ট্যাং সম্রাটের নিকট দূত মারফৎ সোনা ও রেশম পাঠিয়ে চীনের যে কোন একজন রাজকুমারীকে বিবাহ করার প্রার্থনা করেন।[2] কিন্তু এতে ট্যাং সম্রাট ট্যাং তাইজং আপত্তি করলে তিনি তুয়ুহুন রাজ্য ও সোংঝৌ নামক ট্যাং সাম্রাজ্যের সীমান্ত প্রদেশ আক্রমণ করেন।[3] ট্যাংদের লেখা রচনাতে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধে স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো পরাজিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে ট্যাং সম্রাট ট্যাং তাইজং তার বিবাহের প্রার্থনা স্বীকার করেন। [4][5] কিন্তু তিব্বত থেকে প্রাপ্র রচনা থেকে যায় যে তিব্বতী সেনা চীনাদের পরাজিত করলে ট্যাং তাইজং তার ভ্রাতুষ্পুত্রী ওয়েংচেন গোংঝুকে তার হাতে দিতে বাধ্য হন। [3] ওয়েংচেন গোংঝু ৬৪১ খ্রিষ্টাব্দে তিব্বতে পৌছলে তার বিবাহ হয়।
বিবাহের গুরুত্ব

এই বিবাহের ফলে দুই নবগঠিত সাম্রাজ্যের মধ্যে শান্তি স্থাপিত হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ওয়েংচেন গোংঝুর আগমণের ফলে তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রবেশ করে। ওয়েংচেন গোংঝু বিবাহের চুক্তি হিসেবে প্রচুর সোনা, গয়না, রেশম, পোর্সেলিন, ধর্মগ্রন্থ ও চিকিৎসাবিদ্যার বই তিব্বতে নিয়ে আসেন। [6] এছাড়াও তার আগমণের ফলে চীনের কৃষি কৌশল, কৃষি যন্ত্রপাতি, ধাতুবিদ্যা, কাগজ ও কালি প্রস্তুতির কৌশল, বয়নশিল্প তিব্বতে প্রবেশ করে। [6]
তিব্বতে সম্মাননা
ওয়েংচেন গোংঝু চীন থেকে বহু বুদ্ধমূর্তি সঙ্গে আনলে সেগুলিকে স্থান দেওয়ার জন্য স্রোং-ব্ত্সন-স্গাম-পো তার জন্য লাসা শহরে জোখাং নির্মাণ করেন। [7] তিব্বতে ওয়েংচেন গোংঝুকে দ্রোলমা বা তারার অবতার সাদা তারা বা দোল-কার হিসেবে পূজা করা হয়ে থাকে। [8] প্রতি তিব্বতি বছরের চতুর্থ মাসের ও দশম মাসের পঞ্চদশ দিনে ওয়েংচেন গোংঝুর সম্মানে তিব্বতে উৎসব হয়।
তথ্যসূত্র
- 資治通鑑/卷 ২০২ (চীনা)
- "Acme of Obscenity"। ২০১০-০৭-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২৮।
- Powers, John. History as Propaganda: Tibetan Exiles versus the People's Republic of China (2004) Oxford University Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫১৭৪২৬-৭, pp. 168-9
- Lee, Don Y. The History of Early Relations between China and Tibet: From Chiu t'ang-shu, a documentary survey (1981) Eastern Press, Bloomington, Indiana. ISBN 0-939758-00-8pp. 7-9
- Pelliot, Paul. Histoire ancienne du Tibet (1961) Librairie d'Amérique et d'orient, Paris, pp. 3-4
- http://www.womeninworldhistory.com/silk-road-05.html
- History of Jokang Temple
- Das, Sarat Chandra. (1902), Journey to Lhasa and Central Tibet. Reprint: Mehra Offset Press, Delhi. 1988, p. 165
আরো পড়ুন
- Jiawei Wang, Nimajianzan (1997), The historical status of China's Tibet
- Beckwith, Christopher I (1987). The Tibetan Empire in Central Asia. Princeton: Princeton University Press.
- Dowman, Keith. The Power-places of Central Tibet: The Pilgrim's Guide (1988) Routledge & Kegan Paul, London and New York. আইএসবিএন ০-৭১০২-১৩৭০-০
- Laird, Thomas. The Story of Tibet: Conversations with the Dalai Lama (2006) Grove Press, New York. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮০২১-১৮২৭-১
- Powers, John. History as Propaganda: Tibetan Exiles versus the People's Republic of China (2004) Oxford University Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫১৭৪২৬-৭
- Richardson, Hugh E. (1965). "How Old was Srong Brtsan Sgampo" Bulletin of Tibetology 2.1. pp 5–8.
- Richardson, Hugh E. (1997). "Mun Sheng Kong Co and Kim Sheng Kong Co: Two Chinese Princesses in Tibet." The Tibet Journal. Vol. XXII, No. 1. Spring 1997, pp. 3–11.