ওমর আলী

ওমর আলী (ইংরেজি: Omar Ali) (২০ অক্টোবর ১৯৩৯ – ৩ ডিসেম্বর ২০১৫) একজন বাঙালি বাংলাদেশী রোম্যান্টিক কবি যিনি ষাট দশকের কবি হিসেবে চিহ্নিত। তিনি তার রচিত প্রেমের কবিতাসমূহের জন্য বিখ্যাত। শ্যামবর্ণা স্বাস্থ্যবতী আদিম বাঙালি নারীকে তিনি তার সমস্ত ইন্দ্রিয়ানুভূতি দিয়ে আবিষ্কার করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তার কবিতায় গ্রাম বাংলার মাটির অকৃত্রিম সোঁদা গন্ধ মেলে। প্রেয়সীর সংস্পর্শ, মিলন ও বিরহ, অফুরন্ত প্রকৃতি সৌন্দর্যের রোমান্টিক অনুকল্পে তার কাব্য বাঙময় হয়েছে।[3]

ওমর আলী
ওমর আলী
জন্ম(১৯৩৮-১০-২০)২০ অক্টোবর ১৯৩৮
শিবরামপুর, পাবনা, বাংলাদেশ
মৃত্যু৩ ডিসেম্বর ২০১৫(2015-12-03) (বয়স ৭৭)
জাতীয়তা বাংলাদেশী
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পেশাসাহিত্য চর্চা,[1] কবি
পুরস্কারবাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৮১
বন্দে আলী মিয়া পুরস্কার ১৯৮৮
আলাওল সাহিত্য পুরস্কার ১৯৯১
একুশে পদক (মরণোত্তর) (২০১৭)[2]

জন্ম, শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবন

তিনি হাম্মাদিয়া হাই স্কুল থেকে ১৯৫৫ সনে প্রবেশিকা, কায়েদে আযম কলেজ থেকে ১৯৬২ সনে উচ্চ মাধ্যমিক, এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা থেকে ১৯৬৫ সনে স্নাতক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সনে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে বাঙলায় স্নাতকোত্তর করেন। পেশাগত জীবনে তিনি অধ্যাপক ছিলেন। সরকারি শহিদ বুলবুল কলেজ পাবনা থেকে ১৯৯৭ সনের ২১ অক্টোবর অবসর গ্রহণ করেন।[4]

প্রকাশনা

ওমর আলীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ এদেশে শ্যামল রঙ রমণীর সুনাম শুনেছি প্রকাশিত হয় ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে। এছাড়াও তার প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ হচ্ছে

  • "অরণ্যে একটি লোক" (১৯৬৬),
  • "আত্মার দিকে" (১৯৬৭),
  • "সোনালি বিকেল" (১৯৬৫),
  • "নদী""(১৯৬৯),
  • "নরকে বা স্বর্গে" (১৯৭৫),
  • "বিয়েতে অনিচ্ছুক একজন" (১৯৭৫),
  • "প্রস্তর যুগ তাম্র যুগ" (১৯৭৪),
  • "স্থায়ী দুর্ভিক্ষ সম্ভাব্য প্লাবন" (১৯৭৫),
  • "তেমাথার শেষে নদী" (১৯৭৪),
  • "নিঃশব্দ বাড়ি" (১৯৭৩),
  • "কিছুদিন" (১৯৮০),
  • "ডাকছে সংসার" (১৯৮৫),
  • "যে তুমি আড়ালে" (১৯৮৭),
  • "ফুল পাখিদের দেশ" (১৯৮৩),
  • "ফেরার সময়" (১৩৯৬),
  • "স্বদেশে ফিরছি" (১৯৭৯),
  • "একটি গোলাপ" ১৯৬৮,
  • "লুবনা বেগম" (১৯৯৩),
  • "প্রসারিত করতল" (১৯৯২),
  • "ছবি" (১৯৯০),
  • "শুধু তোমাকে ভালো লাগে" (১৯৯৪),
  • "তোমাকে দেখলেই" (১৯৯৫),
  • "ভালোবাসার দিকে" (১৯৯১),
  • "এখনো তাকিয়ে আছি" (১৯৮৭),
  • "ভালোবাসার প্রদীপ" (১৯৯৬),
  • "হৃদয় ছুঁয়ে আছে ঝড়" (১৯৯৮),
  • "গ্রামে ফিরে যাই" (১৯৯৮),
  • "আমার ভেতরে খুব ভাঙচুর হচ্ছে" (২০০১),
  • "শ্রেষ্ঠ কবিতা" (২০০২)।

উপন্যাস

  • কুতুবপুরের হাসনা হেনা" (১৯৮২) এবং
  • খান ম্যানসনের মেয়ে" (১৯৬২)।[4]

পুরস্কার

  • একুশে পদক (মরণত্তর) ২০১৭
  • বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৮১,
  • বন্দে আলী মিয়া পুরস্কার ১৯৮৮,
  • আলাওল সাহিত্য পুরস্কার ১৯৯১

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাসস (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাংলাদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থা)। ২০১৭-০২-২৮ তারিখে মূল (HTML) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৭
  2. ইকবাল, দিদারুল (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "একুশে পদক প্রদান করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী" (HTML)। চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৭
  3. রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু জাফর ও আবুল কাসেম ফজলুল হক সম্পাদিত; কবিতা সংগ্রহ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জুলাই ১৯৯০; পৃষ্ঠা- ৪৮৭।
  4. লেখক অভিধান, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ২০০৯।পৃষ্ঠা-১০৫।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.