এর্নাকুলাম জেলা
এর্নাকুলাম জেলা; (মালয়ালম: എറണാകുളം ജില്ല, প্রতিবর্ণী. এড়ণাকুল়ম্ জিল্ল) হল ভারতের কেরালার রাজ্যের কেন্দ্রীয় অংশে অবস্থিত একটি জেলা। প্রায় ৩,০৬৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এর্নাকুলাম জেলাটি বিস্তৃত। এই জেলায় কেরালার মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি লোক বসবাস করে। জেলাটির সদর দফতর কোক্কি শহরের শহরতলির কাক্কানাড এলাকায় অবস্থিত। এর্নাকুলাম কেরালার বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত। জেলাটি প্রাচীন মন্দির, গীর্জা এবং মসজিদগুলির জন্য বিখ্যাত। জেলা বৃহত্তর কোচিন রাজ্যের বৃহত্তম মেট্রোপলিটন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এর্নাকুলাম জেলা হল রাজ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব উৎপাদক জেলা [3]। মাল্লাপ্পুরাম এবং তিরুবনন্তপুরম জেলার (১৪ টির মধ্যে) পরে এটি কেরালার তৃতীয় বৃহত্তম জনবহুল জেলা। [2] কেরালা রাজ্যে আন্তর্জাতিক এবং অন্তর্দেশীয় পর্যটকদের সর্বোচ্চ সংখ্যা আনারাকুলাম জেলা এসে থাকে।
এর্নাকুলাম জেলা എറണാകുളം ജില്ല | |
---|---|
জেলা | |
![]() ভারত ও কেরালায় এর্নাকুলাম জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১০.০০° উত্তর ৭৬.৩৩° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | কেরালা |
সদর দফতর | কাক্কানাড |
সরকার | |
• কালেক্টর | মহম্মদ ওয়াই. সফিরুলয়া, আইএএস |
• এস.পি (শহর) | এম.পি দিনেশ, আইপিএস |
• এস.পি (গ্রামীন) | এ. ভি. জর্জ, আইপিএস |
• ডিএফও | এ. রঞ্জন, আইএফএস |
আয়তন[1] | |
• মোট | ৩০৬৮ কিমি২ (১১৮৫ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৪ |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩২,৭৯,৮৬০ |
• জনঘনত্ব | ১০৬৯/কিমি২ (২৭৭০/বর্গমাইল) |
[2] | |
ভাষা | |
• সরকারি | মালয়ালম, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+৫:৩০) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | আইএন-কেএল-কেও, আইএন-কেএল |
যানবাহন নিবন্ধন | কেএল-৭, কেএল-১৭, কেএল-৩৯, কেএল-৪০, কেএল-৪১, কেএল-৪২, কেএল-৪৩, কেএল-৪৪, কেএল-৬৩, কেএল -৭৯ |
ওয়েবসাইট | www |
এর্নাকুলামের কথিত ভাষাটি হল মালেয়ালম যা কেরালা মানুষের মাতৃভাষা। এখানে ইংরেজি ভাষা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ব্যবসা বৃত্তের মধ্যে। এর্নাকুলাম ২০১২ সালে ১০ শতাংশ ব্যাঙ্কিং বা পূর্ণ 'অর্থপূর্ণ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি' অর্জন করে ভারতের প্রথম জেলা হয়ে উঠেছে। [4][5]
ব্যুৎপত্তি
এর্নাকুলাম নামটি ইয়ারানাকারুলাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে যার অর্থ শিবের বাসস্থান।[6] প্রাচীনকালে এর্নাকুলাম "ঋষিনাগকুলাম" নামেও পরিচিত ছিল।
ইতিহাস
প্রাচীনকালে থেকে এর্নাকুলাম জেলা দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি ভূমিকা পালন করেছে। ইহুদি, সিরিয়া, আরব, চীনা, ডাচ, ব্রিটিশ এবং পর্তুগিজ সমুদ্র পথে কোচিন রাজ্যের সমুদ্র যাত্রা শুরু করে এবং শহরে তাদের ছাপ রেখে যায়। ১৮৯৬ সালে কোচিনের মহারাজা এর্নাকুলামে একটি টাউন কাউন্সিল গঠন করে স্থানীয় প্রশাসন পরিচালনা করেন। প্রাথমিকভাবে এর্নাকুলাম জেলার সদর দপ্তর এর্নাকুলাম ছিল, যার নামটি জেলার নামে ছিল; পরে সদর দফতরটি কাক্কনাডে স্থানান্তরিত হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
ভৌগলিক অবস্থান
ভূসংস্থান
জলবায়ু
কোচি-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ °সে (°ফা) রেকর্ড | ৩৫ (৯৫) |
৩৭ (৯৯) |
৩৭ (৯৯) |
৩৪ (৯৩) |
৩৫ (৯৫) |
৩৩ (৯১) |
৩৫ (৯৫) |
৩৫ (৯৫) |
৩৮ (১০০) |
৩৫ (৯৫) |
৩৪ (৯৩) |
৩৩ (৯১) |
৩৮ (১০০) |
সর্বোচ্চ °সে (°ফা) গড় | ৩০ (৮৬) |
৩১ (৮৮) |
৩১ (৮৮) |
৩১ (৮৮) |
৩১ (৮৮) |
২৮ (৮২) |
২৮ (৮২) |
২৮ (৮২) |
২৮ (৮২) |
২৯ (৮৪) |
৩০ (৮৬) |
৩০ (৮৬) |
৩০ (৮৬) |
সর্বনিম্ন °সে (°ফা) গড় | ২৩ (৭৩) |
২৫ (৭৭) |
২৬ (৭৯) |
২৬ (৭৯) |
২৬ (৭৯) |
২৫ (৭৭) |
২৪ (৭৫) |
২৪ (৭৫) |
২৫ (৭৭) |
২৫ (৭৭) |
২৫ (৭৭) |
২৩ (৭৩) |
২৫ (৭৭) |
সর্বনিম্ন °সে (°ফা) রেকর্ড | ১৭ (৬৩) |
১৮ (৬৪) |
২০ (৬৮) |
২১ (৭০) |
২২ (৭২) |
২১ (৭০) |
২১ (৭০) |
২০ (৬৮) |
২২ (৭২) |
২০ (৬৮) |
২০ (৬৮) |
১৯ (৬৬) |
১৭ (৬৩) |
গড় অধঃক্ষেপণ মিমি (ইঞ্চি) | ২১٫৯ (০٫৮৬) |
২২٫৯ (০٫৯) |
৩৫٫৩ (১٫৩৯) |
১২৪٫০ (৪٫৮৮) |
৩৯৫٫৭ (১৫٫৫৮) |
৭২০٫৭ (২৮٫৩৭) |
৬৯৭٫২ (২৭٫৪৫) |
৩৬৭٫৮ (১৪٫৪৮) |
২৮৯٫৪ (১১٫৩৯) |
৩০২٫৩ (১১٫৯) |
১৭৫٫১ (৬٫৮৯) |
৪৮٫৩ (১٫৯) |
৩,২২৮٫৩ (১২৭٫১) |
উৎস #১: [7] | |||||||||||||
উৎস #২: [8] |
অর্থনীতি


এর্নাকুলাম জেলা জিডিপি এবং মাথাপিছু আয় অনুসারে কেরালার সবচেয়ে ধনী জেলা। এটি মোট রাজ্য রাজস্বে ৪১.৭৪% অবদান রাখে। এর্নাকুলাম জেলার সমস্ত ভৌগোলিক দিক দিয়ে অবদান রাখা হয়, যা শিল্পের উন্নয়নে সাহায্য করে এবং এটি শিল্পের ক্ষেত্রে কেরালায় অন্যান্য সকল জেলার থেকে এগিয়ে রয়েছে। সব ধরনের পরিবহন সুবিধা যেমন, রাস্তা, রেল, খাল, সমুদ্র, বায়ু, এই জেলার শিল্পে এগিয়ে থাকার জন্য অনন্য একটি কারণ। কেরালা রাজ্যের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র হল এর্নাকুলাম। জেলার এম.জি. রোডটি কেরালার সবচেয়ে বড় ব্যবসাগুলির অবস্থান।
জেলার সমগ্র উপকূল বরাবর সমুদ্র এবং বিভিন্ন ধরনের মাছের আহরণ এখানার জলবায়ু, সমুদ্র ও অভ্যন্তরীণ মৎস্য উভয় ক্ষেত্রে বিশাল প্রাকৃতিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। কোচি একটি আদর্শ জায়গা যা শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন মত বিভিন্ন দিকের মৎস্য আহরনকে সহায়তা করে।
কৃষি
জেলার পূর্ব অংশ মূলত কৃষি প্রধান অঞ্চল। এখানকার জমিতে চাষ করা প্রধান ফসল হল ধান। গত তিন দশক ধরে জেলায় ধান চাষের এলাকা আংশিকভাবে হ্রাস করা হচ্ছে। এর্নাকুলাম জেলা কেরালা রাজ্যে সুপারি এবং আনারসের বৃহত্তম উৎপাদক। সুপারি চাষের এলাকাতে সুপারি ফলনের একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। রাজ্যে উৎপাদিন মোট আনারসের ৭০% এর বেশী এর্নাকুলাম জেলায় চাষ হয়। মুন্তুতুপুজা এবং ভাজাকুলমত এলাকাতে বেশিরভাগ আনারস চাষ করা হয়। রাবার এই জেলার সর্বাধিক চাষাবাদিত ফসলগুলির একটি এবং কোটয়ামের পরে এর্নাকুলাম রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাবারের উৎপাদক জো। জমিতে চাষ করা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফসলগুলি হল ট্যাপিওকা, গোল মড়িচ,এরিয়ানন, নারকেল, হলুদ, কলা এবং প্যান্টেন।
তথ্যসূত্র
- "Part I: state" (PDF)। Government of India Census portal। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৫।
- "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- "District-wise Income" (PDF)। Govt of Kerala। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।2
- "Ernakulam to be declared first district with 100% banking"। The Hindu Businessline। ১৫ নভেম্বর ২০১২। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Soundarapandian, Mookkiah (২০০০)। Literacy Campaign in India। New Delhi: Discovery Publishing House। পৃষ্ঠা 21।
- "A STUDY ON COMMUNITY TOURISM AND ITS IMPACT IN KERALA WITH SPECIAL REFERENCE TO ERNAKULAM DISTRICT" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- "Kochi, India"। Whetherbase। আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১০।
- "Kochi, India"। MSN India। ১৪ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১০।