উইলিয়াম শেক্সপিয়ার (অভিযাত্রী)
ক্যাপ্টেন উইলিয়াম হেনরি আরভিন শেক্সপিয়ার (২৯ অক্টোবর ১৮৭৮ - ২৪ জানুয়ারি ১৯১৫), ছিলেন একজন ব্রিটিশ সরকারি কর্মকর্তা এবং অভিযাত্রী। উত্তর আরবের মানচিত্র বহির্ভূত এলাকাগুলো তিনি মানচিত্রভুক্ত করেন। সৌদি আরবের প্রথম বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের সাথে যোগাযোগ করা তিনি প্রথম ব্রিটিশ অফিসার। ১৯১০ থেকে ১৯১৫ পর্যন্ত তিনি ইবনে সৌদের সামরিক উপদেষ্টা ছিলেন। জারাবের যুদ্ধে তিনি আল রশিদের এক ব্যক্তির হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
উইলিয়াম শেক্সপিয়ার | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | উইলিয়াম হেনরি আরভিন শেক্সপিয়ার ২৯ অক্টোবর ১৮৭৮ বোম্বে, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ২৪ জানুয়ারি ১৯১৫ ৩৬) জারাব হ্রদ, আল মাজমাহ, আরব উপদ্বীপ | (বয়স
পেশা | সরকারি কর্মকর্তা |
পরিচিতির কারণ | অভিযাত্রী |
প্রথম জীবন
তিনি ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা উইলিয়াম হেনরি সুলিভান শেক্সপিয়ার ও মা অ্যাানি ক্যারোলিন ডেভিডসন। তিনি পোর্টসমাউথ গ্রামার স্কুল ও কিং উইলিয়ামস কলেজে শিক্ষালাভ করেন। তিনি ১৮৯৬ সালের ১৯ আগস্ট রয়েল মিলিটারি কলেজ, স্যান্ডহার্স্টে যোগ দেন। ১৮৯৮ সালের ২২ জানুয়ারি তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হন। ১৮৯৯ সালে তিনি ডেভনশায়ার রেজিমেন্ট, ১৭তম বেঙ্গল ক্যাভালরিতে যোগ দেন।
এরপর তিনি ভারতীয় রাজনৈতিক বিভাগে যোগ দেন। ১৯০৪ সালে তিনি ব্রিটিশ বৈদেশিক কার্যালয়ে যোগ দেন এবং ব্রিটিশ ভারতের সর্বকনিষ্ঠ ভাইস-কনসাল হন। তাকে কুয়েতে বদলি করা হয়। ১৯০৯ থেকে তিনি কুয়েতে ব্রিটিশ রাজনৈতিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে থাকেন এবং বাহরাইনে দায়িত্বরত এজেন্টের অধীনে ছিলেন। শেক্সপিয়ার ইংরেজি ছাড়াও উর্দু, পশতু, ফারসি ও আরবি ভাষা জানতেন।
আরব অভিযান
কুয়েতে থাকার সময় শেক্সপিয়ার আরবের অভ্যন্তরে সাতটি অভিযান চালান। এসময় তিনি নজদের তৎকালীন আমির আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হন। শেক্সপিয়ার প্রথমবার ইবনে সৌদের ছবি তোলার ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৯১৪ সালের মার্চে শেক্সপিয়ার কুয়েত থেকে রিয়াদ এবং এরপর নেফুদ মরুভূমির মধ্য দিয়ে আকাবা অবধি যাত্রা শুরু করেন। এসময় তিনি মানচিত্র তৈরি ও সেগুলো অধ্যয়ন করেন। এই কাজ করা তিনি প্রথম ইউরোপীয়। ১৯১৪ সালের নভেম্বর ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান মেসোপটেমিয়ান এক্সপেডিশনারি ফোর্সের জন্য আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের সমর্থন অর্জন করতে ব্রিটিশ ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বলা হয়। এই বাহিনী সেসময় বসরা দখল করেছিল।
মৃত্যু

১৯১৫ সালের জানুয়ারি জারাবের যুদ্ধ শুরুর পূর্বে আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ তাকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেন। তিনি এমন করতে অস্বীকৃতি জানান। যুদ্ধে তিনি গুলিবিদ্ধ হন ও মারা যান। তার হেলমেট উসমানীয়দের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই হেলমেট মদিনার প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে রাখা হয় যাতে ব্রিটিশদের সাথে আল সৌদের যোগসাযোগ জনগণ জানতে পারে। কুয়েত সিটিতে আল হামরা টাওয়ারের কাছে তার কবর খুজে পাওয়া যেতে পারে।
পরবর্তী অবস্থা
কিছু ব্যক্তিবর্গ, বিশেষত সেন্ট জন ফিলবি মত প্রকাশ করেছেন যে শেক্সপিয়ার বেঁচে থাকলে উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহ ভিন্নভাবে রূপায়িত হত। সেক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য হুসাইন ইবনে আলির পরিবর্তে ইবনে সৌদকে সমর্থন দিত।
"His death... was a great loss to his country, but it was a disaster to the Arab cause. It must certainly be reckoned in the small category of individual events which have changed the course of history. Had he survived to continue a work for which he was so eminently suited, it is extremely doubtful whether subsequent campaigns of Lawrence would ever have taken place in the west..."
Arabia, H. St. John Philby, London (1930), pp 233 - 234.
সাহিত্য
- এইচ. ভি. এফ. উইনস্টন: ক্যাপ্টেন শেক্সপিয়ার: এ পোর্ট্রেট, ১৯৭৬ আইএসবিএন ০-২২৪-০১১৯৪-৪
- জাহরা ফ্রিথ ও এইচ. ভি. এফ. উইনস্টন: এক্সপ্লোরারস অব আরাবিয়া: ফ্রম দ্য রেনেসা টু দ্য এন্ড অফ দ্য ভিক্টোরিয়ান এরা, লন্ডন: অ্যালেন এন্ড আনউইন, ১৯৭৮ আইএসবিএন ০-০৪-৯৫৩০০৯-৭
- চার্লস অ্যালেন: গডস টেরোরিস্টস: দ্য ওয়াহাবি কাল্ট এন্ড দ্য হিডেন রুটস অব মডার্ন জিহাদ, লন্ডন: লিটল ব্রাউন, ২০০৬ আইএসবিএন ০-৩৪৯-১১৮৭৯-৫
বহিঃসংযোগ
- Biography, with a picture.
- The Captain and the King, from Saudi Aramco World.
- Notes by the biographer Harry Victor F. Winstone and David Wingate on a Shakespeare Family Genealogical Site
- Memorial Stone
- BBC - Shakespear of Arabia