আলীম আল রাজী
আলীম আল রাজী (১৯২৫ - ১৯৮৫) হলেন একজন রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক। পাকিস্তান গণপরিষদে তিনি সব জোরালো বক্তব্য রাখতেন এবং তিনি একজন দক্ষ পাল্যামেন্টারিয়ান ছিলেন। সর্বজনীন ভোটাধিকার, পাল্যামেন্টারি গণতন্ত্র, পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধানতার দাবিতে জাতীয় পরিষদে সোচ্চার ও আপোসহীন ভূমিকা পালন করেন তিনি।
আলীম আল রাজী | |
---|---|
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ ![]() |
জন্ম
তিনি দেলদুয়ার থানার বরটিয়া গ্রামে ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবন
তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং বিএল পাস করেন, এছাড়া লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও আইনে দু’বার পিএইচডি এবং বার-এট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
লন্ডনে অবস্থানকালে তিনি লন্ডনের মুসলিম ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন (১৯৪৯-১৯৫৫), এবং তদানীন্তন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন (১৯৬৫-১৯৬৯)। তিনি স্বল্পকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ভাসানী ন্যাপের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন (১৯৭৪-১৯৭৫)। টাঙ্গাইল জেলা সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (১৯৬২-১৯৭৪)।
উল্লেখযোগ্য বই
বিশ্বনবী ও হযরত আয়েশা (রা), আরাকানের পথে, মোসলমানদের জেনে রাখা ভালো।
উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান
তিনি ঢাকা সিটি কলেজ (১৯৫৭), নাগরপুর ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৬) এবং লাউহাটী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
সাংবাদিকতায় অবদান
একজন সুলেখক হিসেবে তার খ্যাতি ছিল। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হতো সাপ্তাহিক ‘দূরবীন’ (টাঙ্গাইল) ও ‘দি ওরিয়েন্টাল টাইমস’ (লন্ডন)।