আয়েজ উদ্দিন আহমেদ
আয়েজ উদ্দিন আহমেদ একজন বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে বীর প্রতীক সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিল।[1]
আয়েজ উদ্দিন আহমেদ | |
---|---|
মৃত্যু | ২১ অক্টোবর ২০১৯ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
জীবনী
আয়েজ উদ্দিন আহমেদ ১৯৫১ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে যোগদান করেন।[2] স্বাধীনতা ঘোষণার পর তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি তখন চট্টগ্রামের হালিশহরে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৩ ইঞ্চি মর্টারের সাহায্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানি যুদ্ধ জাহাজের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।[3]
করেরহাটের পতনের পর মুক্তিযোদ্ধারা শুভপুর সেতুর দক্ষিণ অংশ থেকে উত্তর অংশে অবস্থান নেন। তারপর, তারা পুনরায় আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ১২ মে শুভপুরের যুদ্ধে তিনি আহত হন।[3]
এরপর, আয়েজ উদ্দিন আহমেদ চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ভারত গমন করেন। সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পুনরায় রণক্ষেত্রে যোগদান করেন। তারপর, তিনি উৎমা বিওপিসহ আরো অন্যান্য স্থানে যুদ্ধ করেন।[3]
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে বীর প্রতীক সম্মাননা প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার। তিনি ১৯৮৪ সালে তার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[2]
আয়েজ উদ্দিন আহমেদ ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।[4]
তথ্যসূত্র
- "খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা"। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯।
- "ভাড়া বাসায় নয় শেষ জীবনে নিজ বাড়িতে মরতে চাই-বীর প্রতীক আয়েজউদ্দিন আহমেদ"। দৈনিক আগমনী। ২৫ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯।
- "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"। প্রথম আলো। ২৪ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯।
- "নিরবে চলে গেলেন বীর প্রতীক আয়েজউদ্দিন"। ভোরের আলো। ২১ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৯।