আবেদীন জ্বালামুখ
আবেদীন জ্বালামুখ সৌরজগতের প্রথম এবং ক্ষুদ্রতম গ্রহ বুধের অন্যতম জ্বালামুখ। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন কর্তৃক ৯ জুলাই, ২০০৯ তারিখে বিখ্যাত বাঙালী চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীনের মানবসভ্যতার মানবিক মূল্যবোধ ও উপলদ্ধিকে গভীরতর করার প্রেক্ষিতে এ জ্বালামুখের নামকরণ হয়েছে।[1] বুধ গ্রহের অধিকাংশ বিষয়াবলীই বিশ্বের মহান চিত্রশিল্পীদের নামানুসারে রাখা হয়েছে।
![]() | |
গ্রহ | Mercury |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৬১.৭° উত্তর ১০.২° পশ্চিম |
ব্যাস | ১১০ কি.মি. |
পরিচয়জ্ঞাপক | জয়নুল আবেদীন |
গঠন প্রক্রিয়া
মেসেঞ্জার মহাকাশযান থেকে প্রাপ্ত চিত্রে এ জ্বালামুখটির আয়তন ৬৮ মাইল প্রস্থের।[2] খুব সম্ভবতঃ প্রারম্ভিক প্রভাব থেকে নিক্ষিপ্ত ধ্বংসাবশেষ থেকে ছোট ছোট জ্বালামুখের সারি এর চতুপার্শ্বে ছড়িয়ে পড়ে ও কেন্দ্রমূখী উঁচু শিখরের জন্ম দেয়। মসৃণ মেঝে, দেয়ালাকৃতির সোপান ও কেন্দ্রস্থলের উচ্চতায় জটিল জ্বালামুখের অবকাঠামো এতে প্রদর্শিত হচ্ছে। আবেদীনের চারপাশে ছোট ছোট জটিল জ্বালামুখের সম্পর্কতা প্রাথমিক প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে মাধ্যমিক মানের জ্বালামুখে পরিণত করেছে। আবেদীনের উত্তর-পশ্চিম অংশের শূন্যতার মাধ্যমে জ্বালামুখের প্রান্তে অবস্থিত বাদ-বাকী উপাদানের তুলনায় নিম্নমূখী প্রতিফলন ঘটছে বলে মনে হয়। এ ছাঁচের মাধ্যমে কৃষ্ণবর্ণাকৃতির উপাদানগুলো প্রাক-সংঘর্ষকালীন সৃষ্ট মূল এলাকার উত্তর-পশ্চিম অংশের কিছু গভীরতম তলদেশে অবস্থান করছে। জ্বালামুখ গঠনকালে এর খননকার্য ও পুণঃস্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।[3]
তথ্যসূত্র
- "Gazetteer of Planetary Nomenclature"। প্লানেটারিনেমস (ইংরেজি ভাষায়)। United States Geological Survey। ৭ মার্চ ২০১১। ৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৬।
- "All About Abedin" [আবেদন জালামুখ সম্পর্কে]। লাইটসইনদ্যডার্ক.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬।
- "Archived copy"। ইএসপিএন ক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৭।