আবেদ খান

আবেদ খান
আবেদ খান (বীর মুক্তিযোদ্ধা)

সাংবাদিক, কলাম লেখক।

চেয়ারম্যান, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)

সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক জাগরণ
দাম্পত্য সঙ্গীড. সানজিদা আখতার
সন্তানআসাদ করিম খান প্রিয়
পিতা-মাতাআব্দুল হাকিম খান, আজরা খানম

আবেদ খান, একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক ও কলাম-লেখক।

প্রারম্ভিক জীবন

আবেদ খান ১৬ এপ্রিল ১৯৪৫ সালে, খুলনা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অবিভক্ত ভারতের দৈনিক আজাদ-এর সম্পাদক মাওলানা আকরম খাঁ সম্পর্কে তার নানা (মাতামহ) ছিলেন।

সাংবাদিকতা

মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৯৬২ সালে আবেদ খানেরও সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি ঘটে দৈনিক ‘জেহাদ’-এ।[1] এ দৈনিকে সহ-সম্পাদক হিসেবে বছরখানেক কাজ করার পর ১৯৬৩-তে তিনি দৈনিক ‘সংবাদ’-এ যোগদান করেন। পরের বছরই দৈনিক ইত্তেফাক-এ একই পদে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি শুরু করেন এক দীর্ঘ কর্মসাধনাময় অধ্যায়। এ পত্রিকায় আবেদ খান পর্যায়ক্রমে শিফট-ইনচার্জ, প্রধান প্রতিবেদন, সহকারী সম্পাদক ও কলামিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [2] ২০০৯ সাল থেকে তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের ৩০ জুন কালের কণ্ঠ থেকে পদত্যাগের পর তিনি ২০১২ সালের জুন মাসে এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। [2] ২০১৩ সালের এপ্রিলে তিনি এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক জাগরণ নামের প্রকাশিতব্য একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও প্রকাশক।

মুক্তিযুদ্ধ

১৯৭১-এর পয়লা মার্চ তিনি পুরনো ঢাকার নারিন্দা-ওয়ারী অঞ্চলে স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ কমিটির কনভেনর হিসেবে নিজেদের মাঝে স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রস্তুতি-পর্বের দৃঢ় সূচনা করেন। ২৫ মার্চের কাল-রাতে ট্যাংকার নিয়ে পাকিস্তানি-হানাদার বাহিনী ইত্তেফাক ভবনে আগুন জ্বালিয়ে সর্বতোভাবে ধ্বংসের তাণ্ডবলীলায় মেতে উঠেছিল। ২৯ মার্চ তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। জুন মাসে সংবাদ, ডেইলি পিপল, ইত্তেফাক ভবন এবং সারা ঢাকার ওপর বয়ে চলা বিশ্ব-ইতিহাসের এই অতি-ভয়াল ধ্বংসলীলার চাক্ষুষসাক্ষী হিসেবে প্রথম তিনি কলকাতার আকাশবাণী বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেন।[3] এরই মাঝে তিনি ৮ নং সেক্টরে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করান। মেজর ওসমান তখন সেক্টর আটের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে মেজর মঞ্জুর এ সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আবেদ খানের সাব-সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন সফিকউল্লাহ। এ ছাড়াও জুন মাসে ১২ টি বাম দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম সমন্বয় পরিষদ-এর পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম আহ্বায়ক ছিলেন আবেদ খান।

স্বাধীনতার পর

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের আগস্টে ইত্তেফাকে তার ধারাবাহিক অণুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘ওপেন সিক্রেট’ প্রকাশিত হতে থাকে।[4] তৎকালীন সরকারের যেকোনো কর্মকাণ্ড বা ভূমিকার ওপর এ সংক্রান্ত সিরিজ যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। ‘ওপেন সিক্রেট’কে বলা যেতে পারে বাংলাদেশের তদন্তমূলক সাংবাদিকতার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।[5] এ সংক্রান্ত পড়াশোনায় ‘রেফারেন্স’ হিসেবে ‘ওপেন সিক্রেট’-এর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। [5] এরপর সম্পাদকীয় বিভাগে সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সময় তিনি অভাজন ছদ্মনামে ‘নিবেদন ইতি’ শিরোনামে কলাম লেখায় হাত দেন। এই ‘নিবেদন ইতি’ও সে সময় অভাবিত জনপ্রিয়তা পায়।

মুক্ত-সাংবাদিকতা

১৯৯৫ সালে আবেদ খান ইত্তেফাক থেকে অব্যাহতি নেন। কলামিস্ট হিসেবে সমসাময়িক সময়ে দেশের শীর্ষ দৈনিক জনকণ্ঠ, ভোরের কাগজ ও সংবাদ-এ মুক্তহাতে লিখতে থাকেন। ১৯৯৫ সাল থেকে জনকণ্ঠে সম্পাদকীয় পাতায় তাঁর ‘অভাজনের নিবেদন’ প্রকাশের পাশাপাশি প্রথম পাতায় ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ শিরোনামের মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ হতে থাকে। ‘গৌড়ানন্দ কবি ভনে শুনে পুণ্যবান’ কলামটি জনকণ্ঠেই প্রকাশিত তার স্যাটায়ার-ধর্মী জনপ্রিয় কলাম। দৈনিক ভোরের কাগজ-এর প্রথম পাতায় তার ‘টক অব দ্য টাউন’ শিরোনামের মন্তব্য প্রতিবেদনটি সে সময় তুমুল জনপ্রিয়তায় দেশবাসীর কাছে হয়ে উঠেছিল যেন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। একই কাগজে এ সময় তার উপসম্পাদকীয় কলাম ‘প্রাঙ্গণে বহিরাঙ্গণে’ প্রকাশ হতে থাকে। দৈনিক সংবাদে তিনি ‘তৃতীয় নয়ন’ নামে একটি অন্তর্দৃষ্টি-বিশ্লেষণাত্মক কলাম ধারাবাহিকভাবে লিখতে থাকেন।এ সময় ভারতের জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র প্রবাসী সংস্করণ ‘প্রবাসী আনন্দবাজার’-এও নিয়মিতভাবে তার লেখা প্রকাশ হতে থাকে। প্রতিষ্ঠান ছেড়ে এ সময় আবেদ খান নিজেই ক্রমশ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে উঠতে থাকেন। ১৯৯৮ সালে নতুন দৈনিক প্রথম আলো-তে ‘কালের কণ্ঠ’ শিরোনামে তার উপসম্পাদকীয় কলাম প্রকাশ হতে থাকে। পরে ২০০৯ সালে আবেদ খানের নেতৃত্বে কালের কণ্ঠ নামের একটি দৈনিক পত্রিকা বাজারে আসে।[6]

ইলেকট্রনিক-মিডিয়ার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বেতারে একটি স্যাটায়ার-ধর্মী টক-শো’র পাণ্ডুলিপি লিখতেন তিনি। তাঁর সেই হিউমার-সমৃদ্ধ টক-শো শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি আবেদ খান এ সময় থেকে ইলেকট্রনিক-মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে প্রবেশ করেন ১৯৭৮ সালে। আবেদ খান ও ড. সানজিদা আখতার দম্পতির গ্রন্থনা-উপস্থাপনায় দম্পতি-বিষয়ক ধারাবাহিক ম্যাগাজিন অণুষ্ঠান ‘তুমি আর আমি’ প্রথম থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। দম্পতি-শিল্পীদের নিয়ে সঙ্গীত বিষয়ক ম্যাগাজিন অণুষ্ঠান ‘একই বৃন্তে’ সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৮৪, ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালে আবেদ খান-সানজিদা দম্পতি ঈদের ‘আনন্দমেলা’ নামের একটি বিনোদনমূলক অণুষ্ঠানের সঞ্চালক ও গ্রন্থনার ভূমিকা পালন করেন। যেসব গুণী মানুষের সংস্পর্শে ‘আনন্দমেলা’ ঈদ অণুষ্ঠানটি জনপ্রিয়তার চূড়া স্পর্শ করেছে তাদের মধ্যে এ দম্পতি অন্যতম। এ সময় থেকে টেলিভিশনের অসংখ্য টক-শো সঞ্চালনার মাধ্যমে তারা জনপ্রিয় টেলিভিশন-ব্যক্তিত্বে পরিণত হন—যা এখনো সমানভাবে প্রবহমান। কিছুকাল রেডিও-টেলিভিশন শিল্পী সংসদের প্রেসিডেন্টেরও দায়িত্ব পালন করেন আবেদ খান।

ইলেকট্রনিক-মিডিয়ায় ‘সাংবাদিকতা’

১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি একুশে টেলিভিশনের সংবাদ ও চলতি তথ্য বিষয়ে প্রধান হিসেবে কাজ করেন। একুশে টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং প্রথম আন্তর্জাতিক মানের সংবাদ উপস্থাপনার উদাহরণ হিসেবে একুশে টেলিভিশনকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রাথমিকভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রযুক্তিগত অবকাঠামোতে অনেক বেশি সীমাবদ্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও টেরেস্ট্রিয়াল ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন মিডিয়ায় আধুনিক সাংবাদিকতা এ দেশে তার হাত ধরেই স্পর্শ করেছে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিরল শিখর। এর আগে ১৯৯৬-৯৯ সালে তার অণুসন্ধানমূলক টেলিভিশন রিপোর্টিং সিরিজ ‘ঘটনার আড়ালে’ টেলিভিশন-সাংবাদিকতার আরেকটি জনপ্রিয় চূড়া।

দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে

আবেদ খানের অসম সাহসিকতা বাংলাদেশের সংবাদপত্র ইতিহাসে সহজদৃষ্ট নয়। তিনি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তার খ্যাতনামা ‘কালের কণ্ঠ’ কলামের নামে ২০০৯ সালে তিনি একটি দৈনিক পত্রিকার প্রজ্ঞাপন নেন নিজের নামে। বাংলাদেশের বৃহৎ একটি ব্যবসায়ী গ্রপের সঙ্গে তিনি সম্পাদক হিসেবে এ পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রকাশনার সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে প্রকাশনার মাত্র তিন মাসের মধ্যে কালের কণ্ঠ প্রচার সংখ্যায় পৌনে তিন লাখে পৌঁছে যায়। এর আগে দীর্ঘদিন তিনি দৈনিক সমকাল-এর সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। সমকালের ক্রান্তিকালে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর পত্রিকাটি মাত্র ২০ মাসের ভেতরে আলোচিত ও প্রশংসিত অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়। দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় তিনি ২০০৫ থেকে ’০৬ সাল পর্যন্ত সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তাঁর অকান্ত পরিশ্রম, মেধা ও সৃজনপ্রতিভায় যুগান্তরের হারিয়ে যাওয়া গৌরব পুনরুদ্ধার হয়। এর আগে তিনি কাজ করেছেন দৈনিক ‘ভোরের কাগজ’-এ (২০০৩-০৫)। সে সময় তার অসামান্য নেতৃত্বগুণে ভোরের কাগজ দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আধুনিক ও মানসম্মত অবস্থানে উঠে আসতে সক্ষম হয়।

প্রকাশিত গ্রন্থ

  1. অভাজনের নিবেদন
  2. গৌড়ানন্দ কবি ভনে শুনে পুণ্যবান
  3. কালের কণ্ঠ
  4. প্রসঙ্গ রাজনীতি
  5. হারানো হিয়ার নিকুঞ্জপথে (গল্প সংকলন)
  6. আনলো বয়ে কোন বারতা
  7. বলেই যাবো মনের কথা
  8. গৌড়ানন্দসমগ্র।
  9. অনেক কথা বলার আছে
  10. দেশ কি জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য হবে
  11. ও রাজকন্যে তোমার জন্য
  12. স্বপ্ন এলো সোনার দেশে
  13. আমাদের টুকুনবাবু

সম্মাননা

আবেদ খান ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংস্কৃতিতে সুদীর্ঘকাল যাবত অনবদ্য অবদান রেখে আসছেন এই বরেণ্য সাংবাদিক। এছাড়াও সাহিত্য, সংস্কৃতি, সামাজিক কর্মকান্ডসহ নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য একাধিক সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

১। রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত স্বর্ণপদক - ২০০৪

২। জেলা প্রশাসক বিজয় দিবস পদক (রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত) - ২০০৯

তথ্যসূত্র

  1. সাংবাদিকরা এখন পেশাগত প্রতিশ্রুতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন, দৈনিক জনকণ্ঠ, ঢাকা। প্রকাশের তারিখ: ১০ জানুয়ারি ২০১১ খ্রি.। পরিদর্শনের তারিখ: অক্টোবর ১৩, ২০১১ খ্রি.।
  2. [ http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=4177235c9c76c48b97683daf7fd24716&nttl=153133%5B%5D ]
  3. ফোটার দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ঢাকা। প্রকাশের তারিখ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ খ্রি.। পরিদর্শনের তারিখ: অক্টোবর ১৩, ২০১১ খ্রি.।
  4. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, পাঠ্যবইসূত্র : অণুসন্ধানী সাংবাদিকতা লেখক : নাঈমুল ইসলাম খান, খ. আলী, আর রাজী, দ্বিতীয় অধ্যায়: বাংলাদেশে অণুসন্ধানী সাংবাদিকতা (পৃষ্ঠা: ২২-২৩) আইএসবিএন ৯৮৪ ৮১৫৮০৩০. প্রকাশক: বিসিডিজেসি.
  5. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, পাঠ্যবইসূত্র : অণুসন্ধানী সাংবাদিকতা লেখক : নাঈমুল ইসলাম খান, খ. আলী, আর রাজী, দ্বিতীয় অধ্যায়: বাংলাদেশে অণুসন্ধানী সাংবাদিকতা (পৃষ্ঠা: ২২-২৩) আইএসবিএন ৯৮৪ ৮১৫৮০৩০. প্রকাশক: বিসিডিজেসি.
  6. , দৈনিক কালের কণ্ঠ, ঢাকা। প্রকাশের তারিখ: ১০ জানুয়ারি ২০১১ খ্রি.। পরিদর্শনের তারিখ: অক্টোবর ১৩, ২০১১ খ্রি.।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.