আবদুল হাকিম (বীর প্রতীক)

আবদুল হাকিম (জন্ম: অজানা ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।

আবদুল হাকিম
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর প্রতীক
একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য দেখুন আবদুল হাকিম (দ্ব্যর্থতা নিরসন)

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

আবদুল হাকিমের বাবার নাম মাছুদ আলী মুন্সি এবং মায়ের নাম মরতোবান নেছা।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান

আবদুল হাকিম পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। ১৯৭১ সালে তিনি ঢাকার অদূরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে হাবিলদার পদে কর্মরত ছিলেন। তখন তার বয়স ছিলো ৩৫ বছর। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মেজর কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গলের সৈনিকেরা বিদ্রোহ করে যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি এই বাহিনীর সঙ্গে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন। পরে এই বাহিনী ভারতে চলে যায়। এরপর পরিবার-পরিজনের খোঁজ নেওয়ার জন্য তিনি দেশে আসেন। এই সময় কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে তার দেখা হয়। তিনি তখন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সতন্ত্রভাবে একটি বাহিনী গঠন করছিলেন। আবদুল হাকিম তার অণুরোধে ১৯ মে ওই বাহিনীতে যোগ দেন। এই বাহিনীর নাম ছিল কাদেরিয়া বাহিনী। তিনি এই বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। তিনি টাঙ্গাইলের দেওপাড়া, ধরলাপাড়া, সাগরদীঘি, ঘাটাইল, গোপালপুর, ভুয়াপুর, ইছাপুর ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ির দুলভিটিতে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের সহযোগী রাজাকারদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৪ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ইছাপুর গোরস্থানে তিনি তার বাহিনী নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করে খ্যাতি অর্জন করেন। [1]

সম্মাননা ও স্বীকৃতি

মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকার জন্য তিনি বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন।

তথ্যসূত্র

বহি:সংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.