আবদুল সাত্তার আকন
মুফতি মাওলানা আবদুস সাত্তার আকন বাগেরহাট জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ও জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য। তিনি বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকা থেকে দুইবার (১৯৯১ ও ২০০১) জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[1][2][3][4][5]
| মুফতি মাওলানা আবদুস সাত্তার আকন | |
|---|---|
| বাগেরহাট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য | |
| কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – জানুয়ারি ১৯৯৬ | |
| পূর্বসূরী | মিয়া আব্বাস উদ্দিন |
| উত্তরসূরী | ডা: মোজাম্মেল হোসেন |
| কাজের মেয়াদ ২০০১ – ২০০৬ | |
| পূর্বসূরী | আরশাদুজ্জামান |
| উত্তরসূরী | ডা: মোজাম্মেল হোসেন |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ১৯২৯ চালিতাবুনিয়া গ্রাম, বাগেরহাট, মোড়লগঞ্জ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি,  (বর্তমান  |
| মৃত্যু | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ঢাকার একটি হাসপাতালে |
| নাগরিকত্ব |  |
| রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী |
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
আবদুল সাত্তার আকন ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের চালিতাবুনিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত আকন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আলিমুদ্দিন আকন। তিনি মোড়েলগঞ্জের আমতলী মাদরাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করেন। এর পর লক্ষ্মীপুর জেলার টুমচর মাদরাসায় লেখাপড়া করে ছারছিনা দারুসসুন্নাত কামিল মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন। [3][6]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
মুফতি মাওলানা আবদুস সাত্তার আকন বাগেরহাট আলিয়া মাদরাসা, খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদরাসা ও চুয়াডাঙ্গা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পাকিস্তান আমলে ১৯৬৯ সালে বৃহত্তর বরিশাল জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ছিলেন। ১৯৭০ সালে বৃহত্তর খুলনার জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীরের দায়িত্ব পালন করেন। বাগেরহাট জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৪ আসন (মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে চারদলীয় জোট থেকে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[3][4][5][6][7]
মৃত্যু
আবদুল সাত্তার আকন ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে রাত ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে বার্ধক্যের কারণে ৮৩ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে একাধিক জানাজা শেষে জন্মস্থানের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। আকনের ৩ ছেলে ও ৭ মেয়ে রয়েছে।,[3][6]
তথ্যসূত্র
- "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "সাবেক এমপি মুফতি আবদুস সাত্তারের ইন্তিকাল"। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "কোন্দলে জর্জরিত আ.লীগ, বিএনপির ভরসা জামায়াত"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ২০১৮-১০-৩০। ২০১৯-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "আবদুল সাত্তার আকন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৭।
- "সাবেক এমপি জামায়াত নেতা মুফতি আব্দুস সাত্তারের ইন্তিকাল আজ দাফন"। দৈনিক সংগ্রাম। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- "আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে কোন্দল জামায়াত নীরবে চালাচ্ছে তৎপরতা"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২৭।