আফগান শরণার্থী

আফগান শরণার্থী (ইংরেজি: Afghan refugees) যা দক্ষিণ এশিয়ায় মুহাজির আফগান নামেও পরিচিত। আফগান শরণার্থী বলতে তাদেরই বোঝানো হয় যাঁরা ১৯৭৯ সালে সংঘটিত সোভিয়েত যুদ্ধ ও পরবর্তীতে আফগান গৃহযুদ্ধের ফলে তাদের ঘর-বাড়ি হারিয়ে শরণার্থী হয়েছেন। ১৯৮০-এর দশক থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ আফগান শরণার্থী পাকিস্তানে এবং প্রায় ২০ লক্ষ শরণার্থী ইরানে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও আরও অনেকে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহে, অস্ট্রেলিয়া, ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বেশ কয়েক হাজার শরণার্থী ভারতেও আশ্রয় নিয়েছিলেন, বিশেষ করে শিখহিন্দুরা, যাঁরা সময়ের আবর্তে ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।[1][2][3][4]

আফগানিস্তান (লাল রঙে নির্দেশিত), বেশিরভাগ শরণার্থী দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল দিয়ে পাকিস্তানে ও পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে ইরানে প্রবেশ করে। সোভিয়েত সৈন্যবাহিনী উত্তর পাশ দিয়ে আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছিলো।

১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১-এর ঘটনার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী এবং ন্যাটো সৈন্যবাহিনী তালিবানদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করেন, এবং এই যুদ্ধের শিকার হয়ে আরো বেশ কয়েক লক্ষ মানুষ আফগানিস্তান ত্যাগ করে শরণার্থী হন। ২০০১ সালের শেষ দিকের হিসাব অণুযায়ী পায় ৫০ লক্ষ আফগান, শরণার্থী হিসেবে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন। এই সম সংখ্যক আফগানের জন্ম হয়েছিলো গত বিশ বছরে। আছাড়াও এই যুদ্ধের কারণে প্রায় ২৪ লক্ষ শরণার্থী ইরানে আশ্রয় নিয়েছে, যার ফলে সর্বমোট শরণার্থীর সংখ্যা দাড়ায় প্রায় ৭৫ লক্ষ।

২০০২ সালের শুরু থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ আফগান শরণার্থী জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউনাইটেড নেশন্‌স হাই কমিশনার ফর রেফ্যুজিসের (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে পাকিস্তান ও ইরান থেকে তাদের মূল বাসভূমি আফগানিস্তানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।[5]

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.