আখিল আক্কিনেনি

আখিল আক্কিনেনি[2] (জন্ম ৮ই এপ্রিল ১৯৯৪) একজন আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় অভিনেতা, যিনি সাধারণত তেলেগু সিনেমায় অভিনয় করে থাকেন। তিনি কিংবদন্তি ভারতীয় অভিনেতা আক্কিনেনি নাগার্জুনা এবং আমালা আক্কিনেনি এর পুত্র, কিংবদন্তি অভিনেতা আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাও এর নাতি এবং নাগা চৈতন্য এর ভাই। তার ভাবী সামান্তা আক্কিনেনিও একজন অভিনেত্রী। আখিল লি স্ট্রবার্গ থিয়েটার এবং ফ্লিম ইন্সটিটিউট থেকে চলচ্চিত্রের উপর পড়াশোনা করেছেন। তিনি ২০১৫ সালে "আখিল" (২০১৫) এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।[3]

আখিল আক্কিনেনি
জন্ম (1994-04-08) ৮ এপ্রিল ১৯৯৪[1]
জাতীয়তাভারতীয়-আমেরিকান[2]
যেখানের শিক্ষার্থীলি স্ট্রবার্গ থিয়েটার এবং ফ্লিম ইন্সটিটিউট, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
চৈতন্য ভিদ্যালয়া
ওয়ক্রিদগে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা, ভারত
পেশাঅভিনেতা
কার্যকাল১৯৯৫; ২০১৪–বর্তমান
পিতা-মাতাআক্কিনেনি নাগার্জুনা
আমালা আক্কিনেনি
আত্মীয়নাগা চৈতন্য (ভাই)
সামান্তা আক্কিনেনি (ভাবী)
পরিবারদেখুন ডাজ্ঞুবাতি-আক্কিনেনি পরিবার

শিক্ষা

২ বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পূর্বে আখিল চৈতন্য ভিদ্যালয়ায় পড়াশোনা করতো। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে এসে ওয়াক্রিদগে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হায়দ্রাবাদ থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। আখিল ১৬ বছর বয়সে লি স্ট্রবার্গ থিয়েটার এন্ড ফ্লিম ইন্সটিটিউট থেকে অভিনয়ের উপর কোর্স করেন।[4]

কর্মজীবন

ইংরেজি চলচ্চিত্র "বেবিস ডে আউট" (১৯৯৪) এর তেলেগু পুনঃনির্মাণ "সিসিন্দ্রি" (১৯৯৫) এর মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।[5] এরপর কিশোরবয়সে তিনি ক্রিকেট এর দিকে ঝুকে পড়েন। তিনি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ এর পূর্বে নিয়মিত ক্রিকেট খেলতেন।[6] ২০১৫ সালে সেলিভ্রেটি ক্রিকেট লিগ এ তেলেগু ওয়ারিয়র্স ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এর দায়িত্বও পালন করেছিলেন।[7]

২০১৪ সালে ভিক্রম কুমারের হিট চলচ্চিত্র "মানাম" (২০১৪) এ আখিল বিশেষ দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন।[8] আখিল তার বাবা, দাদা এবং ভাইয়ের সাথে কাজ করার কথা বর্ণনা করেছিলেন এইভাবে "স্নায়ুচাপ ছিল, কিন্তু কৌতুহলিও ছিলাম"।[9] "মানাম" ২০১৪ সালের সবথেকে সফল চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি ছিলো। চলচ্চিত্রটি অনেকগুলো পুরস্কার জিতে নেয়, এর মধ্যে ফিল্মফেয়ার বেস্ট ফিল্ম তেলেগুও রয়েছে।[10][11] এরপর আখিল কিছু বড় ব্র‍্যান্ডের বিজ্ঞাপনেও অংশ নেন, যেমন: কার্বোন মোবাইল, মাউন্টেন ডিউ এবং টাইটান[12]

২০১৫ সালে আখিল ভি.ভি. ভিনায়েক পরিচালিত "আখিল" (২০১৫) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রধান চরিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন।[13] এই চলচ্চিত্রের জন্য আখিল থাইল্যান্ড থেকে দুই মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন ফাইটিং দৃশ্য ভালো করার জন্য।[4] অভিনেতা নিথিন এর প্রযোজনায় ডিসেম্বর ২০১৪ সালে সিনেমাটির কাজ শুরু হয় এবং আখিল এর বিপরিতে সায়্যেশায়া অভিনয় করেছিলেন। সায়্যেশায়াও এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।[14] চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের মোটেও পছন্দ হয়নি এবং বক্স অফিসে এটি মুখ থুবরে পরে। এর কারণে তিনি দুই বছরের বিরতি নেন। তার দৃতীয় চলচ্চিত্র "হ্যালো" (২০১৭) পরিচালনা করেন "মানাম" খ্যাত পরিচাল্ক ভিক্রম কুমার। এটি ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে মুক্তি পায়, কিন্তু আরেকটি চলচ্চিত্র "মিডল ক্লাস আব্বায়ি" এর কারণে চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসার পরেও এটি তেমন আয় করতে পারেনি। আখিল সম্প্রতি ভেন্কি আতলুরি এর পরিচালনায় "মিঃ মজনু" চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এতে তার বিপরিতে কাজ করেছেন নিধি আগারওয়াল। চলচ্চিত্রটি ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছে।

চলচ্চিত্র তালিকা

শিশুশিল্পী হিসেবে

# বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা পরিচালক নোট
১৯৯৫ সিসিন্দ্রি সিসিন্দ্রি শিবা নাগেশ্বর রাও

প্রধান চরিত্রে

Key
চিহ্নিত চলচ্চিত্র বলতে এখনো মুক্তি পায়নি বোজানো হয়েছে
বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা পরিচালক নোট
২০১৫ আখিল আখিল ভি.ভি. ভিনায়ক প্রধান চরিত্রে আত্মপ্রকাশ
২০১৭ হ্যালো অভিনাশ / সিনু ভিক্রম কুমাএ হিন্দিতে "তাকদির" নামে ডাভড করা হয়েছে
২০১৯ মিঃ মজনু মজনু / ভিক্কি ভেন্কি আলতুরি -
২০২০ #আখিল ৪ ঘোষিত হবে ভাষ্কর কাজ চলছে

বিশেষ দৃশ্যে

বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা পরিচালক নোট
২০১৪ মানামআখিলভিক্রম কুমার
২০১৬ আতাদিকুন্দম রায়ানিজ চরিত্রেজি নাগেশ্বর রেড্ডি

সঙ্গিত তালিকা

বছর চলচ্চিত্র সঙ্গিত সঙ্গিত লেখক নোট
২০১৭ হ্যালো "য়েভেভো" অনুপ রুবেন্স সঙ্গিতে আত্মপ্রকাশ[15]

পুরস্কার এবং মনোনয়ন

আখিল আক্কিনেনি পুরস্কার এবং মনোনয়ন
পুরস্কার এবং মনোনয়ন
পুরস্কার বিজয় মনোনয়ন
সর্বমোট
বিজয়
মনোনয়ন
বছর পুরস্কার বিভাগ চলচ্চিত্র ফলাফল
১৯৯৫ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ ফিল্মফেয়ার বেস্ট চাইল্ড এক্টর[16] সিসিন্দ্রি বিজয়ী
২০১৬ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ ফিল্মফেয়ার এওয়ার্ড ফর বেস্ট মেল ডেবিও-সাউথ আখিল বিজয়ী
সিমা পুরস্কার সিমা বেস্ট ডেবিউ এক্টর বিজয়ী
সিনেমায়া এওয়ার্ড সিনেমায়া বেস্ট মেল ডেবিউ বিজয়ী
২০১৯ টিএসআর - টিভি৯ ন্যাশনাল ফিল্ম এওয়ার্ডস স্পেশাল জুরি এওয়ার্ড হ্যালো বিজয়ী

তথ্যসূত্র

  1. "Nikhil Akkineni, 25-years-old"। www.dnaindia.com।
  2. "Reason Behind Why Akhil Not Voted in GHMC Elections!"Chitramala (ইংরেজি ভাষায়)। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৮
  3. "I was mobbed by girls a few times: Akhil"The Times of India
  4. Sangeetha Devi Dundoo। "Akhil Akkineni"The Hindu
  5. "Mama's boy"The Hindu
  6. Staff Reporter। "Nag Kings lift Tollywood trophy"The Hindu
  7. "Akhil to play in CCL matches"indiaglitz.com
  8. "Samantha's tweet has Nag fuming"Bangalore Mirror
  9. "Akhil Akkineni Interview, Akhil Akkineni interview about manam, Akhil Akkineni interview on manam I felt very nervous that day: Akhil Akkineni"timesofap.com
  10. "Small was big for southern cinema (IANS Special: 2014 In Retrospect)"Sify। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  11. "Winners: 62nd Britannia Filmfare Awards (South)"The Times of India
  12. "Nagarjuna's son Akhil Akkineni to make his debut"Rediff। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪।
  13. "akhil debut movie is akhil"https://starsunfolded.com/ |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  14. IANS। "Nagarjuna's son Akhil's debut film launched"The Hindu
  15. "Hello Audio: Not A Classic Like Manam, But Decent"GREAT ANDHRA
  16. https://www.youtube.com/watch?v=bbZHU7db4x4

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.