অ্যান্ড্রু গুইন্যান্ড

অ্যান্ড্রু পল গুইন্যান্ড (১৯১২ - ১৯৮৭) একজন অস্ট্রেলিয় গণিতবিদ। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ডে অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেন।[1]

অ্যান্ড্রু পল গুইন্যান্ড
জন্ম(১৯১২-০৩-০৩)৩ মার্চ ১৯১২
মৃত্যু২২ মার্চ ১৯৮৭(1987-03-22) (বয়স ৭৫)
ডাকনামঅ্যান্ড্রু গুইন্যান্ড
নাগরিকত্বঅস্ট্রেলিয়ান
কর্মক্ষেত্রগণিত
প্রতিষ্ঠানইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া

প্রথম জীবন ও শিক্ষা

১৯২৪ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত গুইন্যান্ড অ্যাডিলেডের সেন্ট পিটারস কলেজে পড়েন। ১৯৩০-এ অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট মার্কস কলেজে গণিতে ভর্তি হন। স্নাতক শেষে ১৯৩৩-এ গুইন্যান্ড রোডস বৃত্তি নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এডওয়ার্ড চার্লস টিটমার্শের তত্ত্বাবধানে ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।[1][2] ১৯৩৭ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি জার্মানির গোটিঙ্গেন-এ পড়েন। এরপর ১৯৪০ সালে কানাডার রাজকীয় বিমান বাহিনীতে নেভিগেটর হিসেবে যোগদানের পূর্বে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছিলেন।[1]

গুইন্যান্ড কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়াল মিলিটারি কলেজ অব সাইন্সে প্রভাষক পদে যোগ দেন এবং শেষে তিনি গণিতের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৫৫ সালে আর্মিডেলের ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ডের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ভূষিত করা হয়। আর্মিডেলে দুবছর থাকার পর তিনি এডমন্টনে অ্যালবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে তিনি পুনরায় স্থানান্তরিত হয়ে কানাডার সিস্কাচিউয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৬৪ সালে আরও একবার স্থান বদল করেন। এবার তিনি কানাডার সদ্য প্রতিষ্ঠিত ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত হন।[1]

গবেষণা কর্ম

গুইন্যান্ডের গবেষণা কর্মের মধ্যে সংখ্যাতত্ত্ব (বিশেষকরে মৌলিক সংখ্যারেইম্যানীয় হাইপোথিসিস) এবং ফুরিয়ার রূপান্তরের সাধারণীকরণ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও এয়ার নেভিগেশন এবং পাই এর গাণিতিক গণনা কার্য সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর তার প্রকাশনাগুলোও উল্লেখ্য।[1][3]

১৯৫৯ সালে তিনি পয়সনের সমষ্টি সূত্রের উপর তিনি একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেন। এতে তিনি পয়সনের সমষ্টি সূত্রের সরলতম সমাধান উপস্থাপন করেন।[4][5] গুইন্যান্ডের এই গবেষণাকর্মের কথা প্রায় সকলে ভুলেই গিয়েছিল। ২০১৫ সালে ফরাসি গণিতবিদ ইয়ভেস মেয়ার গুইন্যান্ডের এই গবেষণা পুনরুদঘাটনের আগে তা সকলের অগোচরে ছিল।[6][7]

তথ্যসূত্র

  1. J J O'Connor and E F Robertson (১৯৯৭)। "Andrew Paul Guinand"। MacTutor। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-৩০
  2. Andrew Guinand at the Mathematics Genealogy Project
  3. Guinand, A. P. (১৯৪৫)। "An Asymptotic Series for Computing π"। The Mathematical Gazette29 (287): 214–218। doi:10.2307/3609261জেস্টোর 3609261
  4. Guinand, A. P. (১৯৬০)। "Some Finite Identities Connected with Poisson's Summation Formula"Proceedings of the Edinburgh Mathematical Society12 (1): 17–25। doi:10.1017/s0013091500025001আইএসএসএন 1464-3839
  5. Richard E. Bellman (১৯৮০), Analytic Number Theory An Introduction, The Benjamin/ Cummings Publishing Company, Inc., পৃষ্ঠা 92, আইএসবিএন 0-8053-0360-X, সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬ (HTML 117 kB)
  6. Zyga, Lisa (২০১৬-০৩-২৫)। "Mathematician finds his 'new' solution to Poisson formula problem buried in 1959 paper"Phys.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২৬
  7. Meyer, Yves F. (২০১৬-০৩-২২)। "Measures with locally finite support and spectrum"Proceedings of the National Academy of Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। 113 (12): 3152–3158। doi:10.1073/pnas.1600685113। PMID 26929358আইএসএসএন 0027-8424পিএমসি 4812708
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.