অশোক (উদ্ভিদ)
অশোক বৈজ্ঞানিক নাম: Saraca indica), (ইংরেজি: Yellow Ashok, Yellow Saraca) হচ্ছে Fabaceae পরিবারের এক প্রজাতির বৃক্ষ।[2]
অশোক Ashoka tree | |
---|---|
![]() | |
প্রস্ফুটিত অশোক ফুল | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
(শ্রেণীবিহীন): | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
(শ্রেণীবিহীন): | Eudicots |
(শ্রেণীবিহীন): | Rosids |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
গণ: | Saraca |
প্রজাতি: | S. asoca |
দ্বিপদী নাম | |
Saraca asoca (উইলিয়াম রক্সবার্গ) Carl Ludwig Willdenow[1] | |
প্রতিশব্দ[1] | |
|
বিবরণ
অশোক মাঝারি আকৃতির ছায়াদানকারী চিরসবুজ বৃক্ষ। এদের পাতার রঙ গাঢ়-সবুজ। পাতাগুলো দীর্ঘ, চওড়া ও বর্শাফলাকৃতির। কচিপাতা কোমল, নমনীয়, ঝুলন্ত ও তামাটে। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল। তবে হেমন্ত অবধি এ গাছে ফুল ফোটতে দেখা যায়। তবে শীতকালেও এরা অল্প সংখ্যায় ফোটে থাকে। অশোক ফুল গাছের কান্ড থেকে ফোটে। ফুল আকারে ছোট, কিন্তু বহুপৌষ্পিক, ছত্রাকৃতি মঞ্জরি আকারে বড়। অজস্র ফুলের সমষ্টি অশোকমঞ্জরি মৃদু গন্ধযুক্ত এবং বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। তাজা ফুলের রং কমলা, কিন্তু বাসি ফুল লাল রঙ ধারণ করে। পরাগকেশর দীর্ঘ। ফল বড়সড় শিমের মতো চ্যাপ্টা, পুরু এবং ঈষৎ বেগুনি রঙের।[3]
রবীন্দ্রনাথ কবিতায় লিখেছিলেন, পুরাকালে নাকি অশোকবৃক্ষে নারীর চরণস্পর্শে ফুল জেগে উঠতো। সিদ্ধার্থ লুম্বিনীর এক অশোকতরুর নিচে জন্মেছিলেন। অশোক গাছ হিমালয়ের পাদদেশবর্তী অঞ্চলে লভ্য। বলধা গার্ডেনের সংরক্ষিত অংশটিতে (সাইকি) একটি অশোক গাছ আছে।
প্রজাতি
আলোচ্য অশোক ছাড়াও ভারতে এবং বাংলাদেশে রাজ অশোক এবং স্বর্ণ অশোক নামে আরও দুই রকমের অশোক গাছ দেখা যায়।[3] অশোকের একটি প্রজাতি রয়েছে যাদের ফলের রঙ হলুদ। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Saraca thaipingensis.
বংশবিস্তার
অশোক ফলের বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মায়। তবে চারার বৃদ্ধি মন্থর।[3]
চিত্রশালা
- অশোক বৃক্ষের গোঁড়া (কান্ড)
- পাতা
- অসংখ্য ফুলে ঘনবদ্ধ অশোকমঞ্জরি
- গাছের কান্ড থেকে প্রস্ফুটিত অশোক ফুলের গুচ্ছ
- ফুলের কুঁড়ি
- ফুল সমেত অশোক গাছ
- অশোক ফুল
আরো দেখুন
- স্বর্ণ অশোক
- রাজ অশোক
- কাউলি অশোক
তথ্যসূত্র
- "Saraca asoca (Roxb.) Willd. — The Plant List"। The Plant List। ৫ জানুয়ারি ২০১৫।
- Zuijderhoudt, G.F.P. (১৯৬৮), "A revision of the genus Saraca L. — (Legum. Caes.)", Blumea, 15: 413–425
- অশোকের বর্ণশোভা - দৈনিক প্রথম আলো (০৬ জানুয়ারি, ২০১৬)