অপভ্রংশ

অপভ্রংশ বলতে মধ্য ইন্দো-আর্য ভাষার (তথা প্রাকৃত ও পালি ভাষার) পরবর্তী ঐতিহাসিক ধাপকে বোঝায়।

সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ পতঞ্জলির মহাভাষ্য গ্রন্থে সর্বপ্রথম "অপভ্রংশ" শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়। তিনি সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত কিছু অশিষ্ট শব্দকে নির্দেশ করার জন্য শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। পতঞ্জলি যাকে অপভ্রংশ বলতেন, বর্তমানে তাদেরকে পালিপ্রাকৃত বলা হয়। কোন কোন প্রাচীন বৈয়াকরণ অপভ্রংশকে আলাদা ভাষা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। তবে বর্তমান ভাষা গবেষণায় অপভ্রংশকে প্রাকৃতের শেষ স্তর হিসেবেই গণ্য করা হয়। বর্তমান ভাষাবিদদের মতে সমস্ত প্রাকৃত ভাষারই শেষ স্তরটি হল অপভ্রংশ এবং এই অপভ্রংশগুলি থেকেই সমস্ত নব্য ইন্দো-আর্য ভাষা উদ্ভূত হয়েছিল।

উদাহরণস্বরূপ, পূর্ব ভারতে প্রচলিত মাগধী প্রাকৃত ভাষা থেকে পূর্বী অপভ্রংশ উদ্ভূত হয়েছিল এবং সেই পূর্বী অপভ্রংশ থেকে মগহী, মৈথিলীভোজপুরী---এই তিনটি বিহারী ভাষা এবং বাংলা, অসমীয়াওড়িয়া---এই তিনটি গৌড়ীয় ভাষার উৎপত্তিলাভ ঘটে। অন্যদিকে, পশ্চিমের শৌরসেনী অপভ্রংশ থেকে হিন্দি ও অন্যান্য নব্য ইন্দো-আর্য ভাষার উদ্ভব হয়।

সংক্ষিপ্ত বিবরণ

লেখক ও কবি

অপভ্রংশ সাহিত্যের কিছু কবি ও সাহিত্যিক হলেন:

মহাকবি শ্যাম্ভুদেব (৮ম শতাব্দী)

  • রিত্থানেমিচারিউ
  • পাউমা চারিউ

মহাকবি পুষ্পাদন্ত (১০ম শতাব্দী)

  • মহাপুরাণ
  • ন্যাকুমারচারিউ
  • জসারচারিউ

হেমাচন্দ্র (১২শ শতাব্দী)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.