অনির্বাণ
শ্রী অনির্বাণ বা নরেন্দ্রচন্দ্র ধর বিংশ শতাব্দীর একজন পণ্ডিত সন্ন্যাসী। তার জন্ম ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে ৮২ বৎসর বয়সে তার প্রয়াণ হয়। তিনি নিগমানন্দ সরস্বতীর কাছে প্রথমে ব্রহ্মচর্য ও পরে সন্ন্যাস দীক্ষা নিয়েছিলেন। তিনি বেদের ব্যাখ্যা তৈরী করেছিলেন, যা পাঠক ও শাস্ত্রজ্ঞদের নিকট বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছিল। এই ব্যাখ্যা তিন খণ্ডে সজ্জিত বেদ মীমাংসা নামীয় গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। একজন ফরাসী নারী তার শিষ্যা ছিলেন, নাম মাদাম রেঁমো। মাদাম রেঁমো লিখিত টু লিভ উইদিন (ইং:To Live Within) গ্রন্থে শ্রী অনির্বাণ-এর আধ্যাত্বিক জীবনের বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়। [1]
অনির্বাণ | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৩১ মে ১৯৭৮ ৮১) | (বয়স
জাতীয়তা | বাঙালি |
পেশা | monk, philosopher, scholar, writer |
জন্ম, শৈশব শিক্ষা
শ্রী অনির্বাণের জন্ম বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। তার পিতা রাজচন্দ্র সন্ন্যাস জীবনযাপন করার জন্য সমগ্র পরিবারসহ তান্ত্রিক যোগী নিগমানন্দের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে অসমের কোকিলামুখ চলে যান। নরেন্দ্রচন্দ্র ময়মনসিংহ সিটি স্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং ঢাকা থেকে এই.এ ও বি.এ. পরীক্ষায় অসাধারণ কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। কলকাতা সংস্কৃত কলেজ থেকে বেদ ও মীমাংসা নিয়ে এম.এ. পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।[2]
তথ্যসূত্র
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অভিধান, সম্পাদক: বীতশোক ভট্টাচার্য, প্রকাশক: বাণী শিল্প, কলকাতা। প্রথম সংস্করণ ১৯৮৩, পৃষ্ঠা: ২৩।
- সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, সংশোধিত ও সংযোজিত পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২০-২১, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬